সাংবাদিকদের স্বপ্নের শেল্টার হোম উদ্বোধন বিএমএসএর ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের দীর্ঘদিনের ঘোষিত পরিকল্পনা ও সারাদেশের সাংবাদিকদের বহুল কাঙ্খিত স্বপ্ন ঢাকায় জার্ণালিস্ট সেল্টার হোম অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএমএসএফ এর সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলগেট এলাকায় আমানুল্লাহ ভবনের ৩য় তলায় ছয় রুম বিশিষ্ট এ সেল্টার হোম গতকাল বিকেলে উদ্বোধন করা হয়েছে। বিএমএসএফ এর সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদ আয়োজিত উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন পর্ষদ সদস্য ও বিএমএসএফ এর সিনিয়র সহ সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন, সোহাগ আরেফীন, এনামুল হক সোহেল, এ, এ আকরাম, মোহাম্মদ আলী সুমন, শারমীন সুলতানা মিতু, জুয়েল খন্দকার প্রমুখ। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের অন্যান্য সম্মানীত সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অর্ধ শতাধিক সদস্য। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কাজী মিরাজ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আলাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য খালেকুজ্জামান পান্নু, আ: রহিম ও তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।

উক্ত সভায় বিএমএসএফ এর জার্নালিষ্ট সেল্টার হোম উদ্বোধন করতে পারায় সর্ব্বোচ পর্যায়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য প্রায় ৪ বছর যাবত জার্নালিষ্ট সেল্টার হোম নামে দফায় দফায় কমিটি গঠন, নানা অজুহাতে মাসের পর মাস সময় ক্ষেপন, চাঁদাবাজি ও কল্পিত জটিলতা বাধিয়ে বহুল কাঙ্খিত সেল্টার হোম প্রতিষ্ঠান অনিশ্চিত করে তোলা হয়। সর্ব্বোচ পরিচালনা পর্ষদ সাংবাদিকদের সুযোগ সুবিধা ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে সেল্টার হোম প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করে। এ কারণে ২০ নভেম্বর জাতীর জনক শেখ মজিবুর রহমান এর সমাধিস্থলে শপথ গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে জার্নালিষ্ট সেল্টার হোম উদ্বোধন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সেল্টার হোমটি অদ্য থেকে ২টি রুম ব্যবহার উপযোগী এবং খুব শ্রীঘই আরো ৪ টি রুম ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। বর্তমানে এর দ্বায়িত্বে থাকবেন এনামুল হক সোহেল সর্দার।

সভায় সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠনকে বির্তকের তুঙ্গে তুলে শুধুমাত্র নিজের পদ পদবী রক্ষার উদ্যেশে যে নজীর বিহীন গালাগাল, ওদ্ধত্ব্যপূর্ণ আচারণ, এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, হুমকি ধামকি প্রদান এর মাধ্যমে বিএমএসএফকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছানোর জন্য সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরকে দায়ী করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধন্ত হয় যে , অক্ষন্নু বিএমএসএফ রক্ষার লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক আহম্দে আবু জাফর এর পদ পদবী ও ক্ষমতা অর্ন্তবর্তীকালীণ সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। তার অবর্তমানে সার্বিক দ্বায়িত্ব পালনের জন্য সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী প্রথম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহ আলম শাহী কে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি তার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব নিয়ে দ্বায়িত্ববান হবেন। এ সভা আশা করে নব দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহ আলম শাহী’র নেতৃত্বে অচিরেই বিএমএসএফ সাংগঠনিক কাঠামো ও শৃংঙ্খলায় ফিরে আসবে, অটুট থাকবে বিএমএসএফ এর বন্ধন। বিশেষ ভাবে উল্লেখ থাকে যে, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকে সার্বিক দ্বায়িত্ব পালনের জন্য সাংগঠনের ২য় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমানকে অনুরোধ করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গ্রুপ পেইজে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক এর পক্ষে অন্ধ সমর্থন করতে গিয়ে নানান কথা মালার ও অরুচিকর কথা ব্যক্ত করায় বিএমএসএফ এর ভাবমূর্তি মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সদস্যরা ও সম্মানহানীর মুখে পড়েছে। পর্ষদ ব্যাপক পর্যবেক্ষন করে এসব অনৈতিক অপকার্ন্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার প্রমাণিত অভিযোগে (১) শিবলী সাদিক খান কেন্দ্রীয় সদস্য (২) মো: ইকবাল হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক (৩) কাজী নোমান, নির্বাহী সদস্য (৪) বেলায়েত হোসাইন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য (৫) আব্দুল হামিদ খান, সহসম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি (৬) মো: বাবুল ও মো: আরজু ময়মনসিংহ জেলা কমিটির নেতাকে সর্ব্বোচ ভৎসনা ও সর্তক জানানো হচ্ছে। এধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত করা হয়।

নিজের অনিয়ম অর্থ তসরুফ যাবতীয় দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদক আহম্দে আবু জাফর নানা কৌশলবাজির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অর্থ বিভাগ থেকে দফায় দফায় নিয়নীতি বহিভূতভাবে সমুদ্বয় টাকা বুঝে নেওয়ার পরও সম্মানীয় অর্থ সম্পাদক শারমীন সুলতানা মিতুর উপর দোষারোপ ( প্রমাণহীন অবস্থায় ) করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত সম্মান ক্ষুন্ন করাসহ তাকে চরম বিব্রত করা হয়। এ সভা যাবতীয় ঘটনা পর্যবেক্ষন পূর্বক এহেন কর্মকান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং অর্থ সম্পাদককে সম্পূর্ন্ন নির্দোষ বলে মনে করে।

সবুজ বাংলাদেশের সম্পাদক মাসুদকে প্রাণনাশের হুমকি; থানায় জিডি

রায়হান হোসাইন;- 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মানব পাচার ও কিশোর গ্যাং নিয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকায় বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করা হলে থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

 

এতে একদল মানব পাচারকারী চক্রের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে তারা দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই মানব পাচারকারী চক্রদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাহমিনা সুলতানা। তাহমিনার মূল ব্যবসা হলো মানব পাচার। মানব পাচার করেই আজ তাহমিনা কোটি কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে জায়গাসহ একাধিক গাড়ি বাড়ির মালিক এ তাহমিনা।

 

টিকিটিং এর আড়ালে গ্রামের বেকার পুরূষদের নিজের স্বামী বানিয়ে মালোশিয়াতে পাচার করে এ তাহমিনা। তবে তার স্বামী বানানোর এ কলে নিঃস্ব হয়েছে বহু পুরুষ, বহু পরিবার।

 

সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হয়ে এ তাহমিনা সবুজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অপপ্রচেষ্টাও করে। এরই ধারাবাহিকতায় থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একটি জিডিও করে।

 

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, তথাকথিত এ জাতীয় মানব পাচারকারীদের হুমকি ধমকিতে থামিয়ে রাখা যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের লেখাকে। স্তব্ধ করে দেওয়া যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের প্রতিবাদী কলমকে। ইতিপূর্বেও বহু হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু থামানো যায়নি, আর কখনো থামানো যাবেওনা। সবুজ বাংলাদেশের কলম তার আপন গতীতেই চলবে। তিনি আরো বলেন, আমরা স্বাধীনতার কথা বলি। এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা অপরাধীদের মুখোশ সমাজের মানুষের সামনে উন্মোচন করি।

হামলা মামলা আর মিথ্যা মামলার ভয় কখনো করেনি সবুজ বাংলাদেশের সম্পাদক মাসুদ আর এসব কারনে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। একটি মানব পাচারকারী নারী চক্র বিভিন্ন পুরুষদের নিজের স্বামী বানিয়ে মোটার টাকার বিনিময়ে তাদের মালোশিয়াতে পাচার করে। কয়েক ডজন খানেক স্বামীর রেকড আছে এ তাহমিনার।

 

ভিজিটিং ভিসা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পরে দেশে ফিরে আসতে হতো এসব অসহায় মানুষদের।

 

 

আর এসব কারনেই বহুবার মালোশিয়াতে যাতায়াত করে এ তাহমিনা। মানব পাচারের টাকা দিয়ে আজ তাহমিনা অন্তরা কোটি কোটি টাকার মালিক। বহু সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া তাহমিনা অন্তরা রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ। সে এসব সম্পত্তির কোন ট্যাক্স ভ্যাটও প্রদান করেনা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম