তারিখ লোড হচ্ছে...

ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ জহরুল ইসলাম বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার:

দেশের সকল পটাপরিবর্তন অলৌকিকভাবে হলেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের কোঠায় সরকারি চাকরিতে সুযোগ পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এর বিরোধিতাকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ মোঃ জহরুল ইসলাম রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
তিনি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জহুরুল ইসলাম, এনএনএইচপি এন্ড আইএমসিআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকা। যার চাকরি কোড নং ১০০৪০৬৭। ডাঃ জহিরুল এক সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের কমিটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রভাবশালী ক্যাডার হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। আওয়ামীলীগের দাপট খাটিয়ে ছাত্রলীগ নেতার কোঠায় ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) হিসাবে বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেন জহিরুল। ক্ষমতার দাপটে ২০১৮-২০১৯ সালে বর্তমান কর্মস্থলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদটি জবর দখল করে নেন তিনি। তৎকালীন সময় একটানা তিন অর্থ বছর নামমাত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের পছন্দ মত ঠিকাদারকে দিয়ে নামকাওয়াস্তে কাজ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেন তিনি ।


সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০২২ -২০২৩ অর্থ বছরে বই এবং অন্যান্য প্রিন্টিং এর টেন্ডার সাত কোটি টাকা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে সাথে যোগ সাজসে তখকার সময়ে লাইন ডাইরেক্টর কে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিম্ম দরদাতাকে কাজ না দিয়ে নিজের লোককে পাইয়ে দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ কমিশন নেন। নিজে জুনিয়র হয়েও সিনিয়র অফিসারকে টপকে প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদটি মোটা অংকের অর্থের বিনিময় স্থায়ী করে নেন। জহিরুল ইসলাম বিগত কয়েক বছরে কর্মস্থলে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে কোন প্রকার তোয়াক্কা করেন না। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর একজন কর্মকর্তা হিসেবে জাহির করতেন।
গত জুলাইয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেও ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকে প্রতিহত করতে মাঠে ছিলেন। জুলাই আগস্টের শেখ হাসিনার গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
৩ আগস্টও ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি ছাত্র হত্যার জন্য মাঠে ছিলেন তিনি। ছাত্রলীগের সঙ্গে অবস্থান করা তার ছবি সংবাদমাধ্যমের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
দেশের সকল স্থানের পরিস্থিতি অমূলে পরিবর্তন হলেও এই কর্মকর্তা তার চেয়ারে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ আওয়ামীলীগের দোসরা সহ তাহার কর্মস্থলে নিজ কক্ষে সরকার হটানোর জন্য বৈঠক করেন তিনি। এবিষয়ে তাকে বাধা দিলে ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন, ডিডি, ইপিআই এন্ড সাভিল্যান্স এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনকে মারতে আসেন।
মানবতা বিরোধী ও গণতাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার জহিরুল ইসলামের বহাল তবিয়তে থাকার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

কোভিড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন জার্মান গবেষকরা

স্বাস্থ্য ডেস্ক: 

সংক্রমণের পর বছরের পর বছর ধরে মানুষের মস্তিষ্কের খুলি ও মেনিনজেস বা মস্তিষ্ক আবরণকারী পর্দায় স্থায়ী হতে পারে কোভিড ভাইরাস। এটি মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরে সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। জার্মান গবেষকদের নতুন গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

জার্মানির বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক সংস্থা হেলমহোল্টজ মিউনিখ ও মিউনিখ শহরে অবস্থিত পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় লুডভিগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস-ইউনিভার্সিট্যাটের (এলএমইউ) গবেষকরা জানিয়েছেন, SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিন মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিরক্ষামূলক স্তর মেনিনজেস ও মাথার খুলির অস্থিমজ্জায় সংক্রমণের ৪ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই স্পাইক প্রোটিনগুলো প্রভাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

 

হেলমহোল্টজ মিউনিখের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেলিজেন্ট বায়োটেকনোলজিসের পরিচালক অধ্যাপক আলি এরতুর্ক জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী স্নায়বিক প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের বার্ধক্য ত্বরান্বিত হওয়া। যার ফলে প্রভাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরে সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও গবেষণায় দীর্ঘ কোভিডের স্নায়বিক লক্ষণগুলোও উঠে এসেছে। যেমন দীর্ঘ কোভিডের প্রভাবে মাথাব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা এবং ‘মস্তিষ্কের কুয়াশা’ বা জ্ঞানের দুর্বলতা থাকতে পারে।

 

নতুন এই গবেষণায় SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিন কীভাবে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে তা বুঝতে গবেষকরা একটি অভিনব এআইচালিত ইমেজিং কৌশল তৈরি করেন। যার মাধ্যমে ভাইরাল প্রোটিনের একটি ত্রি-মাত্রিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন সরবরাহ করা সম্ভব হয়। কোভিড-১৯ রোগী ও ইঁদুরের টিস্যু নমুনায় স্পাইক প্রোটিনের আগে শনাক্ত করা যায় না এমন তথ্যগুলো খুঁজে পেতে এই অভিনব এআইচালিত ইমেজিং কৌশল ব্যবহার করেন গবেষকরা।

 

সবা:স:জু- ১৯৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম