টংগী’তে অবস্থিত ‘জাবান হোটেল’ যেনো অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও মদ সেবনের নিরাপদ আড্ডাখানা

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা এবং সারাবিশ্বের মুসলিম সমাজের পবিত্র একটি মহা সম্মেলন কেন্দ্র হলো টংগী, আর খোদ এখানেই কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ি কোনো প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছে মদ সেবন ও নারী’দের অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী। সেই সাথে সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় মদ সেবন ও অশ্লীল নৃত্য, চলতে থাকে ভোর পর্যন্ত। ‘হোটেল জাবান’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বাদল আহমেদ যিনি জার্মান বাদল নামে পরিচিত। যানাযায় তিনি জার্মান আওয়ামিলীগের সি.সহ-সভাপতি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। কিন্তু বাছাই পর্বে তিনি বাদ পড়েন। এই জার্মান বাদল নিজেকে আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা মনে করে চালিয়ে যাচ্ছেন এই অবৈধ হোটেল ব্যবসা। দশতলা বিশিষ্ট সৌন্দর্যমন্ডিত এই হোটেলের বাহিরের দৃশ্য দেখে বুঝার উপায় নেই ভিতরের কি অবস্থা। ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা, তার মধ্যে ক্লায়েন্টের জন্য রিলাক্স, সুইট এসি রুম সহ সিঙ্গেল ও ফ্যামিলি রুম। হোটেলটিতে রয়েছে বিলাসবহুল মোট ৬৬ টি রুম। এর মধ্যে কনফারেন্সের জন্য হল, আলাদা বিজনেস সেন্টার, ডেলটা ক্যাফে, বিউটি সেলুন, রয়েল রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল, ওভার ফ্রেশ ক্লাব সহ নানা প্রকার বিনোদন। আর এ সকল বিজনেসের আড়ালেই প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে যতসব মদ,নারী ও অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী। বেশ কিছুদিন পূর্বে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এর পরেও কোনোভাবে যেন থামছেনা এই অবৈধ হোটেল বিজনেস। আর এতে করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ আজ নষ্ট হতে চলছে। এ ছাড়াও অনেক স্কুল- কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া সুন্দরী মেয়েদের এখানে এনে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের বিজনেস করার কারনে হরহামেশা যুব সমাজ জড়িয়ে পড়ছে নানা প্রকার অপরাধে। সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়েদের অর্ধনগ্ন করে ডান্স পরিচালনা করে টাকা উড়ানো সহ নানা প্রকার অপরাধ। এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা ভয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে তারা কেউ কেউ নাম না বলা শর্তে বলেন,এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সমাজের বেশিরভাগ মানুষ খারাপ হয়ে যাবে।( চলবে)

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আরিচাগামী লেনে ২০ মিনিট অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সড়কে আসেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘দফা এক দাবি এক, জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ’, ‘সারাদেশে ছিনতাই কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রক্তের দাম চাই, নিরাপদ দেশ চাই’, ‘মা-বোনদের নিরাপত্তা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

অবরোধে মার্কেটিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামন উজ্জ্বল বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে, কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর যখন বর্বর হামলা চলছিল, তখন তিনি ডেভিল হান্টের নামে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছেন। আপনি যদি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্রুত পদত্যাগ করুন। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেব।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো আওয়ামী দোসররা বহাল রয়েছে। তাদের দ্রুত চাকরিচ্যুত করতে হবে। সারাদেশে খুন, ধর্ষণ ও ছিনতাইকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। আজকের মধ্যে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

অবরোধে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র অধিকার সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল এখানে সুশাসন, মানবাধিকার ও তার নৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। মানুষ প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, ছিনতাই ও হত্যার শিকার হচ্ছে। এর দায়ভার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকেই নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি তার দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় ছাত্র-জনতা গদি থেকে নামাতে বাধ্য হবে।

জিয়া উদ্দীন আয়ানের সঞ্চালনায় সমাপনী বক্তব্যে তুলনানামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষার সরকার দায়িত্বগ্রহণ করে। কিন্তু জনগণ যে আকাঙ্ক্ষা থেকে এই সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে তারা সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের কাছে বলবো, যথাযথ পদক্ষেপ নিতে যদি কোনো নির্দিষ্ট মহল বাধা দেয় তাহলে আপনারা জনগণের কাছে তা পরিষ্কার করুন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার যথাযথ পদক্ষেপ নিন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম