নাযিকা হতে এসে সর্বস্ব হারালেন তমা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স’র্ব’স্ব লু’ট হয়েছে তার। যেনো নিজের অ’জান্তেই ঘটেছে সবকিছু। নিঃ’শব্দে কাঁ’দছিলেন তমা। পাশে তখনও ঘু’মাচ্ছেন ফরহাদ। চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্য’ক্তি, পঞ্চাশ বছর ব’য়সী ফরহাদ। দীর্ঘদিন থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এখানে ব্যবসা রয়েছে তার। এছাড়া ব্যবসা রয়েছে মালয়েশিয়াতেও। হোটেল, বারের ব্যবসা।

নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে নিয়েই নাচ শিখেছেন কলেজ পড়ুয়া ছা’ত্রী তমা। স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হলে সারা দেশের মানুষ তাকে চিনবে। তাকে দেখলেই ভীড় করবে দর্শকরা। ছবি তোলবে। তাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্রকাশ হবে গণমাধ্যমে। পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও হবে। সেই স্বপ্ন নিয়েই নারায়ণগঞ্জের একটি নাচের স্কুলে ভর্তি হন। অল্প দিনেই নাচে পারদর্শী হয়ে উঠেন কলেজ পড়–য়া এই ছা’ত্রী।
এরমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন আসতে থাকে। পরিচয় ঘটে শোবিজ জগতের তারকাদের সঙ্গে। পারফর্ম করেন দেশের বিভিন্নস্থানে। এরমধ্যেই মুন্না নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়। বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করার প্রস্তাব দেন তিনি। ফরহাদ তার বড় ভাই হন। প্রতি মাসে বেতন হবে ৭০ হাজার টাকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তমা। বাবা ক্ষুদে ব্যবসা। দুই বোন, এক ভাই ও মা-বাবা নিয়ে তাদের পরিবার। অ’ভাব লেগেই থাকে। মাসে এতগুলো টাকা পেলে ম’ন্দ হয় না। ভেবেই রাজি হন।
বিদেশে যাওয়ার আগেই তাকে দেওয়া হয়েছিলো ৫০ হাজার টাকা। তারপরই তমাসহ একসঙ্গে আরও চার ত’রুণী দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। এটি কয়েক বছর আগের ঘটনা। ২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের পেশাজীবীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ । পর্যটক ভিসা পাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু এই চ’ক্রের ভিসা পাওয়ার বি’ষয়ে তেমন প্র’তিবন্ধকতা নেই। তিন মাসের পর্যটক ভিসা নিয়ে আরব আমিরাতে যান তারা। শারজায় একটি বারে নাচ করেন তমা। তারপরই ঘটে ঘটনাটি।

অনেক কিছু ভেবে ফরহাদকে মেন নেন তমা। একজন পু’রুষ স’ঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি তার জন্য আরও খা’রা’প কিছু অপেক্ষা করছে। পরের রাতে এক আরবিয়ানের বাসায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তমাকে। আরব ওই ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী ফরহাদসহ সেখানে ছিলো আরও দু’জন। বাসাতেই ছিলো নাচের আয়োজন। নাচ শেষে রাত গভীর। তখনই ফরহাদ বুঝিয়ে দেন আজ রাতটা সবার সঙ্গেই কা’টাতে হবে তাকে। তমা অ’নুনয় করেন। ফরহাদ ছাড়া কারও শ’য্যাসঙ্গী হ’তে চান না তিনি। ফরহাদ জানান, শুধু নাচ করে থাকা-খাওয়ার টাকাও আসবে না। এসবই করতে হবে তাকে।
আরব আমিরাতের বা’রে ঢুকতে গেলে ৫০ দিরহাম দিয়ে একটি টোকেন ক্রয় করতে হয়। নাচ দেখতে হলে পছন্দের ত’রু’ণীকে এই টোকেন দিতে হয়। এই টোকেন ত’রুণী হয়ে জমা হয় বার কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন ত’রু’ণী ক’টা টোকেন জমা দিলো তা লিখে রাখা হয়। মাসে অন্তত তিন শ টোকেন সংগ্রহ হলে টোকেন সংগ্রহকারী ত’রু’ণীর বেতন হয় ৫০ হাজার টাকা। টোকেন কম হলে বেতন কমে যায়।

এক পর্যায়ে ইচ্ছের বি’রু’দ্ধেই নিরবে ওই রাতে শ’য্যা সঙ্গী হন একে একে চার জনের। তারপর থেকেই প্রায় প্রতি রাতেই কারও না কারও স’ঙ্গী হন তমা। তমা জানান, ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশ চার জনকে একটি নাইটক্লাব থেকে আ’টক করেছিলো তাদের বয়স কম ছিলো। ওই ক্লাবে নিয়মিত নাচ করতেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন ক্লাবে নাচ করেছেন তিনি। তিন মাস পর দেশে ফিরেন, আবার যান। তমা বলেন, মূলত টাকা উপার্জনের জন্যই ছুটে যান সেখানে।

ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

দেশের ৪৮তম মিশন হিসেবে ভিয়েতনামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী হ্যানয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এ কর্মসূচির আওতায় আবেদনকারীরা ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দল দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থিত বাংলাদেশিদের ধারণা দেন ঢাকা থেকে আসা অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক আল-আমিন মৃধা। তিনি সরকারের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখান।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, এ কার্যক্রম চালু করার ফলে এখন থেকে ভিয়েতনাম ও লাওসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসে এসে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া দূতাবাস ভিয়েতনাম ও লাওসের বিভিন্ন শহরে কনস্যুলার পরিষেবা দেওয়ার সময় ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করবে।

উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।

 

সবা:স:সু-২০৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম