১৫ই আগস্ট আজ

স্টাফ রিপোর্টার:

আজ ১৫ই আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এবার ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে এই দিবসটি এসেছে আওয়ামী লীগের সামনে। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা দলটি প্রবল গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলের সভাপতি পালিয়ে গেছেন ভারতে। সাধারণ সম্পাদকও লাপাত্তা। দলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। এমন অবস্থায় দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসেনি। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বার্তায় নেতাকর্মীদের শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ১৫ই আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৭শে জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮শে জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। ২০২০ সালের ১২ই এপ্রিল ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার আরেক আসামি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেন ও আইনজীবী আটক

স্টাফ রিপোর্টার: 

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অভিযান চালিয়ে আকরাম হোসেন (৩৮) নামে সেনাবাহিনীর এক ভুয়া ক্যাপ্টেনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তার সহযোগী অ্যাডভোকেট জলিল হোসেনকেও (৩৯) আটক করা হয়।

বুধবার রাতে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা ভূয়া ক্যাপ্টেন আকরাম হোসেন জেলার সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। জলিল হোসেন সদর উপজেলার চুল্লাডগি গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

সেনাবাহিনী জানায়, ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন নাবিল রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম হোসেন ও তার সহযোগী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জলিল হোসেনকে আটক করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া ক্যাপ্টেন আকরাম ও অ্যাডভোকেট জলিল নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের থেকে মামলা মীমাংসার কথা বলে টাকা আদায় করে আসছিলেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠানো হবে।’

 

সবা:স:জু- ৪১১/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম