তারিখ লোড হচ্ছে...

স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড এর ম্যানেজার শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অনিয়ম হুমকির থানার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড ১০/৪ কর্ন পাড়া গেন্ড, থানা সাভার জেলা ঢাকা, গ্রাম ব্যাংক কলোনী বর্জ্য অপসারণ চুক্তিনামার থাকা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড বন্যা এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটর মো: আশরাফুল ইসলাম পিতা ইসরাফিল মধ্য গেন্ড সাভার ও মোঃ আব্দুল আজিজ , পিতা মৃত হাজী জয়নাল আবেদীন এবং মোহাম্মদ কুদ্দুস আহমেদ, পিতা মৃত হাজী ফজলুল হক, উভয় মধ্য এবং কর্ণপাড়া সাভারের সাথে কারখানা বর্জ্য অপসারণের জন্য । চুক্তিনামা থাকা সত্ত্বেও আব্দুল আজিজ এর উপরে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ১৭ টি চুক্তি নামার থাকার শর্ত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারণ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারার পাঁয়তারার করে আসছেন।অথচ , এমনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই কোম্পানির ম্যানেজার শাহজাহানের বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয় শাহজাহান এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আব্দুল আজিজ বিরুদ্ধে গুণ্ডবাহিনী ও সন্ত্রাসীকে তার পিছে লাগিয়ে দেন। এমনটি অভিযোগ করেন তার ছেলে রাহাত সহ আরো অনেকেই তার ছেলেরা হাত বলেন আমরা বিএনপির করে আসছি সেই অনেক আগ থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শুধু একবার নয় বারবার জেল খেটেছি অথচ আমাদের উপরে এই আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার ?শাহজাহান আমাদের উপরে অত্যাচার করে আছেন। শুধু তাই নয় ওই কোম্পানির ম্যানেজার শাজাহান আজিজকে বলেন আমরাই হলাম প্রকৃতিক বিএনপি আর তোরা হইলি আওয়ামী লীগ এই কোম্পানির তোদের কোন অধিকার নেই থাকার । অথচ রাজপথের তারেক জিয়ার অনুসারীনি বিএনপির নেতা আব্দুল আজিজ বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে নির্যাতিত নিবেদিত এই মানুষটি আজ দিশেহারা। ওই কোম্পানির চুক্তিনামাটি লেখা ছিল তার নীতিমালা কোনটি মানেননি শাজাহান। প্রতিনিধির নির্দেশসমমায় অন্তর্ভুক্ত থেকে বর্জ্য অপসারণ করিয়া বর্জ্য রাখার নির্দেশ। প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার করিয়ার সাধারণ বর্জ্য যেমন কাটা কাপড়ের টুকরা ওরেস্টের কাটুন , ছোটিসিডা ফিউজিং পেপার কাগজ পাইপ ইত্যাদি। যেদিন কারখানা থেকে মালামাল নিবেন ঠিক সেদিন ব্যতীত অন্য কোনদিন কারখানা প্রবেশ করতে পাারবেন না। কোন লোক ফ্যাক্টরিতে অন্ততুরন্ত ফ্লোটে কোন লোক যেতে পারবেন না। প্রতি ছয় মাস পর কোন দাঁড়ালো অস্ত্রপাতি যেমন কাটার, সিজার ব্লক, বা লোহার ,জিনিস ইত্যাদি তিন মিলে সরবরাহ করবে‌। বর্জ্য অপসারণ করার বৈধ কাগজপত্র ট্রেড লাইসেন্স, ও বর্জ্য। অপসারণ পৌরসভার অনুমোদিত কাগজপত্র থাকিতে হবে। বর্জ্য প্যাকেটজাত করার সময় কারখানার লোক থাকিতে হবে। বর্জ্য নেওয়ার ঠিক দ্বিতীয় পক্ষের বিল পরিশোধ করতে হবে বকেয়াবিল রাখা যাবে না ইত্যাদি এমনকি এমনকি ওই ফ্যাক্টরিতে কোন মাদক, ইয়াবা, কিংবা ইভটিজিংসহ নিরাপদ এবং ষড়যন্ত্র রাখার জন্য আদর্শ করেন শুধু তাই নয় বর্জ্য অপসারণের পর ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং সম্মুখীন হলে প্রথম লক্ষ্য দায় দায়িত্ব গ্রহণ করিবে না এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। এই চুুক্তি নাওয়া থাকা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড এর ম্যানেজার শাহজাহান কোন কিছুই মানছেন না এক পর্যায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আব্দুল আজিজ। কোন দিক না পেয়ে সাভার মডেল থানায় একটি দুইজনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । শাহজাহান (৫০) পিতা অজ্ঞাত, ঠিকানা অজ্ঞাত বর্তমান ঠিকানা এডমিন ম্যানেজার ,
স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড ১০/৪ কর্ণপাড়া গেন্ড থানা সাভার জেলা ঢাকা। শাহ মাইনুল হাসান বিল্টু (৫৯) পিতা “অজ্ঞাত গ্রাম ব্যাংক কলোনী থানা সাভার জেলা ঢাকা বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে , সাভার মডেল থানা উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন । আমি সাভার মডেল থানা দিন জ্ঞানদা সোনালী হাউসিং লিমিটেড এর সভাপতি , ম্যানেজার শাহজাহান তাঁর কর্মস্থল প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য উক্ত কারখানা থেকে নিজস্ব লোক দ্বারা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ২৫/৯/২০২৪ তারিখে আমার সহিত একশত টাকার মূল্যের নন জুটিশিয়াল স্ট্যাম্প নং ১৫০৫০০৫, খ:১৫০৫০০৬ ও‌ ১৫০৫০০৪ তার একখানা বর্জ্য অপসারণ এবং চুক্তিনামা সম্পোদন করেন! পরবর্তীতে শাহমাইনুল হাসান বিল্টু তার প্রতারণায় ও অত্যাচার যোগ সাজে করেন শাহজাহানকে নিয়ে। শুধু তাই নয় শাহজাহান ও বিল্টু চুক্তি অনুযায়ী আমাকে তার কর্মস্থল প্রতিষ্ঠান হতে বর্জ্য অপসারণ করতে দিচ্ছে না। এই দুইজনের প্রতারনার ফাঁদে আমাকে অনেকবার মানহানি করেছেন শুধু তাই নয় অসৎ উদ্দেশ্য আমাদের সোনালী হাউসিং এর ভিতরে শাহজাহান কর্মস্থল প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে হাউজিং এর বাসিন্দাদের জীবনের যাপন বাধা সৃষ্টি করেছেন শুধু তাই নয় হুমকি ধামকি দিয়ে মারার জন্য চেষ্টা করছেন। তাকে আমি অনেকবার বারণ করার সত্য সে কোন কর্ণপাত করছেন না এক পর্যায়ে আমি ১০ /১০/২০২৪ তারিখ বিকেল অনুমান ৩.৩০ মিনিট সময় ,সোনালী হাউসিং এর ভিতরে উপস্থিত হয়ে । শাহজাহানের বিভিন্ন মালামত ছুটিয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে আমি শাজাহানকে ফোন কল করি আমার ফোন রিসিভ করার পর তাকে বলি এই মালগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সে উল্টা আমাকে হুমকি দেন। আমি আজিজ আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন তুই ওখান থেকে বের হয়ে যা না গেলে এই কারখানার লোকজনকে দিয়ে তোকে মেরে জুটির ভিতরে ডাস্টবিনেট কিংবা ফালিয়ে দেব। এক পর্যায়ে গার্মেন্টস হাউজিং এর লোকজন কি এনে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হেনস্তা করার জন্য চেষ্টা করেন। সাহা মাইনুল হাসান বিল্টু এই সহতায় আমার জান মাল ব্যাপক ক্ষতিকর করেন এসেনারি হাউজিংয়ের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার হুমকি দেন শাহজাহান ও বিল্টু । এক পর্যায়ে লোকজনকে নিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করেন এবার মিথ্যা অপবাদ দেন শাহজাহান এবং আমার সাথে প্রতারণা করেছেন তার সহযোগী বিল্টু তার তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করছে। আমি কোন কিছু উপায় না পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনকে জিজ্ঞাসা করে সাভার থানা একটিও বিচার ও অভিযোগ করি । আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি আইনের যেভাবে ব্যবস্থা নেবে আমি তাতে খুশি আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

গণমাধ্যম কর্মী ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য গেলে ,এক পর্যায় নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি হুমকি ধামকি ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক নারী এবং কেলেঙ্কারি অভিযোগ আসে। শুধু তাই নয় শিল্পী বলেন আমি বোরকা পরে আসি সে বলে তুমি বোরকা পরে কেন আসছো তোমাকে না দেখলে ভালো লাগে না। এক বিধবা নারী সে চাকরি করেন এখানে সে মান সম্মান রাখার জন্য সে চুপিসারে আসার জন্য তার সাজানের লোভ লালসায় সে শিকার হন সে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। মুখ খুললে তার ভয়-ভীতি দেখান, ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহজাহান। সুইটি নামে এক মহিলা বলেন আমার একটি ছেলে স্বামী নেই চাকরি করে কোনরকম জীবন যাপন করি, অথচ এখানে সে আমাকে অনেক কু পরামর্শ দেন সে তার মাথায় টুপি পাঞ্জাবি পড়া, থাকা সত্ত্বেও সে লুচ্চা ক্যারেক্টারটা তার পরিবর্তন করবে না। তার কি মরার কোন ভয় নেই তার মা বোন বলতে কিছু নেই। শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগে ফ্যাক্টরিতে লোকজনকে নিয়ে অনেককে আন্দোলন এবং সৃষ্টি হয় আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক লোক বলে আমরা বহিষ্কার করব না হয় এই ফ্যাক্টরি ম্যানেজার শাহজাহান এখান থেকে পদত্যাগ করুন। ওই ফ্যাক্টরির

স্ট্যান্ডর্ড স্টিচেচ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে সামনে দোকানদার কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন, এখানে অনেক অনিয়ম কিংবা অনেক কিছুই ঘটনা ঘটে আমরা এখানে ব্যবসা করার স্বার্থেই কিছু বলতে পারতেছি না আমাদের ভয় আছে । আপনারা সংবাদ কর্মী আপনারা ঘুরে ঘুরে জিজ্ঞাসা করুন এখানে অনিয়ম চলতেছে শুধু তাই নয় এবং কি হুমকি ধামকি গার্মেন্টসে কর্মীদের উপরে অমানবিক অত্যাচার করেন এখানে সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এক সবজি বিক্রেতা বলেন বাবা আমি প্রতি সপ্তাহে দুই দিন আসি এখানে যে ঘটনা যা দেখছি ,আর শুনছি আর এখানে আসতে আমার কিছুই ভালো লাগেনা।
শাহজাহান কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন ,এ হাউজিং এর ভিতরে পিছনে যে জায়গা দখল করে আছে। এটা তার কোন সম্পত্তি নয় এটা কোম্পানির সে জবরদখল করে বিগত দিনের এভাবে আসছিলেন। অথচ আজিজ দাবি করেন পিছে যে জমি খার জমি এটা হল আমার। একপর্যায়ে শাজাহান বলেন সে গার্মেন্টসে ছিল পিয়ন অথচ এই পিছের জমি কিভাবে সে পেল এটা জানারও বিষয়। উনি যেসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন সেগুলা মিথ্যা ভিত্তিহীন এর ভিতরে কোন সততা বলতে কিছুই নেই। আজিজকে মুঠোফোনে কল দিলে সে বলেন আমার বিরুদ্ধে যে সব অপপ্রচার মিথ্যা বানোয়াট রটানো হয়েছে সেগুলো বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।

ভ্যাট ফাঁকির ৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করছেনা সিঙ্গার

স্টাফ রিপোর্টার॥
দেশে ভ্যাট ফাঁকির ঘঠনা যেনে নিয়মে পরিনত হয়েছ, যে যেভাবে পারে তা ফাকি দিয়েই যাচ্ছে আর এসবগুলো করছে বড় বড় কোম্পানীগুলো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পৃথক তদন্তে ওই ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের বকেয়া বা ফাঁকি দেওয়া ভ্যাটের পরিমাণ ২৭ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ টাকা। আর ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট বাবদ ২০ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০৯ টাকা ফাঁকি দিয়েছে।

টাকা আদায়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ১ নভেম্বর এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। যেখানে ফাঁকি দেওয়া বা বকেয়া টাকা পরিশোধে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির আয়, গৃহীত অতিরিক্ত রেয়াত, উৎসে মূসক ও স্থান এবং স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় সেগুলো আদায় করতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছি। আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মূসক ফাঁকির তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সবচেয়ে অবাক লেগেছে অবৈধ রেয়াত সুবিধা নেওয়ার জন্য একীভূত (মার্জ) হওয়া প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের নামে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে সিঙ্গার। অবৈধ রেয়াত নেওয়ার জন্যই এই রিটার্ন জমা দেওয়া হয়। এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পাত্তা দিচ্ছে না।

সিঙ্গার বাংলাদেশের মূসক ফাঁকি সম্পর্কিত গোপন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড একীভূত হওয়া প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের নামে অবৈধভাবে রেয়াত গ্রহণ, প্রতিষ্ঠানটির ১৯টি ওয়্যারহাউস ও ৩২৪টি বিক্রয়কেন্দ্রের মূসক বা ভ্যাটের নিবন্ধন না থাকা এবং ওয়্যারহাউস ও বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পণ্য বিক্রির বিপরীতে মূসক জমা দেয়নি। তদন্তে এসব বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব কাজী আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি খুদে বার্তা দেওয়া হলেও তার জবাব মেলেনি।

তবে সিঙ্গার বাংলাদেশের কমিউনিকেশ ইনচার্জ নাজমুস সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি পরে জানাবো।

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যেমন- টিভি, ফ্রিজ, এসি, গ্রাইন্ডার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে থাকে। তবে কিছু পণ্য বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করে থাকে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের তিনটি ইউনিট তিন মূসক কমিশনারেটের আওতায় নিবন্ধিত। ইউনিটগুলো হলো- সিঙ্গার বাংলাদেশের দিলকুশা বাণিজ্যিক ইউনিট, সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া ও হেমায়েতপুর ইউনিট। এর মধ্যে সিঙ্গার বাংলাদেশের দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার ইউনিট ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সাভারের হেমায়েতপুরের কুলাসুর ইউনিট ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট এবং সাভারের রাজফুলবাড়ীয়ার জামুল ইউনিট বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) আওতাভুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করে। এরপর শুরু হয় তদন্ত কার্যক্রম।

তদন্তে যা পাওয়া গেল
সিঙ্গার বাংলাদেশের ওই তিন ইউনিটের দাখিলপত্র যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মূসক বা ভ্যাট বাবদ ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। যার মধ্যে আয় খাতে ফাঁকি দেওয়া মূসক বা ভ্যাটের পরিমাণ হচ্ছে ১ কোটি ৯৬ হাজার ৬১৮ টাকা, অতিরিক্ত রেয়াত গ্রহণের মাধ্যমে ২ লাখ ২১ হাজার ১০৮ টাকা ও উৎসে ভ্যাট কর্তনের মাধ্যমে ১৩ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ টাকা ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে প্রযোজ্য সুদের পরিমাণ ১৩ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৩ টাকা। সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ২৬৪ টাকা আদায়যোগ্য বলে ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটির মূসক ফাঁকি সম্পর্কিত গোপন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের নামে রেয়াত গ্রহণ, প্রতিষ্ঠানটির ১৯টি ওয়্যারহাউস ও ৩২৪টি বিক্রয়কেন্দ্রের মূসক বা ভ্যাটের নিবন্ধন না থাকা, ওয়্যারহাউস ও বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পণ্য বিক্রির বিপরীতে মূসক জমা না দেওয়ার বিষয়েও সত্যতা পাওয়া গেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মূসক, গৃহীত অতিরিক্ত রেয়াত, উৎসে মূসক ও স্থান এবং স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য মূসক বাবদ সুদসহ সরকারি পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ টাকা। এই বকেয়া আদায়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য এনবিআরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

২০১৯-২০২১ সালের মেয়াদে আরও ফাঁকি ২০ কোটি
ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পৃথক তদন্তে আরও দেখা যায়, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির ওই তিনটি ইউনিট থেকে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদের নিরীক্ষায় পরিহার করা মূসক, গৃহীত অতিরিক্ত রেয়াত, উৎসে মূসক ও স্থান এবং স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট বাবদ ২০ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকা ফাঁকি দিয়েছে। যা সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা হওয়ার কথা ছিল। তা না করে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রযোজ্য ভ্যাটের সঙ্গে ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের ১২৭ নং ধারায় মাসিক ২ শতাংশ সুদে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৮০৬ টাকা।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রেয়াত গ্রহণের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৯২ লাখ ৭ হাজার ৪১৪ টাকার ভ্যাট ও উৎসের মূসক কর্তনবাবদ ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৯ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। এভাবে মোট ২০ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। ২ শতাংশ সুদে ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৮০৬ টাকার সুদ প্রযোজ্য রয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০৯ টাকার ভ্যাট আদায়যোগ্য বলে ভ্যাট গোয়েন্দার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে এনবিআর বরাবর পাঠানো চিঠিতে আরও কিছু বিষয়ের গুরুত্ব দিয়ে সুপারিশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- সিঙ্গার বাংলাদেশের সব ইউনিটের নাম একই হওয়ায় পৃথক পৃথক কমিশনারেটে দাখিলপত্র দাখিল করায় রেয়াত যাচাই ও সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন। ফলে একই কমিশনারেটের অধীনে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন থাকা বাঞ্চনীয় বলে মনে করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাপক হওয়ার পরও মূসক বা ভ্যাট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার না থাকার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। সে কারণে দ্রুততার সঙ্গে সফটওয়্যার গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম