তারিখ লোড হচ্ছে...

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সাংবাদিককে প্রাননাশের হুমকি থানায় জিডি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের করার বাগ গ্রামের মোঃ আশু হাওলাদারের পুত্র সাংবাদিক মোঃ ফয়সাল হাওলাদার কে প্রাননাশের হুমকির ঘটনায় থানায় লিখিত জিডি করেছেন তিনি ।

সাংবাদিক মোঃ ফয়সাল হাওলাদার র‍্যাব-১০  ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেন, আমি বিডিসি ক্রাইম বার্তার সম্পাদক ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যান ইউনিয়ন (বসকো) কেন্দ্রীয় পরিষদ এর মহা সচিব ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত আছি।

গত ২০/১০/২০২৪ ইং তারিখে অনুমানিক রাত ০৯:০০ ঘটিকায় সিরাজদিখানের ধামালিয়া বাজার এলাকায় ব্যক্তিগত কাজে হাজী মোঃ জাকির হোসেন বেপারী মেম্বার এর কাছে গেলে, ডাঃ রতনের দোকানের সামনে গত কয়ক বছর আগে তাদের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান টংগীবাড়ী মাদকের ছড়াছড়ি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় পূর্ব সত্রুতার জের ধরে আমাকে গালি গালাজ ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে এবং আমার সাংবাদিকতার পেশাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ও আমাকে ধাওয়া করলে আমি রতনের দোকানে আশ্রয় নেই। সেখানেও আমাকে মেরে ফেলার জন্য তার লোকজন নিয়ে হামলা করে পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার এসে আমাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যায়। পরে আমি থানায় লিখিত একটি সাধারণ ডায়েরি বিনীত হই জিডি নং ৯১৩ র‍্যাব-১০ এর কোম্পানিতে অভিযোগ করা হয়।

এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম:শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরে কৃষি ব্যাংকের জাজিরা শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে গত বুধবার (০১ জানুয়ারি) জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নামের ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জাকির।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন।

অভিযোগ, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জাজিরা উপজেলার পালেরচর বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করছে মের্সাস আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রবিউল ইসলাম জাকির। গত ৩১ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকার নিয়ে সেখানে যান জাজিরা শাখা কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, উপজেলার কাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা জালাল বেপারীর ছেলে মিলন বেপারী ও বড়কান্দি রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা দানেশ মাদবরের ছেলে নান্টু মাদবরসহ অজ্ঞাত আরও দুজন। তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের কাছে চলমান প্রকল্পের কাগজপত্র দেখতে চান। পরে রবিউল তাদের কাগজপত্র দেখানোর পরেও তারা বলেন, এসব ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কোন লাভ নাই। এখানে কাজ করতে হলে আমাদের ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। নয়তো কোন কাজ চলবে না। এসব কথার প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত আনিসুর রহমান রবিউলের পরিহিত শার্টের কলার ধরে টানতে থাকেন আর বাকী অভিযুক্তরা মারধর করতে থাকে ও রবিউলের কাছে থাকা টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ছিনিয়ে যায়। পরে যখন রবিউলকে টেনে নিয়ে প্রাইভেটকারে উঠানোর চেষ্টা করা হয় তখন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা দেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ হওয়ার পরে থানার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তার সাথেও অসদাচরণ করেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রব মাদবর বলেন, “আমি হঠাৎ দেখতে পেলাম ম্যানেজার রবিউলকে কয়েকজন মিলে টেনে নিয়ে গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টা করছে তখন আমি এলাকাবাসীদের নিয়ে তাকে উদ্ধার করি।”

এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘হঠাৎ করে কয়েকজন লোক এসে ম্যানেজার রবিউলকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের র‍্যাবের পরিচয় দেয়।’

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম জাকির বলেন, “আমি প্রতিদিনের মত প্রকল্পের কাজের তদরকি করছিলাম। বিকেলের দিকে হঠাৎ প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৩-৪ জন লোক আসেন। এসেই র‍্যাব পরিচয় দিয়ে আমাকে বলেন, ‘তোর কাজের কাগজপত্র দেখা। এরপর আমি কাগজপত্র দেখানোর সাথে সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং আনিসুর রহমান নামের লোকটি আমার শার্টের কলার ধরে টানতে থাকে আর বাকীরা আমাকে মারধর করতে থাকে। এসময় আমার সাথে থাকা একটি ব্যাগে ৩ লাখ ৭ হাজার টাকাসহ ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে যায়। পরে যখন আমাকে তাদের গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টা করে তখন এলাকাবাসী আমাকে ছাড়িয়ে রাখে। এরপর আমি ঘটনার বিষয়ে আমার মালিকের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করি।”

এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমি সেখানে রিলাক্সের জন্য গিয়েছিলাম। আমার সাথে আমার ড্রাইভার ছিল। ওখানে গিয়ে দেখতে পাই সেখান থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। সে বিষয়ে ওখানকার দায়িত্বে থাকা একজনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম এভাবে মাটি কাটা উচিৎ কিনা। মাটি-বালু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চেয়েছি। এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে আমি এডিসি রেভিনিউ মহোদয়কে জানাই। পরে তিনি আমার নাম্বার ইউএনওকে দিলে ইউএনও মহোদয় আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন তারা এর আগে সেখানে মোবাইল কোট করেছেন। এরপরও আগের মত তারা মাটি কাটছিল। পরে আমি ওদের মৌখিকভাবে বলে আসছি আপনারা এটা কইরেন না, তাহলে আমাদের বেড়ীবাঁধের ক্ষতি হবে। এখন আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ হয়েছে তা আমি জানিনা।”

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন বলেন বলেন, “আমার ম্যানেজারকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে ও তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা থানায় একটি মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।”

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল আমিন বলেন, “আমরা কৃষি ব্যাংক জাজিরা শাখার ব্যবস্থাপকসহ আরও ২-৩ জনের নামে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম