আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন

পারভেজ মাহমুদ হাটহাজারী, চট্টগ্রামঃ
”মুজিব বর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস
পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল এক আলোচনা সভা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাশেক, ভূমি সহকারী কমিশনার আবু রায়হান প্রমূখ। সভা শেষে
সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহানের নেতৃত্বে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্কুলের শিক্ষার্থীরাসহ উপস্থিত লোকজন তা অবলোকন করেন।

ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা—সন্ত্রাস বের হয়, মন্তব্য চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ছাত্রলীগ থেকে যেমন গুন্ডারা বের হয়, সন্ত্রাসরা বের হয়, ছাত্রলীগ করতে করতে করতে করতে, কিভাবে করতে হয় তা আমি জানি। হাজার হাজার সংগঠক আমি তৈরি করছি এখান থেকে। আমাকে শিখাতে হবেনা কিভাবে কি করতে হবে।

এসময় তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেডাম (ক্ষমতা) থাকলে সামনাসামনি দাঁড়াতে বলবেন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মাহমুদুল করিম যদি সামনাসামনি দাড়িয়ে ফাইট (লড়াই) করতে পারে তবে আমি রাজনীতিতে জুতার মালা পড়ে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যাব। জুতার মালা পড়েই যাবো।

মঙ্গলবার(২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ।

সবুজের এমন আক্রমনাত্মক কথাবার্তায় যে ফের কলেজটিতে সংঘর্ষ হতে চলেছে তার আভাস অনেকটাই বুঝা যাচ্ছে দুই গ্রুপের কর্মীদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসেও। সবুজের এমন বক্তব্যের পর ফেসবুকজুড়ে একে অপরকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছে বলে জানা গেছে।

কলেজটির ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। এতে সরাসরি লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার( ২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজেদের গ্রুপে কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা।

এতে উভয় পক্ষ থেকে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাম্মৎ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাংচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

তবে এই ঘটনায় এখনো থানায় কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে জানা যায়।

গত এক বছরেই কয়েকদফা সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম কলেজে বিবাদমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের গ্রুপটি হলো শিক্ষাউপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম