তারিখ লোড হচ্ছে...

২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বিএফআইইউ

স্টাফ রিপোর্টার॥
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সেসব সাংবাদিকের সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে।

২৮ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের বিবরণ তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিএফআইইউ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সেসব সাংবাদিকের সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে।

২০২৪০৪০১০৯৪২৩১.মরভ তাদের নামে কোনোও ব্যাংক লকার, সেভিংস কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদন-সংক্রান্ত দলিলপত্র রয়েছে কি না বা অর্থের লেনদেন হয়েছে কি না, সেই তথ্য চাওয়া হচ্ছে। যাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, এবিনিউজ২৪ডটকমের এডিটর ইন চিফ সুভাষ সিংহ রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএনের জ. ই. মামুন, বাংলা ইনসাইডারের সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল ও চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাসসের মধুসূদন মন্ডল, ডিবিসির মাসুদ আইয়ুব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের অশোক চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের এবং দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

সবা:স:মা-৬২/২৪

বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা!

স্টাফ রিপোর্টার :

লুটপাট, ঋণ কেলেঙ্কারি আর দখলদারিত্বের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের করুণ অবস্থা। এজন্য মূলত দায়ী করা হয় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাইকে। আওয়ামী সরকারের আমলে বেসিক ব্যাংকে শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে তুলে গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট। তারাই নিয়ন্ত্রণ করতো ঋণ জালিয়াতি, টেন্ডার বাণিজ্য থেকে শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্যসহ সবকিছুই। গেলো ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মো: আনিসুর রহমানকে, তারও বাড়ি গোপালগঞ্জের। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর কৌশল পরিবর্তন করে সক্রিয় হয়ে আছে এই সিন্ডিকেট।
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর স্ত্রীর আত্মীয় হওয়ার সুবাধে গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম খান লুটপাটের রাজত্ব জুড়ে বসেছে পুরো শাখায়। টেন্ডার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই তার হাতে, তারই সহযোগি হিসেবে রয়েছেন বংশাল শাখার সাবেক ম্যানেজার আনেয়ার হোসেন।
বহুল আলোচিত আবদুল হাই বাচ্চুর আত্মীয় হয়েও বহাল তবিয়তে থাকা মাহবুব আলম খানের নানা অপকর্ম নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনায় সরব পুরো বেসিক ব্যাংক।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক টেন্ডার কেলেংকারী নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রেটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টে। অভিযোগ নিয়ে মাঠে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত টীম। বেসিক ব্যাংক কর্তৃক দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম প্রসঙ্গে অভিযোগে জানা যায়, গত ২৯শে জুন ২০২৪ইং তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখার নিকট দায়বদ্ধ মেসার্স ইউকে বাংলা ট্রেডিং লিমিটেড এর নিলাম বিজ্ঞপ্তিমূলে নিলাম প্রক্রিয়ায় ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যেই ৩টিই বেসিক ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে পে-অর্ডার করা হয়। এর নেপথ্যের কারিগর বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন।

গত ২৫শে জুন ২০২৪ইং তারিখে গুলশান শাখায় দরপত্র বাক্স খোলা হলে জালিয়াতি করে ১০০টাকার ব্যবধানে এগিয়ে রাখে গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেটকে। সে সময় উপস্থিত দরপত্রদাতাদের কোন পে-অর্ডার দেখানো হয় নি। পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত কৌশলে সম্পন্ন করেন গুলশান শাখার ম্যানেজার মাহবুব আলম খান। পরবর্তীতে দরপত্রে প্রদানকৃত কোন দর গৃহীত না হওয়ায় অন্যান্য দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ পে-অর্ডার তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়। সে ব্যাংক ম্যানেজার মাহবুব আলম খান বলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ দরদাতার উদ্ধৃত দর গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান না হওয়ায় পুরো নিলাম প্রক্রিয়া ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কর্তৃক বাতিল করা হয় এবং পুনরায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সম্পত্তি বিক্রয়ের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ সংক্রান্ত বেসিক ব্যাংকের রিকভারি ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফিদা হাসান স্বাক্ষরিত চিঠি যার স্মারক নং : ৫৩.০৯.০০০০. ৮২৬.৬৮. ৭৬.২০২৪.৪৪৪২ মূলে এই নির্দেশনা প্রাপ্ত হন বলে তিনি জানান।
দরপত্রে অংশগ্রহণকারীরা পে-অর্ডার ফেরত নেওয়ার আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, ব্যাংক কর্তৃক কোন দরপত্র দর গৃহীত না হওয়ায় এই পে-অর্ডার ফেরত নেওয়া হচ্ছে। পে-অর্ডার ফেরত আনার পর লিখিতভাবে পুনরায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ ও বিস্তারিত অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তা না করে উল্টো বাতিলকৃত দরপত্রের জালিয়াতির মাধ্যমে প্রথম হওয়া সিন্ডিকেট ব্যাক্তি নিয়ম বর্র্হিভূতভাবে ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলে জানা যায়।
মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম মোফাজ্জেল। আর ব্যাংকের বাহির থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ঢাকা প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি পরিচয়দানকারী আনাম আহমেদ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আশীর্বাদপুষ্ট পল্লবী থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসানের ভাগিনা হিসেবে দাপিয়ে বেড়াতো এই আনাম আহমেদ। মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে পল্লবী থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসানের নামে মামলা হওয়ার পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলো আনাম আহমেদ। বর্তমানে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুরো সিন্ডিকেট।
এদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লংঘনের অভিযোগ আনেন ইউকে বাংলা ট্রেডিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ তাজ উদ্দিন। তিনি অবহিতকরণ নোটিশে উল্লেখ করেন যে, গত ১০ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন নং ১৫৭৩৫/২০২৩ দখিল করলে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম কর্তৃক গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ বাংকের দায়েরকৃত জারী মামলা নং- ২৭৯/২০১৮; ২০৩/২০২১ ও অর্থঋণ মামলা ২৬৩/২১৭ এর সমস্ত কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকা অবস্থায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে ব্যাংকের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তার যোগসাজশে নিজেদেও পছন্দের সিন্ডিকেটের কাছে ফ্ল্যাট বিক্রির লক্ষ্যে পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা মহামান্য সুপ্রিম কোটের নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লংঘন এবং আদালত অবমাননার অগ্রহণযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন আহমেদ তাজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে গুলশান শাখার ম্যানেজার মাহবুব আলম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এই দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। টেন্ডার বাতিল ও পুনরায় প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আমি জানি না।
বেসিক ব্যাংকের টেন্ডার সিন্ডিকেটের অপতৎরতা ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
এস আলম বিতর্কে স্থগিত মনোনয়ন পেরিয়ে এখনও আশাবাদী বিএনপি বহিষ্কৃত সুফিয়ান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন রাজধানীতে নামেই ফুটপাত, হাঁটার উপায় নেই ভারতীয় মাফিয়া সিন্ডিকেটের কবলে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে শেরপুরে কাঁচা সড়কে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ আমতলীতে ফাজিল পরীক্ষায় ৯ জন বহিস্কার শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য জব্দ শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী সেজে পুলিশ কর্তৃক পলাতক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার