তারিখ লোড হচ্ছে...

বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার আদর্শের নেতা এমপি বাবেল

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া একজন সত্যিকার নেতা ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি। ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) থেকে নির্বাচিত গণমানুষের এ নেতা এলাকায় সৎ, সাহসী, কর্মীবান্ধব ও ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

জানা গেছে, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা জয় বাংলা স্লোগান হৃদয়ে ধারন করে বড় হয়েছেন। তাঁর বাবা প্রয়াত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ এমপির হাত ধরেই আদর্শিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। এরপর চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দীর্ঘপথ শেষে তিনি এ পর্যন্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে বিপুল ভোটে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ডাক ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর ইতোপূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কাজগুলো বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ইতোমধ্যেই এলাকায় যা দৃশ্যমান হয়েছে। সারাদেশে যখন কঠোর লকডাউন, রাজধানীতে বিলাসবহুল জীবনযাপন না করে গফরগাঁওয়ে তাঁর নিজবাড়িতে তিনি অবস্থান করেন। মহামারীকালে ভয়কে উপেক্ষা করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত ছুটে মানুষের খোঁজখবর নেন এবং প্রতিদিন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি এলাকার প্রতিটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহসহ প্রয়োজনীয় কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে নিয়মিত তিনি এলাকায় আসায় নেতাকর্মীদের কোনো কাজের জন্য টাকা খরচ করে ঢাকা যেতে হয় না।

এলাকাবাসী জানান, এমপি বাবেলের বাবা আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ জীবিতকালে গফরগাঁয়ের মানুষের জন্য স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-মসজিদে অনুদানসহ অন্তত সাত হাজার কোটি টাকার সম্পদ দান করে গেছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। এই ধারাবাহিকতায় তাঁর ছেলেও মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে সারাদেশের মধ্যে জনপ্রিয় এমপি ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে সুখ্যাতি পেয়েছেন।

গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র এস এম ইকবাল হোসেন সুমন বলেন ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি হওয়ায় গফরগাঁও উপজেলার মানুষ অনেক গর্বিত ও মানুষ সুখে রয়েছে। তাঁর সময়ে যা উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ও যা বাস্তবায়ন হয়েছে, অতীতে তা কখনো লক্ষ করা যায়নি। তাঁর এই সুদক্ষ কর্মকাণ্ড সামনের দিনগুলোতেও তাঁকে এমপি পদে বসাবে বলে মনে করেন মেয়র সুমন।

এক আলাপচারিতায় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া কিছুই বুঝি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ কথাটি মাথায় নিয়ে কাজ করছি। কোনো ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারই তাঁর গতিপথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না এবং আমৃত্যু তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে চান বলেও তিনি জানান।

আতঙ্কে যাত্রীরা নেই দূরপাল্লার বাস

স্টাফ রিপোর্টার॥

আামীকাল ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে চাপা আতঙ্কে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসে কমে গেছে যাত্রীর সংখ্যা।

আজ (শুক্রবার) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়,বেশিরভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা। এমনকি যাত্রী সংকটে বেশ কয়েকটি কাউন্টার বন্ধও রয়েছে। কর্মীরা হাঁকডাক করলেও প্রত্যাশামাফিক যাত্রী পাচ্ছেন না। কোনো যাত্রী টার্মিনালে প্রবেশ করলে পরিবহন শ্রমিকরা ছুটে যাচ্ছেন তার দিকে।

রাজধানী এক্সপ্রেসের কর্মী লেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা কম। সকাল থেকে মাত্র দুইটা বাস ছেড়ে গেছে। অথচ এই সময়ে তিন থেকে চারটা বাস ছাড়ে। এ দিক থেকে যাচ্ছেও কম,ওদিক থেকে আসছেও কম।

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কর্মী বলেন, আতঙ্কের কারণে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। যে কয়টা বাস ছাড়লাম, একটাও পুরো যাত্রী ভরেনি। কয়েকটা সিট ফাঁকা নিয়েই বাস ছাড়ছে।

মাগুরা যাওয়ার টিকেট কেটেছেন রামপুরা নিবাসী সেলিনা। তিনি বলেন, আমার বাবা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে দেখতে যাচ্ছি। একটা ভয় কাজ করছিল যে কোনো সমস্যা হয় কি না বা গাড়ি পাব কি না। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।

পল্টনের একটি ছাপাখানায় কাজ করেন আব্বাস উদ্দীন। যশোরের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য টিকেট কেটে কাউন্টারে অপেক্ষা করছিলেন। সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামে জমিজমা নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। তবে এখানে এসে বাস পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় দেরি করে বাস ছাড়ছে।

একই কথা জানান কাউন্ডার সংশ্লিষ্টরাও। কুষ্টিয়াগামী এসবি সুপার ডিলাক্স কাউন্টারের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন,মূলত আতঙ্কের কারণেই যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের গাড়ির কোনো সংকট নেই। কাউন্টারে এলেই টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

মাগুরাগামী পূর্বাশা পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, শুক্রবারে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু আতঙ্কের জন্য আজ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই ভাবছেন গাড়ি আছে কি না বা গাড়ি চলছে কি না। একই আতঙ্কে অনেকে ঢাকাও আসছেন না। ফলে জেলা থেকে আগত বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই থাকছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম