ডেমরা থানার এস আই নাজমুলের বিরুদ্ধে সুকৌশলে চাঁদাবাজির অভিযোগ

রাজু আহাম্মেদঃ

রাজধানীর ডেমরা থানার এস আই নাজমুলের বিরুদ্ধে মটরসাইকেলকে জিম্মি করে সুকৌশলে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১:২০ ঘটিকার সময় কবি নজরুল ইসলাম কলেজে অধ্যায়নরত শিহাব মটরসাইকেল যোগে ডেমরা থানাধীন স্টাফ কোয়ার্টার যাওয়ার পথে বামৈল নামক স্থানে মটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় তেলের খোজে গাড়ি ঠেলতে থাকেন। একই স্থানে ডেমরা থানার এস আই নাজমুল ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী শিহাবকে দূর থেকে গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেতে দেখে এস আই নাজমুলের ড্রাইভার বিল্লাল সহ এস আই নাজমুল থানার গাড়ী নিয়ে শিহাবের পথ আটকায়। অতঃপর গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে, শিহাবের সাথে কাগজপত্র নেই বলে জানায় তবে কাগজপত্র বাসায় ফোন দিয়ে আনাবে। কাগজপত্র নেই জেনে এস আই নাজমুল বিএনপির লোক বলে এবং বিভিন্ন মামলার হুমকি দিয়ে শিহাব এবং তার সাথে থাকা সামির ও মামুনকে থানার গাড়িতে তোলেন এবং বলেন, তোমরা এই গাড়ি জালাও পোড়াও করতে এসেছো। শিহাব গাড়ীর কাগজ আনার জন্য তার বড় ভাই হিমেল কে ঘটনা সম্পর্কে জানালে, শিহাবের বড় ভাই যাত্রাবাড়ী থেকে বামৈল মটরসাইকেলের লাইসেন্স সম্পর্কিত কাগজপত্রাদী নিয়ে যায়। কিন্তু গাড়ীর কাগজপত্র দেখার পরেও বিএনপির প্রিকেটিং এর মামলা দেওয়ার কথা বলেন এস আই নাজমুল। কোনো প্রকার দিশা না পেয়ে নিজের ভাইকে মামলা থেকে বাচানোর জন্য এস আই নাজমুলের সাথে কথা বললে এস আই নাজমুল পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবী করেন । উক্ত টাকা না দিলে এত রাতে গাড়ী পোড়াতে এসেছে বলে প্রিকেটিং মামলা দিয়ে দিবে বলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। অতঃপর নিরুপায় হয়ে শিহাব ও তার ভাই হিমেল অনেক আকুতি মিনতি করার পর পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভুক্তভোগী শিহাবের বড় ভাই হিমেল তখনি যাত্রাবাড়ীতে তার নিজ বাসায় এসে পনেরো হাজার টাকা নিয়ে পূনরায় বামৈল চলে যান। এসময় এস আই নাজমুল সাদা পোশাকে থাকা একজনের সাথে পরামর্শ করে টাকা পনেরো হাজার সেই ব্যক্তির হাতে তুলে দিতে বলেন। এস আই নাজমুলের নির্দেশে ভুক্তভোগী শিহাবের বড় ভাই হিমেল ৩ টি এক হাজার টাকার নোট এবং ১২০ টি একশত টাকার নোট মিলিয়ে মোট পনেরো হাজার টাকা নাম না জানা সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। টাকা বুঝে পাওয়ার পর শিহাবের বড় ভাই হিমেলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে এবং এই বিষয় কারোর সাথে আলোচনা বা না জানানো শর্তে শিহাব, সামির ও মামুনকে ছেড়ে দেন। এছাড়াও পরবর্তীতে উক্ত বিষয় কাউকে জানালে বিএনপির প্রিকেটিং এর মামলা দিয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করেন।

ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগী শিহাবের বড় ভাই স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘটনা সম্পর্কে জানায়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সংবাদকর্মীরা এস আই নাজমুলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রথমে এস আই নাজমুল সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে কল দিয়ে চায়ের দাওয়াত দেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের স্বার্থে সংবাদকর্মীরা এস আই নাজমুলের সাথে সাক্ষাৎ করতে স্টাফ কোয়ার্টার যায়। স্টাফ কোয়ার্টারে সংবাদকর্মীদের সাথে এস আই নাজমুল সহ গাড়ীর ড্রাইভার বিল্লাল একটি রেস্টুরেন্টে বসে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করেন। এক পর্যায়ে ঘটনার সম্পর্কে এস আই নাজমুল বলেন, টাকা পয়সা সম্পর্কে আমি জানি না, তবে ঘটনা স্থানে আওয়ামীলীগের দলীয় কিছু লোক উপস্থিত ছিলো। তারাই প্রতারনার মাধ্যমে টাকা টা নিয়ে গেছে। সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে এস আই নাজমুল বলেন, সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তি টি আওয়ামীলীগের নেতা । আর টাকা পয়সা নেওয়ার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী জানায়, সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তিটি এস আই নাজমুলের সোর্স হিসেবে কাজ করছিলো এবং টাকা নেওয়ার পূর্বে সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তি টি একাধিক বার এস আই নাজমুলের সাথে আলোচনা করেছে। এস আই নাজমুলের সাথে একাধিক বার আলোচনা করার পরেই পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ।

এস আই নাজমুলের মত পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারন জনগন নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে বলে আশংকা ব্যাক্ত করে, উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ চুরি, আড়াই কোটি টাকার সোনা নিয়ে পালাল চোর

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সীমান্ত সম্ভারে সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৩১)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাদনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে চুরি হওয়া সর্বমোট ৫০ ভরি আট আনা সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার ‍দিকে বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি শোরুমে চুরি হয়। ওই শোরুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা চোররা শোরুমের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে ১৫৯ ভরি সোনার গহনা নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা।

ডিবি জানায়, গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া ছবির সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার পথে মো. রুবেল নামে একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরবর্তীতে কুমিল্লার দেবীদ্বার বাজারসংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সফিক ওরফে সোহেলকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা এলাকার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়না এবং ২১ ভরি ১০ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়নার গলিত দানা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে সাদ্দাম হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের থেকে ৫০ ভরি আট আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক মূল্য ৭০ লাখ টাকা।

ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ডিবি।

 

সবা:স:জু- ৭৫৭/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম