তারিখ লোড হচ্ছে...

হয়রানি মুক্ত ইলেক্ট্রিক ব্যবসা কে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হবে ——- খন্দকার রুহুল আমিন

রিমি সরদারঃ
আসন্ন বিইএ ( বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক এসোসিয়েশন) নির্বাচন কে ঘিরে সারা দেশে চলছে ব্যাপক আয়োজন। মহা জোটের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, তিনি এবং তার দল এর প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হবে, ইলেক্ট্রিক ব্যবসাকে হয়রানি মুক্ত করা। নানা খাতে দোকানদারদের হয়রানি হতে হয়। এই সময়ে সমমনা চারটি সংগঠন কে এক ব্যানারে এনে নির্বাচন করাটাই সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা। চারটি সেক্টর নিয়ে এই বিশাল ইলেক্ট্রিক এসোসিয়েশন গঠিত। বাংলাদেশের অন্যতম সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি। কিন্তু করোনা কালীন ক্রান্তিলগ্নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীগণ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ। অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান খোলা থাকলেও এই সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছুই প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিলো। আবার সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম প্রনোদনাও পাননি। তাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী দের কে আবার সচল করতে এবং ইলেক্ট্রিক ব্যবসাকে আবার নিজস্ব গতিতে ফিরিয়ে আনতে তারা সরকারের কাছে কিস্তি ভিত্তিক ঋণ প্রস্তাবের বিষয় টি কেও প্রাধান্য দিচ্ছেন। এতে সরকার এবং ব্যবসায়ী উভয় পক্ষই উপকৃত হবে। কারণ, প্রায় পাঁচ লক্ষ ব্যবসায়ী আছেন পুরো দেশ জুড়ে। শুধু ব্যবসায়ী নয়, এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে আছে আরো নানা পেশার মানুষ। করোনা কালীন সময়ে তারা নিজ দায়িত্বে যতটা সম্ভব মহামারীর মোকাবিলা করেছেন। তবে দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের সহায়তার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মহাজোটের কোন বিকল্প নেই-এমনটা ই মনে করেন খন্দকার রুহুল আমিন।

খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও এম এস এর পণ্য চুরির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ঃ

রাজধানীর কদমতলী পূর্ব জুড়াইনে খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ডিলার হাবিবের বিরুদ্ধে ও এম এস এর পণ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ও এম এস এর পণ্য ডেলিভারি পাওয়ার পরে ট্রাকে সেল করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না ডিলার করিম খানের ছেলে হাবিব। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ডেলিভারি নিয়ে তার নিজস্ব¦ দোকানের গোডাউনে তালা বদ্ধ করে রাখেন। সুনসান রাত গভীর হলে গোপনে বেশি মুনাফায় অন্য দোকানির কাছে বিক্রি করেন। যে কারণে তিনি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। তিনি এতই বেপরোয়া হয়েছেন কোনো সংবাদ কর্মী তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হেনস্তা করতে দ্বিধাবোধ করেন না। আবার কোনো কোনো সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। ও এম এস এর পণ্য বিক্রির ফুটেজসহ কদমতলী থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। থানা পুলিশ, ও স্থানীয় নেতা, পাতিনেতাসহ সবার সাথে গড়েতুলছেন সখ্যতা, যে কারণে সাধারণ মানুষ ভঁয়ে মুখ খুলতে নারাজ। খাদ্য অধিদপ্তরের পণ্য ডেলিভারিতেও রয়েছে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপণা। আব্দুল করিমের নামে লাইসেন্স থাকলেও সাম্প্রতিক পরিচালনা করছেন তাঁর ছেলে হাবিব।
জানা গেছে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল অনুমান চারটা ৩০মিনিটে সংবাদকর্মী জেসিকাসহ তিন সদস্যের একটি দল পূর্ব জুড়াইন ও এম এস এর পণ্য বিক্রির অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। যাওয়ার আগে কদমতলী থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি আইনের সুরক্ষা দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডিলার হাবিবের কাছে তথ্য চাওয়া হলে,তথ্য না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য  এক ব্যক্তি ধামাচাপা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে আরও বলেন,আমি আপনারা একই পেশার,স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু বিষয় ছাড় দিতে হয় বলে পাঁচ হাজার টাকা বেরকরে দেন। উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে ঘটে যায় বিপত্তি। ওই সময় ডিলার হাবিব নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হেনস্তা করার জন্য তার পোষা গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি টের পেয়ে কদমতলী থানার ওসিকে জানালে কোন জবাব না দিয়ে তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। পরে থানার ডিউটি অফিসারকে জানালে তিনিও অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন,এটা ওসি স্যারের ব্যাপার আমি আপনাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারব না। আপনারা স্যারকে ফোন দিতে পারেন। হাবিবের আচরণে এবং ওসির ফোনে কোনো রেসপন্স না পাওয়ায় অপরাধীর সঙ্গে সখ্যতার প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
একটি ¯’স্থানীয় সূত্র বলছে,প্রতি বৃহস্পতিবার পণ্য আমদানি করে তার নিজস্ব গোডাউনে রেখে গভীর রাতে বস্তা পরিবর্তন করেন। তিনদিন তার গোডাউনে জমা রেখে গোপনে গভীর রাতে বিক্রি করেন। থানা পুলিশকে বখরা দেওয়ায় গোপনে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। তবে এতালিকায় স্থানীয় নেতা,পাতিনেতারাও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সূত্রটি আরও বলছে খাদ্য অধিদপ্তরের জিকরুল আলম( ইয়ারো), জুড়াইন এলাকার হুমায়ুন খাদ্য পরিদর্শক নামের কর্মকর্তাগণ পণ্য বিক্রির কাজে সহযোগিতা করছেন বলে জানা যায। যে কারণে প্রতি বৃহস্পতিবার পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পেছনে হাত রযেছে।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে ডিলার করিম খানের ছেলে হাবিব বলেন,আপনি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেন আমাকে ফোন দেবেন না। আমার নামে কোনো লাইসেন্স নাই যা করার অফিস করবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে ফোন দেলে ফোন কল গ্রহণ করেননি। খাদ্য অধিপ্তরের ইয়ারো জিকরুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান, গভীর রাতে পণ্য বিক্রি করলে আমরা ঠেকাতে পারিনা। আমাদের ওই সময় ডিউটি থাকেনা বা আমাদের পাহারা দেওয়ার কাজ না । যদি আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। এসব বিষয় জানার জন্য কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম  জানান আমাকে কেউ ফোন করেননি বা আমার ফোন কথনও বন্ধ থাকেনা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম