জুয়ার আসর থেকে যুবলীগ ও কৃষকলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

 

এনামুল,(পঞ্চগড় প্রতিনিধি)
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জুয়া খেলার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ সেট প্লেয়িং কার্ড ও ৭ হাজার ৮৪১ টাকা জব্দ করে পুলিশ।

দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম রাত সাড়ে ৯টায় দেবীগঞ্জ পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন মাইক্রো স্ট্যাণ্ড অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় ৮ জনকে জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌরশহরের কামাতপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল লতিফ, পাটোয়ারী পাড়া এলাকার মোতালেবের ছেলে মামুনুল ইসলাম, সাহাপাড়া এলাকার পুলকেশ শর্মার ছেলে মিঠুন শর্মা, নতুনবন্দর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে স্বাধীন ইসলাম, মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মামুন পারভেজ, উত্তরপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে হাকিম উদ্দিন, থানাপাড়া এলাকার একরামুল হকের ছেলে চয়ন ইসলাম ও দেবীডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ি এলাকার মুক্তার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাকিম উদ্দিন পৌর কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগে সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে আশ্রয় প্রতিদিন নামে এক তথাকথিত পত্রিকার আইডি কার্ড বহন করেন। এর আগেও আবাসিক হোটেলে অবস্থারত দুই ব্যক্তিকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ভাগিনার বিরুদ্ধে মামির ওড়না ধরে টানার অভিযোগ

রায়হান হোসাইন॥

চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আর্টিলারি এলাকায় চুনা ফ্যাক্টরীর মোড়ে অবস্থিত অতিথি ভবনের (২য় তলা) অস্থায়ী বাসিন্দা (ভাড়াটিয়া) মৃত মফিজুল্লার মেয়ে মুমতাহিনা চৌধুরীর (২৫) শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামী মো. আকবর হোসেনের বড় বোনের ছেলে ( ভাগিনা) সাইফ আল আমিন প্রকাশ তুষারের (২৮) বিরুদ্ধে।

১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার নগীরর হালিশহর থানায় নিজে বাদি হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মুমতাহিনা চৌধুরী। এর আগে ওই দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে অতিথি ভবনের ছাঁদে সাইফ আল আমিন তুষারের অশ্লীল কথাবার্তার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালালে নিজের ইজ্জত রক্ষার্থে জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন দেন মুমতাহিনা চৌধুরী।

ভুক্তভোগী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী আকবর হোসেন একজন ব্যবসায়ি। ব্যবসায়ের কাজে তিনি বিভিন্ন দেশে মাসের পর মাস অতিবাহিত করতেন। অপরদিকে একই বিল্ডিংয়ে (অতিথি ভবন) অভিযুক্তসহ তার পরিবারও বসবাস করতো। স্বামী বাসায় না থাকলে তুষায় মামি মুমতাহিনা চৌধুরীর বাসায় এবং বাহিরে তার সাথে অশ্লীল কথা এবং কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গিমা প্রদর্শন করতো। সুযোগ পেলে গায়ের ওড়না ও বোরকা ধরেও টান দিত। এসব বিষয়ে আমার স্বামীকে ( মো. আকবর হোসেন) জাননোর পর, তিনি তার মা অর্থা আমার শাশুড়ি ও বড় বোনকে জানালে তারা উল্টো আমার স্বামীকে গালমন্দ করে আসছিল।

হালিশহর থানা সূত্র জানায়, শ্লীলতাহানির অভিযোগে মুমতাহিনা চৌধুরী নামের এক ভুক্তভোগী সাইফ আল আমিন প্রকাশ তুষারকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দায় করেছেন। তিনি মৃত ফিরোজ আলমের পুত্র।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম