তারিখ লোড হচ্ছে...

স্মার্টফোন এর হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরেজ ডিলেট করে ফোন ভাল রাখি

স্টাফ রিপোর্টার॥

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক ডাটা লেনদেন করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর জায়গা দখল নেয়। ফলে হোয়াটস্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপস বা মেইল ব্যববহার করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ও ভিডিও পাঠালে তা ডিফল্ট বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের গ্যালারিতে সেভ হয়। ফলে ফোনের স্টোরেজ কমে যায় এবং গ্যালারিতে বিশৃঙ্খলা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর ফোনের স্টোরেজ মিডিয়া ফাইল দিয়ে ভরে রাখে। মেসেজে আসা সকল ছবি ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোনে ডাউনলোড করে রাখে। অ্যানড্রয়েড ফোনে স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপের মিডিয়া ফাইল ডিলিট করা যায়। চলুন জেনে নেই কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপের অপ্রয়োজনীয় ডাটাগুলো ডিলিট করে ফেলবেন।

অ্যানড্রয়েড ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরেজ ডিলিট করার উপায়:

স্টেপ ১। হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন। এবার ডান দিকে উপরে থ্রি ডট মেনুতে ট্যাপ করুন। এখানে আপনি ‘সেটিংস’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ট্যাপ করে ‘স্টোরেজ অ্যান্ড ডেটা’ সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ২। এখানে ‘ম্যানেজ স্টোরেজ’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরেজের বিস্তারিত বিবরণ দেখতে পাবেন। এখানে বার বার ফরওয়ার্ড করা মেসেজ খোঁজার জন্য থাকবে একটি অপশন। এইভাবে আপনি একই মেসেজ বারবার এসে থাকলে সহজেই খুঁজে পাবেন।
স্টেপ ৩। এবার মিডিয়া ফাইল সিলেক্ট করে ডিলিট করতে প্রেস করে হোল্ড করুন। একসঙ্গে সব ডিলিট করতে ‘সিলেক্ট অল’ করে ‘ডিলিট’ করে দিন
স্টেপ ৪। এবার ‘লার্জার দ্যান ৫এমবি’ সিলেক্ট করুন। এই ভাবে ৫এমবির বেশি সাইজের মিডিয়া ফাইল খুঁজে ডিলিট করতে পারবেন।
স্টেপ ৫। এছাড়াও চাইলে আপনি নির্দিষ্ট কোন চ্যাটে ঢুকে সেই চ্যাটের মিডিয়া ফাইলগুলো সিলেক্ট করে ডিলিট করতে পারবেন।

ডিফল্ট মিডিয়া ভিসিবিলিটি সেটিংস:

ফোনের গ্যালারিতে হোয়াটসঅ্যাপের মিডিয়া ফাইল ডিফল্ট বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভ করা বন্ধ করতে মিডিয়া ভিসিবিলিটি অপশনটি বন্ধ করতে নিচের ধাপগুলো দেখি:

১. হোয়াটসঅ্যাপের তিনটি ডটে ট্যাপ করুন।
২. এরপর সেটিংস থেকে চ্যাট অপশনে ট্যাপ করুন।
৩. মিডিয়া ভিসিবিলিটি অপশনটি বন্ধ করুন।
এই অপশন বন্ধ করলে তা ফোনে নতুন মিডিয়া ডাউনলোড হওয়া বন্ধ করবে। তবে আগের ডাউনলোড হওয়া ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

নির্দিষ্ট চ্যাট বা গ্রুপ চ্যাটের মিডিয়া ডাউনলোড বন্ধ করতে:

১. হোয়াটসঅ্যাপের যেকোনো চ্যাট বা গ্রুপ চ্যাটে প্রবেশ করুন।
২. তিনটি ডটে ট্যাপ করুন ও ভিউ কন্টাক্ট বা গ্রুপ ইনফো অপশনে ক্লিক করুন।
৩. এরপর স্ক্রল করে মিডিয়া ভিসিবিলিটিতে ট্যাপ করুন এবং ‘নো’ অপশন নির্বাচন করুন এবং ‘ওকে’ বাটনে নির্বাচন করুন।
এর ফলে প্রতিটি চ্যাটের মিডিয়া ভিসিবিলিটি সেটিংস আলাদা আলাভাবে পরিবর্তন করা যাবে।

সবা:স:সু-১৪/২৪

টিকটক করতে গিয়ে ছয় মাসে দেশে ১০ তরুণের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার॥

চলতি বছরের ছয় মাসে টিকটক করতে গিয়ে ১০ তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি টিকটকের কুখ্যাত ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নিতে গিয়ে দেশের কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, গত কয়েক বছর ধরে ছোট পরিসরে ভিডিও তৈরির চীনা প্ল্যাটফর্ম টিকটকের অপব্যবহার এতটা বেড়েছে যে, তা তরুণ-তরুণীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে টিকটক ব্যবহারকারীদের নিজের বেল্ট, টাই, জুতার ফিতা বা অনুরূপ কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করতে উৎসাহিত করা হয়। এই চ্যালেঞ্জ জিততে বেশিক্ষণ শ্বাসরোধ করে থাকতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। অভিভাবকরা দাবি করেছেন, টিকটকের ভয়ংকর ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে তাঁদের সন্তানরা শ্বাসরোধে মারা গেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, অস্ট্রিয়ায় ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে টিকটকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে সাধারণত টিকটকে ভাইরাল হতে ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে তরুণ-তরুণীরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী ধর্ষণ, পাচারসহ টিকটককেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে। তবে ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে টিকটককে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তবে প্ল্যাটফর্মটিকে জবাবদিহি নিশ্চিতে সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, টিকটকের সঙ্গে আমার এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ তাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। এটা ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ নিজেরাই তৈরি করে থাকতে পারে। তাদের প্ল্যাটফর্মে এমন কিছু থাকলে আমি সেটি বন্ধ করতে বলেছি। টিকটক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, টিকটকে কেউ এটা আর করতে পারবে না। টিকটককে এখন আমরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি। তারা এখন প্রতিদিনই আমাদের কাছে প্রতিবেদন দিচ্ছে। আমরা আশা করছি, টিকটক তরুণদের সুরক্ষার পাশাপাশি বিধিবিধান মেনেই কাজ করবে।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম