তারিখ লোড হচ্ছে...

শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হতে পারে না: খন্দকার মোশারফ

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ক্ষমতায় আসলে দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। তারা একটা কথাও রক্ষা করেনি। জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বার বার মানুষকে ঠকিয়েছে। তাদের হাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধ হবে না। আর গণতন্ত্র পুনররুদ্ধার না হলে এদেশের ভোটের অধিকার পাবে না।

আরও বলেন, আজকের এই সরকারের কাছে দাবি করে কোন লাভ নাই। একটাই টার্গেট এই স্বৈরাচারী সরকারকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি ফিরিতে আনতে এই স্বৈরাচার জালেম সরকারকে হটাতে হবে এবং তার থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে।

সামনে আন্দোলন, দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে গণতন্ত্র দিতে হবে, তা না হলে পদত্যাগ করে দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তবে আন্দোলন ছাড়া কোন স্বৈরাচারের পতন ঘটানো যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানের সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে দলের কর্মীদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকলে তা ভুলে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই জনগণ সাহস পাবে। তাই রাস্তায় নেমে স্বৈরাচারের পতন ঘটানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।

বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলা দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্য কে বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামীলীগ এখন হাইব্রীড সরকার। তারা দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামীলীগ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। চালের দাম ছিল ১৬ টাকা এখন ৫০ টাকা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন। এ সময় উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, নির্বাহী সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন,শাহ শহীদ সারোয়ার,ইঞ্জি. ইকবাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ, কাজী রানা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, অ্যাড. ফাত্তাহ খান, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম মাহবুবুল আলম, অ্যাড. এমএ হান্নান খান, লিটন আকন্দ, শামীম আজাদ, বিএনপি নেতা ইয়াসের খান চৌধুরীসহ দক্ষিণ ও উত্তর জেলা এবং মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্চাসেবক দল, শ্রমিকদল ও মহিলাদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। ফলে দুপুর

 

থেকে মিছিল সহকারে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে সমাবেত হয়।

গাজীপুরে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা পরিচালক আটক, অভিযোগ তুলে নিতে দৌড়ঝাঁপ

 

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন মালেকের বাড়ী এলাকায় এক মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কতৃক নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গাছা থানায় ঐ প্রতারক ধর্ষকের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেওয়ার পরপরই গাছা থানার পুলিশ ওই ধর্ষক কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।থানায় নিয়ে আসার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আটককৃত আসামির বড় ভাই গাছা থানা তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান শরীফ।

অভিযোক্ত ব্যক্তির নাম হাফেজ হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ তানভীর (২৩) পিতা মোঃ জয়নুল আবেদীন সাং গুতিয়ারা, ৩২ নং ওয়ার্ড,গাছা থানা, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর। তিনি গুতিয়ারা নিকটস্থ আলেয়া আবেদিন মহিলা মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন।
অভিযোগ সুত্র ও ভুক্তভোগীর বক্তব্যে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী হিমি ( ছদ্মনাম) ও আসামি আরিফ তানভীর এর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। একসময় হিমি তার মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন তারপর তিনি মাদ্রাসা ছেড়ে স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন এরই মধ্যে তাদের মধ্যে ফেইসবুকে পরিচয় হয়, নিয়মিত কথা হতো, কথা বলার একপর্যায়ে হাফেজ আরিফ তানভীর হিমিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলাকালীন ২৮ / ০৩ / ২০২১ ইং তারিখে হিমিকে তার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে দেখা করতে বলে এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেয়,এসময় হিমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে । এর পর থেকে সে বিয়ের কথা বলে নিজ প্রতিষ্ঠান সহ গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে জনৈক আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন পূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে হিমির গর্ভে সন্তান আসলে বিবাদী টংগী আবেদা জেনারেল হাসপাতালে ০৮/০৮/২০২১ ইং তারিখে জোরপূর্বক গর্ভপাত করিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে। এর পর বিবাদী বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় তার যৌন লালসা মিটানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে একপর্যায়ে হিমি তাকে বিয়ের বিষয়ে কথা বললে এরিয়ে যেতে শুরু করে ।


গত ২৮/০৭/২০২৩ তারিখে পুনরায় হিমি আরিফ তানভীর এর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে দেখা করতে গেলে বিবাদী বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়, পরবর্তী সময় বিবাদীর বড় ভাই গাছা থানা তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান শরীফের কাছে নিয়ে যান এবং সেখানেও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে হিমির মোবাইল ফোন কেরে নেন এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তুলা আপত্তিকর ছবি,ভিডিও, ভয়েস রেকর্ড ও চ্যাট লিষ্ট ডিলিট করে দেয়। একপর্যায়ে একটা সাদা কাগজে বিয়ের কথা বলে হিমির সাইন নেন। এর পর থেকে হিমিকে হাসান শরীফ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে,সে যেনো এসব বিষয়ে কোন কথা না বলে।

অসহায় হিমি তার মাকে নিয়ে সাংবাদিক ও গাছা থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়, এবং গাছা থানায় হিমির মা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে, গাছা থানা পুলিশ অভিযুক্ত তানভীরকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। তানভীর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার বড় ভাই গাছা থানা তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান শরীফসহ পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে যেন বিষয়টি প্রকাশ না পায় ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম এবং তানভীরের বড় ভাই গাছা থানা তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান শরীফ গাছা প্রেসক্লাবে গিয়ে অনুরোধ করেন এবং আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখায়, সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রত্যাক্ষান করলে , কাউন্সিলর সহ তানভীরের স্বজনদের সারাদিন গাছা থানায় দেখা যায়। হিমিকে অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় তারা।

হিমি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করছে,এবং সরকার দলীয় গাজীপুর মহানগরের বড় বড় নেতাদের মাধ্যমেও বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করছে, সাংবাদিকদের কেনো এ বিষয়টি জানানো হয়েছে, তার জন্যও অনেক চাপ।
এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বলেন ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরপরই আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ,হিমির মায়ের অভিযোগটি মামলায় রুপান্তরিত হয়নি এবং অভিযুক্ত তানভীর থানায় আটক রয়েছে।
(চলবে)।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম