বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি ও চার্জিং স্টেশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয় নাই: বামা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি ও চার্জিং স্টেশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয় নাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা)।

বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের যানবাহন হচ্ছে ইলেক্ট্রিক যানবাহন (ইভি)। প্রস্তাবিত বাজেটে (২০২৪-২৫) ইভির ক্ষেত্রে কোন সহায়তা দেখিনি। বিনিয়োগের শর্তে যদি ডিউটি সুবিধা দেওয়া যায় তাহলে বিকাশ সম্ভব, না হলে এই খাতের বিকাশ কঠিন।

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) নেতৃবৃন্দ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে সরকার ভালোভাবে বাজেট দিয়েছে, আমরা মনে করেছিলাম সব জায়গায় ডিউটি আরোপ হবে তেমনটি হয়নি। তবে বাজেটে অনেক আশা ছিল, কিছু সাপোর্ট পাবো, কিছু সাপোর্ট পেয়েছি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে অন্য ক্ষেত্রে সেভাবে পাওয়া যায়নি। ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। চীন পনের বছর ধরে সহায়তা দিয়েছে, ভারত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশেও সহায়তা প্রয়োজন, না হলে এই খাতটি বিকশিত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা, আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। সরকার যদি বহুচাকার ট্রাকে ছাড় দেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। সারাবিশ্বে বহুচাকার ট্রাকের উপর ছাড় দেওয়া হয়। রোড, ব্রীজ ও ফেরীর টোল কমিয়ে আনা উচিত। তাহলে বড়গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেলে সড়কের ক্ষতি কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে খুবই বিব্রত, সরকারও বিব্রত। আমরা যে চ্যাসিস দেই, সবাই বডি বানায়। আমার মনে হয় বডি বানানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা উচিত। সরকার অনুমোদিত ছাড়া কেউ বডি বানাতে পারবে না, সরকারের রেগুলেশন করা দরকার। টায়ারের ডিউটি বেশি অনেকে টায়ার নির্ধারিত সময়ে বদলাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। চাকার ডিউটি শূন্য না হলেও অর্ধেকে নামিয়ে আনা উচিত।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, অতীতে যে প্রোনোদনা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে টু হুইলার শিল্পে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ইভির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও সহায়তা দেওয়া জরুরি।

ইজিবাইক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান খান বলেন, টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত আসবে। এটাকে কিছুটা আধুনিকায়ন করে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

আকিজ মটরস এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ আমিন উদ্দিন বলেন, সবার আগে হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। আজকে ঢাকার অবস্থা কি, আমাদের গর্ভবতী মায়েদের কি অবস্থা এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিতে হবে। ইভি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন সারাবিশ্বে এর ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশে সহায়তা দেওয়া না হলে পিছিয়ে পড়বে এই খাত। আমরা চাই কমপ্লিট ইভি নীতিমালা।

বিভাটেক এন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান পরাগ, ইফাদ গ্রুপের পরিচালক আবির বকশীসহ অনেক উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন। তারা সরকারের কাছে বাজেট রিভিউ করার দাবি জানান।

 

আজ স্বর্ণের নতুন দাম

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। আজ থেকে কার্যকর হবে স্বর্ণের এই নতুন দাম।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে।

এছাড়াও দেশে গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানোর পর আবারও গত ২২ ও ১৯ নভেম্বর বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম।

 

সবা:স:জু-১৯৮/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম