তারিখ লোড হচ্ছে...

জলবায়ু অর্থায়নে আঞ্চলিক ন্যায্যতা বিবেচনায় আসেনি: সিপিআরডি’র গবেষণা

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ ডেক্স॥

দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হচ্ছে না বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানে সিক্স সিজন হোটেলে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত এক সেমিনারে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, দেশের খরাপ্রবণ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পের সংখ্যা এবং অর্থের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। খরাপ্রবণ এলাকায় মাত্র ১৪৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যেখানে উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে প্রকল্পের সংখ্যা ২৮১। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় জলবায়ু বাজেট থেকে মাত্র ৬৩টি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উত্তরাঞ্চলে, যা স্পষ্টতই জলবায়ু অর্থায়নে আঞ্চলিক ন্যায্যতার ঘাটতি প্রকাশ করছে।গবেষণাটি পরিচালিত হয় সিপিআরডি ও হেক্স/ইপিইআর-এর সহযোগিতায়। গবেষণার অংশ হিসেবে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও কুড়িগ্রামে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২০৯৫ দশমিক ৪১ কোটি টাকা। অথচ ধীরগতির দুর্যোগ, যেমন খরা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়নি। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত প্রকল্পগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ যথাযথভাবে না হওয়ায় নির্মিত অবকাঠামোগুলো নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে।
সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামছুদ্দোহা সেমিনারে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড এবং জাতীয় জলবায়ু বাজেট বরাদ্দে প্রয়োজনীয় ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত প্রানিÍক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের জন্য পৃথক অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন করিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। একক কোনো সমাধান নেই, স্থানীয় সমাধানগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু ন্যায্যতা অর্জন করতে হবে।
পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরিতে স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

 

সবা:স:জু-৪৩/২৪

জুলাইয়ের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৩ কোটি ডলার

জুলাইয়ের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স ১৯৩ কোটি ডলার

ডেস্ক রিপোর্ট:

চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ২৬ দিনে ১৯৩ কোটি ৩০ লাখ (প্রায় ১.৯৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলার ১২২ টাকা ধরে) প্রায় ২৩ হাজার ৫৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রোববার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ২৬ দিনে ১৯৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের জুলাইয়ের ২৬ দিন) ছিল ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বেশি এসেছে।

এর আগে সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ (২.৮২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার বেশি। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
একক মাস হিসেবে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। আগের মাস মে মাসে দেশে এসেছে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার আগে মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত পুরো সময়ে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে। আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। পরের মাস জানুয়া‌রি‌তে আসে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে এসেছে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
এস আলম বিতর্কে স্থগিত মনোনয়ন পেরিয়ে এখনও আশাবাদী বিএনপি বহিষ্কৃত সুফিয়ান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন রাজধানীতে নামেই ফুটপাত, হাঁটার উপায় নেই ভারতীয় মাফিয়া সিন্ডিকেটের কবলে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে শেরপুরে কাঁচা সড়কে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ আমতলীতে ফাজিল পরীক্ষায় ৯ জন বহিস্কার শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য জব্দ শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী সেজে পুলিশ কর্তৃক পলাতক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার