তারিখ লোড হচ্ছে...

লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া সেই কার্গোসহ ৯ জন আটক

লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া সেই কার্গোসহ ৯ জন আটক: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসীকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় দুর্ঘটনার পরপরই ওই কার্গোটি মুন্সিগঞ্জের হোসেন দ্য ডকইয়ার্ডে নোঙ্গর করে। সেখান থেকেই কার্গোটি আটক করে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, কার্গো জাহাজ এমভি রূপসীকে আটক করা হয়েছে। এর মাস্টার, চালকসহ সব কর্মী পালিয়েছে। তবে জাহাজটি থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় রূপসী-৯ জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এমভি রুপসী-৯ নামের জাহাজটি এম এল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চে থাকা ৫০-৬০ যাত্রী পানিতে ডুবে যান। কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ।

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের চতুর্মুখী সংঘর্ষ, চাকু সহ হাসপাতালে

মোঃ হাসানুজ্জামান:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনটি কলেজ সহ পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীদের একজন তাশরিফ (১৭)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি। পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের পরিচয় দেওয়া এ শিক্ষার্থী ঘটিয়েছেন আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।

২৫ নভেম্বর (সোমবার) এক্সরে করার সময় তার কোমরে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি পাওয়া যায়। পরে যাচাই-বাছাই করে ওই শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। তবে তাকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতালস্থ পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় তাশরিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মাথায় ব্যান্ডেজসহ তাকে এক্সরে করতে পাঠান। আর এক্সরে রুমেই ঘটে এই বিপত্তি। টেকনিশিয়ানরা এক্সরে করতে গিয়ে তার কোমড়ে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি দেখতে পান। এরপরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।

তাশরিফকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় আহতদের এক্সরে করতে পাঠান চিকিৎসকরা। এক্সরে করার সময় এক রোগীর কোমরে গুঁজে রাখা চাকু ও হাতুড়ি দেখতে পান সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা জানালে আমরা তাকে হেফাজতে নিই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর কাছে কোনো আইডি কার্ড নেই। তবে সে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছে। আমরা কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর সিনিয়র ভাইয়েরা তার আইডি কার্ড নিয়ে আসেন। পরে আমরা কলেজের শিক্ষার্থী নিশ্চিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

তবে ওই শিক্ষার্থী কেন হাতুড়ি এবং ছুরি নিয়ে এসেছিল, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি। দেশীয় অস্ত্র পাওয়ার পরও কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম