তারিখ লোড হচ্ছে...

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে টিউবওয়েলে চেতনা নাশক মিশিয়ে ভয়াবহ চুরি

ইসরাফিল শেখ:(সিরাজগঞ্জ) শাহজাদপুর:

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে গাঁড়াদহ গ্রামে (২ নভেম্বর)সকাল ১১টায় সময় ফরহাদ মিয়ার জমিতে কৃষিকাজরত কাজের লোক ২ জন ও তার পরিবারের ৫ জন সহ মোট ৭ জন খাবার খাওয়ার শেষে টিউবওয়েলর পানি প্রাণ করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

এরপর,তাদের সিরাজগঞ্জ শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা।

অজ্ঞান ব্যক্তিরা হলেন,ফরহাদ মিয়া (৫২) রিমি খাতুন (৪৩) ওমর ফারুক (২৬) রজনী খাতুন (১৮) (৯মাসের) শিশু-বাচ্চাসহ, আব্দুর রহমান, আঃ খলিল ও জয়নাল আবেদীন।

এ বিষয়,ফরহাদ মিয়া জানান, গতরাতে তার বাসায় রাত ২টার সময় ৫ জন চেতনা নাশক প্রয়োগকারীরা বাসায় ডুকে চুরির চেষ্টা চালায় তার ভাই টের পেয়ে তাদের দরার চেষ্টা করলে চেতনা নাশক প্রয়োগকারীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে,তার ভাই আরো বলেন তাদের পিছন থেকে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় ও তাদের চিনতে পারেনি বলে জানান তিনি।

অন্য দিকে,একই গ্রামের পাল পাড়ায় টিউবওয়েলের পানিতে চেতনা নাশক মিশিয়ে ৫টি বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটছে। (২নভেম্বর) রাতে গাঁড়াদহ পালপাড়ায় একই পরিবারের ৫ ভাইয়ের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

চেতনা নাশক মেশানো টিউবওয়েলের পানি ও খাবার খেয়ে অজ্ঞান হন। অজ্ঞানরতরা হলেন,অসীম পাল,আশীক পাল,সুপাংক পাল,রাম প্রসাদ পাল ও দিবাস। অজ্ঞানরত দের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাদের পরিবার।

এ বিষয়ে,অনিতা রানী পাল বলেন,শনিবার রাতে আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। সারারাতে আর কেউ চেতন পাইনি। সকালে আমার ঘরের দরজায় জোরে আঘাতের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। জেগে উঠে দেখি ঘরের সবকিছু এলোমেলো ভাবে মেঝেতে পড়ে আছে। এ সময় তাদের ৫ ভাইয়ের বাড়ি থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা,স্বর্ণলংকার, থালা বাসনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

সনজয় কুমার পাল ও অশিম কুমার পাল জানায়,তাদের খাবারের মধ্যে ও টিউবওয়েলের পানির সাথে চেতনাশককারীরা চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দেয়।এরপর তারা রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে চেতনা নাশককারীরা আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে,খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একদল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন,এছাড়াও শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আবু সাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ-সময় সবুজ বাংলাদেশকে তিনি বলেন,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সবা: সমা:০৯/২৪

দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ ধরে নষ্ট এক্স-রে মেশিন, বিপাকে সেবা নিতে আসা রোগীরা

এনামুল, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) পদে কেউ না থাকায় ব্যবহার হয়নি এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে করার যন্ত্রটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে Medicor Hunjan ব্রান্ডের এনালগ এক্স-রে মেশিনটি বসানো হয়। তখন থেকে সরকারি ফি দিয়ে এক্স-রে’র সুবিধা পেয়েছিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। কিন্তু গত ১২ বছরের অধিক সময় ধরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে থাকলেও নতুন কোন মেশিন স্থাপন করা হয়নি কিংবা চেষ্টা করেও পুরোনোটি মেরামত করা যায়নি।

সূত্রটি আরো জানায়, গত ৭ই নভেম্বর একজন টেকনোলজিস্টকে (রেডিওগ্রাফি) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করেন জেলা সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনি এখানে এসে এক্স-রে মেশিনটি চালুর চেষ্টা করেও পারেননি। পরে নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। মূলত দীর্ঘদিন থেকে রেডিওগ্রাফির কোন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। যন্ত্রটির নিয়মিত ব্যবহার হলে এমনটি হতোনা।

এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে তারপর সেটি ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এছাড়া সরকারি এক্স-রে ফি ১১০ টাকা হলেও বাহিরে সেটা নেয়া হচ্ছে ৪শো থেকে ৫ শো টাকা। এতে করে বিড়ম্বনা বেড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের।

পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার আল-আমিন ইজিবাইক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি আছেন দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি জানান,”গত ৪ দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতে মারাত্মকভাবে আঘাত পাই। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এক্স-রে করে আনতে বলে।
হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় প্রচন্ড হাত ব্যথা নিয়ে বাহিরের ক্লিনিক থেকে এক্সরে করে এনে ডাক্তার দেখাই।

এদিকে রোগীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান জানান,”হাসপাতালে আগত যক্ষা রোগী ও দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য এক্স-রে একটি অত্যাবশকীয় যন্ত্র। এটি না থাকায় সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছ।হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট তাছাড়া মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার চিঠি লিখলেও কোন সুরাহা হয়নি। সর্বশেষ গত ২০শে নভেম্বর একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সদর দপ্তরে পূণরায় চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, “এবিষয়ে আমি অবগত আছি। পুরনো মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজন রেডিওগ্ৰাফি নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এখনো কিছু ত্রুটি থাকায় যারা মেরামতকারী আছে তাদের সাপোর্ট নিয়ে এক্স-রে মেশিন মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এক্স-রে মেশিন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে না কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নতুন মেশিনের বিষয়টি হচ্ছে, পুরনো মেশিনটি আগে পুরোপুরি ইনভ্যালিড করার প্রসেসে যেতে হবে। একটি মেশিন পুরোপুরি নষ্ট না হলে নতুন মেশিনের কথা বলা হলে তাহলে বিষয়টা পুরোপুরি হ্যাঙ্গ হয়ে যাবে। আমরা পুরনো মেশিনটি মেরামতের বিষয়টি দেখতেছি, যদি মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়ে তাহলে নতুনের বিষয়টা নিশ্চিত করা যাবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম