তারিখ লোড হচ্ছে...

গাজীপুর টঙ্গীতে এরশাদ নগর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

 

সৈয়দা রোকসানা পারভীন(রুবি):
টঙ্গীতে কোচিং করতে গিয়ে রহিমা আক্তার (১২) নামে এর স্কুল ছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহত রহিমা বরিশাল জেলার হিজলা থানার চড়দিভূয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। টঙ্গীর এরশাদ নগর ৩ ব্লকে পরিবারসহ বসবাস করতেন রহিমা। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

সোমবার ১০ জানুয়ারি বিকেলে টঙ্গীর এরশাদনগর ৩নং ব্লকের মৃত মোমিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, রহিমা আক্তার দুপুর আড়াইটায় মোমিন মিয়ার বাড়ির নিচ তলায় নুপুরের কাছে কোচিং করতে আসে। পরে বিকাল
সাড়ে তিনটায় নুপুর সকলকে ছুটি দিয়ে তার বাসায় চলে আসে। এর কিছুক্ষন পর ওই বাড়ির ছাদ থেকে পুড়া গন্ধ ও ধোঁয়া বের হতে
থাকে। পুড়া গন্ধ ও ধোঁয় দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এসময় এলাকাবাসীসহ পুলিশ ছাদে উঠে রহিমাকে ১১ হাজার বোল্টের তারের সাথে ঝুলতে দেখে। পরে ডেসকোর সহাযোগীতায় রহিমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাভেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন
আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

হাতকড়াসহ থানার টাওয়ারে আসামি

স্টাফ রিপোর্টার॥

থানার টাওয়ারে হাতকড়া পরা যুবক (বামে) ও তাকে নামার অনুরোধ করছে পুলিশ।

আলী রেজা রাজু,ঢাকা: হাতকড়াসহ থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে আসামি। টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ সদস্যদের চেষ্টায় কাজ না হওয়ায় ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টাও নামেননি সেই যুবক। অবশেষে ডাকা হলো যুবকের পরিবারের সদস্যদের। পরে মায়ের অনুরোধে টাওয়ার থেকে নেমে আসেন আসামি। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে সাভার মডেল থানায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, সাভার রেডিও কলোনি এলাকার একটি বাসায় চুরি করার সময় বাড়ির সদস্যদের হাতে আটক হন মমিন নামের ওই যুবক। পরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক বাদলের নেতৃত্বে দুপুর দেড়টার দিকে একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে থানায় নিয়ে আসে মমিনকে। কিন্তু থানায় আসার পর পুলিশের কাছ থেকে ছুটে থানা প্রাঙ্গণে অবস্থিত ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠে যায় মমিন। ছেড়ে দেওয়া না হলে টাওয়ার থেকে লাফিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয় মমিনকে উদ্ধারের জন্য। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও ডাকা হয়।
অবশেষে মমিনের মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেকে বুঝালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নেমে আসে মমিন। জানতে চাইলে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠেছে এমন খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। ওই যুবক অনেক উপরে উঠেছিল। টাওয়ারটি পুরাতন হওয়ায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে তার মাকে ডেকে আনা হলে মায়ের অনুরোধে যুবকটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিচে নেমে আসেন,যোগ করেন তিনি। ওই যুবক হাতকড়াসহ টাওয়ারে উঠেছিল কি না, জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, হাতকড়া পরা অবস্থায় তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন। তাকে জেলে পাঠানো হবে এমন ভয় থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিতেই তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়াওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। আটক করে থানায় আনার পর তিনি ওয়্যারলেস টাওয়ারে উঠে যান।

সবা:স:জু-৮৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম