তারিখ লোড হচ্ছে...

লিটারে ৮ টাকা কমল সয়াবিন তেলের দাম

❏ সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা কমিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগের নির্ধারিত দাম ছিল ১৬৮ টাকা। আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানোর পর নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ টাকা।

আজ রোববার সচিবালয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যসচিব জানান, বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৩৫ টাকা কমবে এবং পাঁচ লিটারের বোতলের দাম দাঁড়াবে ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা থেকে সাত টাকা কমিয়ে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামীকাল সোমবার থেকে মিলগেটে এই মূল্য কার্যকর হবে। ভোক্তা পর্যায়ে এই মূল্য কার্যকর হতে আরও পাঁচ-ছয় দিন লাগতে পারে বলে জানান বাণিজ্যসচিব।

বাণিজ্যসচিব বলেন, পাম তেলের দাম এখনো ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে আরও কিছু তথ্য ও হিসাব–নিকাশ আছে। ২২ মার্চ মালিকদের সঙ্গে আরেক বৈঠক আছে, সেখানেই তা নির্ধারিত হবে।

হুমায়ুন কবির”

কমেছে আলু-পেঁয়াজ-সবজির দাম, বেড়েছে চাল-মুরগির

স্টাফ রিপোর্টার: 

দাম কমতে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা ও আলুতে ১০ টাকা দাম কমেছে। এছাড়া যেকোনো সবজি প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা। অন্যদিকে, চাল ও মুরগির দাম খানিকটা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আলু বাজারে আসতে শুরু করে। তবে চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি করেন কৃষকেরা। এ কারণে বেশ কিছুদিন পণ্য দুটি বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় এ দুই পণ্যের দাম কমছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে দেশি পুরোনো, স্থানীয় মুড়িকাটা এবং আমদানি করা- এই তিন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম আরও কম; এক কেজির দাম ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ (পুরোনো) ১১০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

অন্যদিকে, দুই সপ্তাহ আগে এক কেজি পুরোনো আলুর দাম ছিল ৮০ টাকা। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমনের ভরা মৌসুমের মধ্যেও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে চালকলের মালিকদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় তারা চালের দাম বাড়িয়েছেন।

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট ছিল। খুচরা দোকানগুলোতে এখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, তবে এখনো পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। আশা করা হয়েছিল, তেলের সরবরাহ দ্রুত বাড়বে; কিন্তু তা হয়নি।

মুদি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, ‘ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো পুরোদমে তেল সরবরাহ করছে না। তেল পেতে ডিলারদের সঙ্গে একধরনের তর্ক-ঝগড়া করতে হচ্ছে। এরপরও যা পাচ্ছি, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’

তবে স্বস্তি মিলেছে সবজির বাজারে। ধরনভেদে প্রতি কেজি শিম ৪০-৬০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, শালগম ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবা:স:জ- ৪৩৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম