গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড বাসস্ট্যান্ডে হকার আলম অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে করছেন চাঁদাবাজি

 

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন :

গাজীপুরের সব থেকে জ্যামজট এলাকা বলে খুব পরিচিত এলাকার নাম টঙ্গী। এই টঙ্গীতে প্রায় ৪০/৫০ লক্ষ মানুষের বসবাস।
তবে টঙ্গীর সব থেকে ব্যাস্ততম এলাকা বলা হয় স্টেশন রোড এলাকাটি। ব্যাস্ততম এই এলাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে হকার্সলীগের কথিত সভাপতি হকার আলমের চাঁদাবাজি, অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কাণ্ডে হতভম্ব স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছেন দ্রুত চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে নেওয়া হক কঠোর আইনি ব্যববস্থা।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, টঙ্গী স্টেশন রোড ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দখল করে বসিয়েছে হকার আলম এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড ঘুরে জানা গেছে, অবৈধ এই সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রায় ১০০/১৫০ টি সিএনজি থাকে । এসব সিএনজি টঙ্গী থেকে ঢাকা রোডে চলাচল করে। অবৈধ এই সিএনজি স্ট্যান্ডে গাড়ি নিয়ে দাড়াতে হলে সিএনজি চালকে গুনতে হয় ১০০টাকা, সেই হিসেবে প্রায় ১০০/১৫০টি গাড়ি থেকে জিপির নামে তোলা হয় প্রতিদিন ১০/১৫ হাজার টাকা। যার মাসে হিসেব দারায় ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এছাড়াও প্রতিমাসে থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে এসব সিএনজি থেকে তোলা হয় আলাদা টাকা। সেই হিসেবে প্রতিমাসে প্রশাসনের নামে তোলা হচ্ছে আরও ১ লাখ টাকা। অবৈধ এই সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন কথিত লাইনম্যান আলামিন কে দিয়ে হকার্সলীগের কথিত নেতা হকার আলমের নির্দেশে টাকা উত্তলন করেন বলে জানান,এই কথিত লাইনম্যান আলামিন । এসব টাকা পুরোটাই যায় হকারলীগের কথিত সভাপতি হকার আলমের পকেটে।গত কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ স্ট্যান্ড নিজের দখলে রেখেছেন এই হকার্সলীগের কথিত নেতা হকার আলম। কথিত লাইনম্যান আলামিন এর কাছে টাকা তোলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে আমাকে আলম ভাই টাকা তোলার দায়িত্ব দিয়েছে আমি সেই টাকা উত্তলন করে তাকে বুঝিয়ে দেই, বিনিময় আমাকে কিছু টাকা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি চালক অভিযোগ করে বলেন,প্রতিদিন সকালে গাড়ি নিয়ে স্ট্যান্ডে আসলে লাইনম্যান এসে নিয়ে যায় ১০০ টাকা করে। এছাড়াও প্রতিমাসে আলাদা প্রশাসনের নামে টাকা তুলে লাইনম্যান নিয়ে যায়। আমাদের কাছ থেকে নেওয়া এই টাকাগুলো কোন খ্যাতে খরচ হয় আমরা তার কিছুই জানিনা। লাইনম্যান কে টাকা না দিলে করা হয় মারধর সরিয়ে ফেলতে হয় স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি। ঢাক ময়মনসিংহ মহাসড়কে সিএনজি এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকে। একারনে আশপাশে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ পথ সামনে এসে যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এই বিষয় জানার জন্য,হকার আলমের এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে জানান, সারাদেশে বড় বড় চাঁদাবাজ আছে তাদের নিয়ে নিউজ করেন এই সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন, আমার অনেক ভাই ব্রাদার সাংবাদিক, এছাড়া প্রতিবেদক কে অনেক ধরনের গালাগালি করেন এবং মারার হুমকিও দেয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য,গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইব্রাহিম খান মুঠোফোনে কল করলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে জানান, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি সত্যতা পাওয়া গেলে নেওয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা।

জবিয়ান জামালপুর ফোরাম কর্তৃক বার্ষিক বনভোজন গজনী অবকাশে অনুষ্ঠিত

উম্মে রাহনুমা ,জবি প্রতিনিধি:

জবিয়ান জামালপুর ফোরামের বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ শেরপুর জেলার গজনী অবকাশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাবেক শিক্ষার্থীরা(জবিয়ান) সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জামালপুর জেলার সাবেক জবিয়ান ভাইদের একান্ত প্রচেষ্টায় জামালপুরে অবস্থানরত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রিতি বৃদ্ধি করতে সেই ২০২০ সাল থেকে জবিয়ান জামালপুর ফোরাম কাজ করে আসছে।

বনভোজনের জন্য সকাল সাড়ে সাতটায় জামালপুরের পাঁচ রাস্তা থেকে বাস গজনী অবকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, লটারি এবং স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা। দুপুরে ঐতিহ্যবাহী মিল্লিভাত পরিবেশন করা হয়, যা অতিথিদের বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।

বনভোজনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। হাসি-আনন্দে মুখরিত পরিবেশে একে অপরের সঙ্গে স্মৃতিচারণ, খুনসুটি আর গল্পে সময় কেটেছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল চূড়ান্ত উচ্ছ্বাস, আর বিজয়ীদের মুখে ঝরে পড়ছিল খুশির ঝলক। দিনশেষে ফোরামের সদস্যরা আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফোরামের আহ্বায়ক ও হযরত শাহজামাল (র.) জেনারেল হাসপাতালের এমডি জনাব আশরাফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের এই মিলনমেলার মাধ্যমে একটি আন্তরিকতা ও সুসম্পর্ক তৈরি হবে। আমরা সবাই একত্রে একটি পরিবারের মতো পথ চলতে চাই।”
জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি হারুন বলেন, “জামালপুর আমার অস্তিত্ব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার পরিচয়। সুতরাং জবিয়ান জামালপুর আমার অনুভূতির সাথে মিশে আছে।সাবেক জবিয়ান ভাইরা আমাদের প্রেরণার উৎস।তাদের প্রেরণা ও সহানুভূতি নিয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কে আরো এগিয়ে নিব, ইনশাআল্লাহ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম