তারিখ লোড হচ্ছে...

থানার সামনেই সংঘর্ষ, তিন পুলিশসহ আহত ৮ আটক ৬

 

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়, নবীনগর, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

থানার সামনেই ঘটে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা! পুর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দু পক্ষের এই সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নবীনগর থানা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে।উপজেলা সদরে বিভিন্ন কাজেকর্মে আসা লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শাওন নামে এক যুবককে শ্রীরামপুর এলাকায় সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করার সংবাদ পায় তার মামা কাউছার মিয়া। থানায় একটি সালিশি সভা থেকে খবর পেয়ে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি।

এ সময় থানা গেটে আলমনগর গ্রামের রাজিব ও রবিনের সঙ্গে কাউছারের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে দু’পক্ষের লোকজন থানা গেটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিন পুলিশসহ ৮জন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে দ্বিতীয় দফায় দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষে বাধে।

আহতরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ, এসআই আসরাফুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাওন মিয়া (৩০), কাউছার মিয়া (৪৫), ছুবুর মিয়া (৩০), পাবেল মিয়া (৩৪)রাজিব (৩০)।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুমিল্লায় সাংবাদিক সফিউল আলমকে প্রাননাশের হুমকি!থানায় সাধারণ ডায়েরি

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লায় জাতীয় দৈনিক গনজাগরন পত্রিকা ও রাজধানী টেলিভিশন (আইপি টিভি) কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি নগরীর তালপুকুর পাড় এলাকার বর্তমান বাসিন্দা মোঃ শফিউল আলম নামক এক সাংবাদিক কে মুঠোফোনে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সান্দিসকরা গ্রামের আব্দুল জলিল রিপন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।এঘটনায় শফিউল আলম বাদি হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় বিবাদী আব্দুল জলিল রিপন এর ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বার থেকে বাদীকে কল দিয়ে দেখা হওয়া মাত্র কুপিয়ে হত্যা করিবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে।অভিযোগ এর বিষয়ে আলাপকালে বাদী শফিউল আলম জানায় আমার বাড়ী ও বিবাদীর বাড়ী চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।কিন্তু আমি বর্তমানে কুমিল্লা নগরীর তালপুকুর পাড় এলাকায় বসবাস করে আসছি।হত্যার হুমকিদাতা বিবাদীর সাথে আমার পূর্বে কোন জামেলা কিংবা বিরোধ নেই।কিন্তু আজ কে হটাৎ বিবাদী আব্দুল জলিল রিপন আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দমকি দিতে থাকে,আমি অসংখ্য বার জানার চেষ্টা করেও তার কোন সঠিক কারণ খুঁজে পাইনি। এমতাবস্থায় আমার সংগঠন এর সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি থানা পুলিশের দারস্থ হই।হত্যার হুমকি দাতা আব্দুল জলিল রিপন চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে আব্দুল জলিল রিপন চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাব এর সভাপতি পদের অপব্যবহার করে ও সংগঠন এর নাম ভাঙ্গিয়ে নামে বেনামে বিভিন্ন শিল্পপতি ব্যবসায়ী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করে আসছেন।এবং চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি হওয়ার পর বছর খানেক এর মধ্যে আব্দুল জলিল রিপন আঙুল পুলে কলাগাছ বনে গেছেন।তার রয়েছে একাধিক ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।এঘটনার বিষয় জানতে আব্দুল জলিল রিপন কে একাধিক বার কল দিয়ে ও পাওয়া যায়নি।একজন দায়িত্বশীল গণমাধ্যম কর্মীর এমন আচরণ জনিত অডিও রেকর্ড টি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক মহলে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে।অভিযোগ এর বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম