তারিখ লোড হচ্ছে...

নভেম্বরেই ধেয়ে আসছে তীব্র শীত

আবহাওয়া ডেস্ক:

নভেম্বরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশা পড়ছে। যা জানান দিচ্ছে আর কিছু দিনের মধ্যেই শিত পড়তে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় দিন দিন কমছে দেশের তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকালের তুলনায় আজ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল (শনিবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ১৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার (১০ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

সবা:স:জু-৭৫/২৪

 

জ্যাপাইগো’র ওয়ার্কশপে বক্তারা মাতৃমৃত্যু হার কমাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রসব পরবর্তী সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে। দুই বছরের বেশি সময়ের ব্যবধানে সন্তান গ্রহণ করলে ৩০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু এবং ১০ শতাংশ শিশুমৃত্যু এড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের মতো স্বল্পআয়ের দেশগুলোতে প্রতি ৩ জনে একজন সন্তান প্রসবের দুই বছরের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ করে থাকে। জ্যাপাইগো বাংলাদেশ পরিচালিত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেখা গেছে প্রসবোত্তর সঠিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে। সোমবার রাজধানীতে জ্যাপাইগো বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘প্রসবপরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিতকরন’ শীর্ষক প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের ওয়ার্কশপে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিবার কল্যান বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানুর সভাপত্বিতে ওয়ার্কশপে আরো বক্তব্য রাখেন জ্যাগাইগো বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান ডা. সেতারা রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. নুরুন নাহার বেগম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব বলেন, প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা’র সহজলভ্যতা নিশ্চিতে জ্যাপাইগো’র অবদান প্রশংসীয়। তিনি বলেন, দম্পতিরা যদি দুই বছরের বেশি সময়ের ব্যবধানে সন্তান গ্রহণ করেন তাহলে ৩০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু এবং ১০ শতাংশ শিশুমৃত্যু এড়ানো সম্ভব। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মতো স্বল্পআয়ের দেশগুলোতে প্রতি ৩ জনে একজন সন্তান প্রসবের দুই বছরের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ করে থাকে। প্রসবোত্তর মায়েদের ৯০ শতাংশ পরবর্তী সন্তান নিতে বিলম্ব চাইলেও সঠিক প্রসবোত্তর পরিকল্পনার অভাবে নানা জটিলতায় পড়েন।
জরিপে দেখা যায়, সারাদেশে যেখানে প্রসব পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণের হার মাত্র দশমিক সাত শতাংশ সেখানে জ্যাপাইগো’র প্রকল্পাধীন এলাকায় পরিকল্পনা গ্রহণের হার ১২ শতাংশ। আশাতীত এ কর্মকান্ডে প্রশংসীয় অবদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের সফল কর্মকর্তাদের পিপিএফপি চ্যাম্পিয়ন সম্মাননা ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশে প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার উন্নয়নে জ্যাপাইগো বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করেন। প্রকল্পের আওতায় জ্যাপাইগো বাংলাদেশ ঢাকার শহরে বস্তি এলাকায় এবং ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মৌলভীবাজার জেলার ৪টি সদর হাসপাতাল, ১২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ মোট ২০ টি সেবাকেন্দ্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়ন, যৌথ উদোগে অ্যাপস তৈরী, ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষন, সচেতনতামূলক প্রচারণা প্রদান করে যা দেশের প্রসূতী এবং প্রসব পরবর্তী মায়েদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসবকালীন জটিলতায় মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ এ নামিয়ে আনার টার্গেট পূরণ সম্ভব বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম