তারিখ লোড হচ্ছে...

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার॥

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। বহুজাতিক এই সংস্থাটির এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ডিএমডি, মিজ পাম্পালোনি একথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ পাম্পালোনি জোর দিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক উন্নয়নকেন্দ্রিক দৃষ্টিকোন থেকে বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বে রুপান্তরিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, মিজ পাম্পালোনিকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব ইইউকে বাংলাদেশের গুরত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে ভবিষ্যতে সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী সম্পৃক্ততা আশা করেন। তিনি বিভিন্ন খাতে গুরত্বপূর্ণ সংস্কার এবং সেই লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারসমূহ তুলে ধরেন। তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করেন এবং বৈষম্যহীন দেশের জন্য তরুণদের উচ্চাকাঙ্খা তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্র সচিব নিউইয়র্কে ৭৯তম ইউএনজি এর ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা ও অভিন্ন আকাঙখার চেতনায় ইইউ’র সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

উভয় পক্ষ অনÍর্বর্তী সরকার গঠনের পর উচ্চ পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বার্তা বিনিময় এবং বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আসন্ন আলোচনার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ আসন্ন বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কমিশনের বৈঠক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ২০২৯ সালের পরে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা এবং শ্রমখাতে সংস্কার নিয়েও আলোচনা করে।

সবা:স:সু-১৩/২৪

গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন হাসিনা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা : এইচআরডব্লিউ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি বলেছে, শেখ হাসিনা, শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর, গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং এই তিনজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল।

গুম হওয়ার শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম বলেছেন, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল সেটি ‘বন্দীদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।’

ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ধরণ শুধু পদ্ধতিগত নয় বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল।

এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাব ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

প্রতিবেদনের বিষয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন ডিটেনশন সেন্টারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি ভেঙে দিতে চাইলে র‌্যাব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বাংলাদেশে বিভেদমূলক রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আটক করে রাখার সকল স্থানে অঘোষিত পরিদর্শন করার কর্তৃত্ব সহ আইন প্রয়োগের উপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে সহ স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করা।

এছাড়াও বাহিনীর ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা উচিত যাতে সুস্পষ্ট হয় যে, নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে তাকে দায়ী করা হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম