তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি ভালো না মন্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘সুপারফুড’ শব্দটা আধুনিক ডায়েটে পরিচিত শব্দ। সুপারফুডের মধ্যে ডিম অন্যতম। ডিমে উচ্চ মানসম্পন্ন আমিষের সঙ্গে বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার এই ডিমই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, রোজ কি ডিম খাওয়া যাবে? আসুন জেনে নিই, প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো, নাকি মন্দ।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান

সুপারফুডের মধ্যে ডিম অন্যতম।

ডিমের পুষ্টি উপাদান: একটি বড় আকারের ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম চর্বি থাকে। ভিটামিন এ থাকে ৮ শতাংশ, ৬ শতাংশ ফোলেট, ১৫ শতাংশ বি৫ বা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ২৩ শতাংশ বি১২, ২০ শতাংশ বি২। এ ছাড়া পাবেন ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, ই, বি৬, ক্যালসিয়াম ও জিংক। এখন তো ডিমে ওমেগা-৩-ও যুক্ত করা থাকে।

কেন প্রতিদিন খাবেন: ডিমের কুসুমে লুটেইন ও কেরোটিনয়েড থাকায় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী।

ডিমের ফোলেট, বি৬, বি১২ রক্তশূন্যতা হতে দেয় না। ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ও বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী।

ডিমের ভিটামিন ডি হাড় ও পেশি মজবুত করে।

অনেকের প্রশ্ন থাকে, ডিমে কোলেস্টেরল থাকে, তাই ডিম খাওয়া যাবে কি না? ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যার মধ্যে বেশির ভাগ এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল। প্রতিদিন আমাদের এর চেয়ে বেশি কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়; বরং উপকারী।

ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ও শরীরের জন্য অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি তৈরি, ওজন ও রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিম সবচেয়ে সহজলভ্য ও তুলনামূলক সস্তা।

কখন খাওয়া নিষেধ: তবে এত কথার মধ্যে কিছু মন্দ কথাও আছে। এই ডিমে যদি আমরা প্রাণিজ চর্বি যোগ করি (যেমন মাখন ও ঘি), তাহলে এর ক্যালরি অনেক বেড়ে যায় ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে পড়ে। এ কারণে সবচেয়ে ভালো হলো সেদ্ধ এবং অলিভ অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেলে রান্না করা ডিম।

কিডনি রোগীদের প্রোটিন একটু হিসাব করে খেতে হয়। তাই কিডনি রোগীরা দিনে একটির বেশি ডিম খেতে পারবেন না।

অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিমটা বাদ দিতে হবে।

কাজেই ডিমের মন্দ দিকের চেয়ে ভালো দিকই বেশি, তাই প্রতিদিন নাশতায় একটা ডিম অবশ্যই থাকা উচিত।

সবা:স:সু-২১/২৪

 

বছরে বিএসএমএমইউর শিশু সার্জারিতে ১০ হাজার রোগী

স্টাফ রিপোর্টার: 

২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের ইনডোর ও আউটডোর থেকে প্রায় ১০ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা পেয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার তিন শতাধিক রোগীর অপারেশন করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ প্রশাসন সি ব্লকে শিশু সার্জারি বিভাগে নতুন বর্ষবরণ ও ১০ম ব্যাচের রেসিডেন্টদের বিদায় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে শিশু সার্জারি বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. কেএম দিদারুল ইসলামকে বরণ করে নেওয়া হয় এবং সদ্য সাবেক বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সুশংকর কুমার মন্ডলকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, শিশু সার্জারি বিভাগে ২০২৪ সালে তিনটি জোড়া লাগানো শিশুর অত্যন্ত জটিল অপারেশন সফলভাবে করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস বয়সী শিশু আবু বকর ও ওমর ফারুক এবং এক বছর ছয় মাস বয়সী শিশু নূহা ও নাবাকে বিভিন্ন ধাপে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের সফলভাবে পৃথকীকরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিএসএমএমইউর শিশু সার্জারি বিভাগ থেকে এক বছর তিন মাস বয়সী শিশু সুমাইয়া ও খাদিজার প্রথম দুই ধাপের জটিল অস্ত্রোপচারের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তাদের বয়স সাড়ে তিন বছর। তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পৃথকীকরণ করতে আরও তিন ধাপের জটিল অস্ত্রোপচার করতে হবে। এক্ষেত্রেও শিশু সার্জারি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় জোড়া লাগানো শিশু সুমাইয়া ও খাদিজাকে বাকি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে পুরোপুরি পৃথকীকরণ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিশু সার্জারি বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কে এম দিদারুল ইসলাম।

 

সবা:স:জু- ৫৯৯/২৫

language Change
সংবাদ শিরোনাম