অভিভাবকহীন সন্তানদের থেকে রাষ্ট্রও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে

সাঈদুর রহমান রিমন:

বৈষম্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বঞ্চনা, নিপীড়নের ‘কোটা বিরোধী’ যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। তারা আমাদেরই সন্তান। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রাষ্ট্র আরোপিত অন্যায্যতার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় দিশেহারা শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেছে সেখানে তারা অভিভাবকহীন। মিছিলের স্লোগান কী হওয়া উচিত- তা ঠিক করে দেয়ার মতো পরামর্শকও নেই তাদের। সে আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক ছায়া নেই, ভিনদেশি চক্রান্তেরও কোনো ছোঁয়া পড়েনি। সরকার, রাষ্ট্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নয়। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কেউ নেতা হয়ে উঠছে না, রাষ্ট্র ক্ষমতায় ভাগ বসানোরও কেউ নেই।

ন্যায্যতা প্রাপ্তির আর্তিকে স্লোগানে রুপ দিয়ে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। বঞ্চিতরা বিনয়ে গদগদ হওয়ার পরিবর্তে হয়তো কথা বলছে প্রতিবাদী ভাষায়। এসব আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ তো বাঙালিদের বীরত্বগাঁথা ঐতিহ্যেরই অংশ। তা সত্তেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনে সশস্ত্র প্রতিরোধের নৃশংসতা কেন? কেন ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তে রঞ্জিত হবে ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ? অতি সাধারণ দাবির কারণে কেন বইতে হবে লাশের ওজন? কেনইবা রাজাকারের ঘৃণ্য তকমা তাদের ললাটে এঁকে দিতে হবে?

আন্দোলন সংগ্রামের জ্বলন্ত অগ্নিশীখা থেকে জন্ম নেওয়া ঐতিহ্য গৌরবের ছাত্রলীগ হঠাত শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড়ালো কেন সে হিসেব অনেকেই মেলাতে পারছেন না। কোটা বিরোধী চলমান আন্দোলন নিশ্চিহ্ন করতে ছাত্রলীগকে যে কোনো পর্যায়ের বর্বরতা চালানোর নির্দেশটা এলো কোত্থেকে? আদালতের সিদ্ধান্তেই কোটা’র ভাগ্য নির্ধারন হোক কিংবা সে বিষয়ে সরকারের বিশেষ সহমর্মিতা থাকুক না থাকুক- সেই ব্যাপারে আমার মতামত প্রকাশে মোটেও উৎসাহ নেই আমার। তবে শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলনে দমন পীড়ন চালিয়ে ক্ষোভ আর ঘৃণার পাহাড় সৃষ্টির বিপক্ষে আমি। উন্নয়ন জোয়ারের দাবিদার দেশটিতে এহেন অপকর্মের খুবই কী দরকার ছিল?

একক জনপ্রিয়তার একতরফা শাসন ব্যবস্থায় বোবা-বধিরে রুপান্তরিত কোটি কোটি অভিভাবক জীবদ্দশাতেই নিজ সন্তানদের অসহায়ত্ব দেখতে পাচ্ছেন। দেখছেন, এ সন্তানদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। সচেতন দাবিদার পন্ডিতবর্গ, সুশীল সমাজ, সিনিয়র সিটিজেন কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সম্মানীত নাগরিক, গর্বের প্রতীক- কেউ তাদের পাশে যায়নি, কেউ-ই না। অভিভাবকহীন লাখ কোটি সন্তানদের থেকে রাষ্ট্রও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে…

লেখক- সিনিয়র সাংবাদিক

সানট্যান ও স্পট দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতায় থানাকা

রুপচর্চা ডেস্ক:

মায়ানমারের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যচর্চার সাথে থানাকা শব্দটি জড়িত। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এই উপাদানটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে, সেটা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। সানট্যান ও স্পট দূর করে স্কিনের গ্লো ফিরিয়ে আনতে থানাকা কীভাবে কাজ করে, সেটা জেনে নেই চলুন।

থানাকা আসলে কী?

সাউথ ইস্ট এশিয়ান কান্ট্রি বিশেষ করে মায়ানমারে Limonia acidissima বা থানাকা প্ল্যান্ট পাওয়া যায়। এই গাছের বাকল সংগ্রহ করে, সেটা ভালোভাবে গুঁড়ো করে বা পেস্ট বানিয়ে ত্বকের জন্য ব্যবহারোপযোগী করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী এতে মিক্স করা হয় অন্যান্য স্কিন বেনিফিসিয়াল ইনগ্রেডিয়েন্ট। থানাকাতে আছে স্কিন ব্রাইটেনিং, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টিজ। শুধুমাত্র মায়ানমার না, থাইল্যান্ড ও আশেপাশের অনেক দেশেই এই উপাদানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

স্কিনকেয়ার বেনিফিট

প্রায় ২,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মায়ানমারে রূপচর্চায় এই উপাদানটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কী আছে এতে, কেন এতটা জনপ্রিয় এই থানাকা, আসলেই কি এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে- নিশ্চয়ই এই প্রশ্নগুলো আপনার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে! চলুন তাহলে জেনে নেই এর বেনিফিট সম্পর্কে।

প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে:

থানাকাতে আছে স্কিন ব্রাইটেনিং প্রোপার্টিজ। এটি মেলানিন প্রোডাকশনকে ট্রিগার করে এমন এনজাইমের (টাইরোসিনেজ) কার্যক্রমকে বাধা দেয়। আর মেলানিন প্রোডাকশন কন্ট্রোলে আসলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল হয়।

সানট্যান ও স্পট দূর করে:

এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পটেনশিয়াল সোর্স যা ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। সানট্যান, স্পট ও ডিসকালারেশন দূর করে স্কিনের হেলদি গ্লো রিস্টোর করে। আগেই বলেছি, এতে আছে ন্যাচারাল স্কিন ব্রাইটেনিং এজেন্ট। ডাল, ড্যামেজড স্কিনের ন্যাচারাল সল্যুশন হিসেবে থানাকা মাস্ক বেশ ভালো কাজ করে।

প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করে:

এতে আছে এমন কিছু এলিমেন্ট যা ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়িয়ে প্রিম্যাচিউর সাইনস প্রিভেন্ট করে। থানাকাতে আরও আছে স্কিন নারিশিং ও ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টিজ যা স্কিনকে হেলদি ও ইয়ুথফুল রাখতে দারুণ কার্যকরী।

একনে কমিয়ে আনে:

এতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ, যা একনে প্রন স্কিনের জন্য দারুণ কার্যকরী। ব্যাকটেরিয়াল গ্রোথ প্রিভেন্ট করে তাই ব্রণ বা র‍্যাশ ধীরে ধীরে কমে আসে এবং স্কিন কন্ডিশন ইম্প্রুভ হয়।

প্রোডাক্ট ইউসের পর ফলাফল:     

এটি ব্রাইটেনিংয়ের সাথে সাথে একনে স্পটস ও সানট্যান দূর করবে। সেই সাথে ফাইন লাইনস ও রিংকেলসের ভিজিবিলিটি কমাবে ,যেকোনো স্কিন টাইপে ব্যবহার করা যায়, স্কিনে কুলিং ইফেক্ট দেয়, প্রতিবারের ব্যবহারের পর স্কিন বেশ গ্লোয়ি, ফ্রেশ ও হাইড্রেটেড দেখায়, ভিটামিন ই থাকায় স্কিন বেশ ময়েশ্চারাইজড লাগে, আমার স্কিনে সানট্যান ও একনে স্পটস ছিলো যেটা অনেকটাই কমে এসেছে

ব্যবহারের নিয়ম:

ফেইস আগে ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। এরপর মাস্ক অ্যাপ্লিকেটর বা স্পুলি দিয়ে মাস্ক নিয়ে ফেইসে সরাসরি অ্যাপ্লাই করুন। ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ পর ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন। সপ্তাহে ১/২ বার থানাকা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

Lavino দেশীয় অর্গানিক ব্র্যান্ড। ন্যাচারাল, পিওর, অর্গানিক ইনগ্রেডিয়েন্ট যারা সেলফ কেয়ারে অ্যাড করতে চাচ্ছেন, তারা এই ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ট্রাই করতে পারেন। আজ একটি নতুন ইনগ্রেডিয়েন্ট সম্পর্কে আমরা জানলাম, সেই সাথে নতুন একটি প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত হলাম! সানট্যান ও স্পট দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে থানাকা মাস্ক উইকলি স্কিনকেয়ারে অ্যাড করে ফেলুন তাহলে।

সবা:স:জু-১৪৯/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম