তারিখ লোড হচ্ছে...

গ্রাহকের টাকা ফেরত দিবে ধামাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
সেলার ও গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে চান ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভে এসে তিনি বলেন, আমি গ্রাহক ও সেলার টাকা ফেরত দিতে চাই আমাকে টাকা দেওয়ার সুযোগ করে দিন। তিনি এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি বাণিজ্য মন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, আমি গ্রাহক ও সেলারদের টাকা ফেরত দিতে চাই, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা আমি কিভাবে টাকা ফেরত দিব, এসময় তিনি বিকল্প ব্যবস্থা অথবা নতুন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। তিনি এসময় কান্নাকাটি করে বলেন, আমার উদ্দেশ্য খারাপ না, উদ্দেশ্য খারাপ হলে ধামাকা শপিং ডটকম ক্লোজ করে দিতাম, আমার স্ব-পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আমি ইচ্ছে করলেই আত্মগোপনে চলে যেতে পারতাম। তা না করে আমি কিন্তু ব্যবসা করতে চাচ্ছি। আমাকে আপনা সাহায্যে করুন পাশে থাকুন।
এদিকে, ধামাকা শপিং ডটকমের হাজারের উপরে তাদের কর্মচারী রয়েছে। তারা কেউই গত জুন থেকে বেতন পাচ্ছেন না। এসম্পর্কে মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি বলেন, আমার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রীজ করে রেখেছে, কিভাবে বেতন দিবো, আমার অ্যাকাউন্ট গুলো আনফ্রিজ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি, ইনশাল্লাহ গ্রাহক সেলার এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবার টাকা পরিশোধ করে দিবো।

বিভিন্ন পণ্যের অফার ও ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ড বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ধামাকা। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানতে পেরেছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জসীম উদ্দিন চিশতীসহ অন্যরা মিলে ১১৬ কোটি ছয় লাখ টাকা অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
এ তথ্যের ভিত্তিতে ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিক জসীম উদ্দিনসহ পাঁচ জন এবং তাদের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত মাসে বনানী থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি।এবিষয়ে তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং নয়,আইন মেনেই বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা সার্কুলেট করেছি, ইনশাল্লাহ,সব ধরণের কাগজ দিয়ে সেটা প্রমাণ করবো। এদিকে, আরো জানা যায়, ধামাকা শপিং ডট কম ছাড়াও তাদের আরও কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন, ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড, মাইক্রোট্রেড ফুড এবং বেভারেজ লিমিটেড এবং মাইক্রোট্রেড আইসিক্স লিমিটেড ইত্যাদি।
এসম্পর্কে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সেলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যুব ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা শেষ সম্বল বিক্রি করে, স্বজনদের কাছ থেকে ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করেছি। এখন রাস্তার ফকির ও নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা সেলার ও তিন লাখ গ্রাহকের মানবিক দিক বিবেচনা করে ধামাকা শপিং ডটকমের ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়াসহ এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ধামাকা শপিং ডটকমের সেলার অ্যাসোসিয়েশনের গণযোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়ক জাহিদুর ইসলাম বলেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের সেলার বা মার্চেন্ট হিসেবে প্রায় ৬৫০ জন এসএমই উদ্যোক্তা ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ধামাকা শপিং ডটকমের নির্দেশনা ও চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছিলাম।
‘কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের সব ধরণের অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রীজ করে দিয়েছে, ফলে আমাদের মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না, তিনি আরো বলেন,সেলার ও তিন লাখ গ্রাহকের মানবিক দিক বিবেচনা করে ধামাকা শপিং ডটকমের ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়াসহ এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ অনুরোধ করছি।’

এদিকে, ধামাকা শপিং ডট কমের এর একাধিক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা বলেন, আমরা আরো সময় দিতে চাই, ধামাকাকে ব্যবসা করতে দিলে ইনশাল্লাহ্ আমাদের টাকা ফেরত পাবো। তারা সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, তিন লাখ গ্রাহকের মানবিক দিক বিবেচনা করে ধামাকা শপিং ডটকমের ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়াসহ এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ধামাকা শপিং ডট কম মূলত প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ৩ লক্ষাধিক। মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, মোটরবাইক, গৃহস্থলীপণ্য ও ফার্নিচারসহ বিভিন্ন অফারে বিক্রি করা হতো। ধামাকা শপিং ডট কম -এর বিভিন্ন অফারগুলো হলো, সিগনেচার কার্ড ২০ থেকে ৩০ শতাংশ, ধামাকা নাইট এ ৫০শতাংশ পর্যন্ত, রেগুলার এ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড়।

 

 

জলবায়ু অর্থায়নে আঞ্চলিক ন্যায্যতা বিবেচনায় আসেনি: সিপিআরডি’র গবেষণা

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ ডেক্স॥

দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হচ্ছে না বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানে সিক্স সিজন হোটেলে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত এক সেমিনারে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, দেশের খরাপ্রবণ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পের সংখ্যা এবং অর্থের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। খরাপ্রবণ এলাকায় মাত্র ১৪৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যেখানে উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে প্রকল্পের সংখ্যা ২৮১। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় জলবায়ু বাজেট থেকে মাত্র ৬৩টি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উত্তরাঞ্চলে, যা স্পষ্টতই জলবায়ু অর্থায়নে আঞ্চলিক ন্যায্যতার ঘাটতি প্রকাশ করছে।গবেষণাটি পরিচালিত হয় সিপিআরডি ও হেক্স/ইপিইআর-এর সহযোগিতায়। গবেষণার অংশ হিসেবে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও কুড়িগ্রামে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২০৯৫ দশমিক ৪১ কোটি টাকা। অথচ ধীরগতির দুর্যোগ, যেমন খরা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়নি। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত প্রকল্পগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ যথাযথভাবে না হওয়ায় নির্মিত অবকাঠামোগুলো নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে।
সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামছুদ্দোহা সেমিনারে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড এবং জাতীয় জলবায়ু বাজেট বরাদ্দে প্রয়োজনীয় ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত প্রানিÍক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের জন্য পৃথক অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন করিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। একক কোনো সমাধান নেই, স্থানীয় সমাধানগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু ন্যায্যতা অর্জন করতে হবে।
পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরিতে স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

 

সবা:স:জু-৪৩/২৪

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা