পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  দোকানে চুরি, গ্রেফতা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার এক চুরির ঘটনার রহস্য যেন শেষ হচ্ছে না। চুরির মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার হওয়ার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে। এদিকে যার দোকানে চুরি হয়েছে তিনি জানাচ্ছেন তাকে প্রভাবশালী একটি মহল দিয়ে হুমকি দিচ্ছে চোরচক্রের লোকজন।

শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪, এই বিষয়ে চুরি হওয়া দোকানের মালিক নুরু মিয়া ও এলাকাবাসী জানায় তার দোকানে এ নিয়ে ৪ বার এর মত চুরি হয়েছে এবং এলাকার আরো দোকানেও কিছু দিন পর পর চুরি হচ্ছে । এতদিন চোর ধরা পড়েনি। কিন্তু এবার চুরির মাস্টারমাইন্ডকে চিনিয়ে দিয়েছে চোর চক্র। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া মাস্টারমাইন্ড রুবেল এর লোকেরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, যেন তাকে অভিযুক্ত করা না হয়। এবং অসত্য নিউজ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে চাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রামনগর গ্রামে গত ২০শে জুন আনুমানিক রাত ৩ টার সময় মান্নান মার্কেটের (নুরু মিয়া) নামের এক ব্যক্তির দোকানে চুরি হওয়ার সময় গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে চোরদের ধাওয়া করলে ৩ জন পিক-আপ রেখেই পলিয়ে যায় এলাকাবাসি সেই পিক-আপ ভ্যান আটক করে । সে দিন সকালেই পুর্বহুড়া গ্রাম থেকে চোর চক্রের সদস্য পিক-আপ ভ্যানের ড্রাইভারকে ধরতে সক্ষম হয় এলাকাবাসি। চোর সদস্যর একজন বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত হাফিজ মিয়ার ছেলে (আরিফুল ইসলাম বাপ্পি ) তাৎখনিক রামনগর ও ইছাপুরা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হয়। সকালে ওয়ার্ড মেম্বারের উপস্থিতিতে চোর সদস্য ড্রাইভার বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় জগৎপুর গ্রামের শামসুল অলম মোল্লার ছেলে (আশিক) ছিলো চোরচক্রের একজন যে কিনা পালিয়ে যায় সে দিন রাতে, তার বাড়ি জগৎপুর ,বাপ্পি আরো জানায় চুরির সাথে এলাকার লোকও জড়িত আছে তবে তার নাম বলতে পারছেনা, দেখলে চিনবে বলে জানায় । পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী চোর সদস্যকে নিয়ে সন্দেহ ভাজন একজনকে দেখাতেই চোর নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দেয় এই ছেলেটি (রুবেল) চুরি করতে সাহায্য করেছে। রুবেল রামনগর চরপাড়া গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে । তাৎক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো: নুরুল ইসলাম, রুবেল ও বাপ্পি কে গ্রেফতার করে থানা হাজতে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় চার বছর আগে নুরু মিয়ার দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ফার্নিচার ব্যবসা করেছেন রুবেল, এক পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রী করার সময় দোকান থেকে ধরা পরার কারনে এলাকাবাসি দোকান থেকে বিচার সালিশ করে উচ্ছেদ করে দেয়। পরে রুবেল নুরু মিয়ার দোকান ছেড়ে একটু সামনে এসে আরেকজনের দোকান ভাড়া নেন । রুবেলের নামে শত শত চোরাই মোবাইল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে, এ নিয়ে অনেক বিচার সালিশ বসেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

এলাকাবাসি জানায়, চুরির মামলা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাচ্ছে রুবেল।

এমনকি সে দাবি করেছে যে, তাকে তার নিজ দোকান থেকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে তাকে অন্য এক দোকানে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। সে যে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। এ থেকেই স্পষ্ট হয়।

নুরু মিয়া জানায় রুবেলকে পুলিশ হাজত থেকে ছাড়িয়ে আনতে প্রভাবশালী একটি মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এতে আমি সহ এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, রুবেল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব -পরিকল্পনা করে আমার দোকানে চুরি করিয়েছে । এবং এলাকাবাসীর সবাই মিলে চোরচক্রের সবার যেন সঠিক বিচার হয় তাই মানববন্ধন কর্মসুচি দেয়া হয় এবং প্রশাসনের কাছে আমি সহ এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

কুমিল্লা-৫ এ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ

রাকিব হোসেন মিলন বিশেষ প্রতিনিধি।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। (২২ নভেম্বর ২০২৩) বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের  সভাপতি ছিলেন।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির  সহসভাপতির দ্বায়িত্ব পালন সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তিনি জাতীয় দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর প্রশ্নের এক জবাবে বলেন,তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না,যদি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে স্বতন্ত্র হয়ে অংশগ্রহণ করার আশা ব্যক্ত করি। জানা যায়, কুমিল্লা-৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২৯ জন প্রার্থী।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল বেশি। ১৯৯১ সালের ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সাংসদ হোন এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে আবদুল লতিফ। ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে আবুল কাশেম। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হোন অধ্যক্ষ মো: ইউনুস। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকে এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হোন এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে এ এস এম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হোন এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন নাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান। এরপর থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলেই রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল ২০২১ সালে এই আসনের এমপি সাবেক আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু মারা গেলে আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবুল হাসেম খান বিনা প্রতিদ্বদ্বীতায় নির্বাচিত হোন। মুলত এই আসনের আওয়ামী সমর্থিত অনেকবারের সাংসদ এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু’র মৃত্যুর পর আসনটিতে শুরু হয় আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতৃত্বের সংকট। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনের হাল ধরতে উঠেপড়ে লেগেছেন প্রয়াত মতিন খসরু’র পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দুই ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। এ নিয়ে আসনটিতে শুরু হয় গ্রুপিং। চলতে থাকে যার যার মতো করে কেন্দ্রে তদবির। মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চলছে লবিং নানা প্রচারণা ও দৌড়ঝাঁপ। এদিকে কুমিল্লা-৫ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি এ নিয়ে ভোটার মহলেও চলছিলো নানা জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে নানা কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে ২৬ নভেম্বর বিকেলে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেন ২৯৮ আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম। বর্তমান এমপি এডভোকেট আবুল হাসেম খান ই আবারো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চায়ের দোকান, বাজার-ঘাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানে একটাই আলোচনা- প্রার্থীরা কে কেমন? কার জনপ্রিয়তা বেশি? কাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে।স্থানীয় আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা যায় যিনি মনোনীত হবেন তার হয়েই নৌকা প্রতীকে কাজ করবে তারা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, সাবেক আইনমন্ত্রী প্রয়াত এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপির বিদায়ে আসনটিতে নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গ্রুপিংয়ের কারণে আওয়ামী লীগের একক শক্তি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। তবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রয়াত মতিন খসরু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এছাড়াও অনেকেই আছেন এই আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে মনোনীত করবেন তাকে নিয়েই কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন একাধিক নেতাকর্মীরা। অপর দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এ দাবি আদায় করে তারপর নির্বাচনে যেতে চায় তারা। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসুযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ত্যাগী নেতারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদে যেতে চায়। যদি ত্যাগী   নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা-৫ আসনে সহিসংতার সম্ভবনা রয়েছে। আর আ’লীগের মধ্যে  ঐক্য না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম