তারিখ লোড হচ্ছে...

মুনতাহাকে নির্মমভাবে হত্যার কারণ সনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টর॥

সিলেটের কানাইঘাটের ৫ বছরের ছোট্ট শিশু মুনতাহা নিখোঁজ, এমন খবরে একদিন আগেও সরব ছিল নেট দুনিয়া। মুনতাহার সন্ধান চাই এমন শিরোনামে দেশের হাজারো মানুষ নিজের ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে পোস্ট দেন। সবার একটাই আকুতি ছিল জীবিত হয়ে মা-বাবার কোলে ফিরবেন মুনতাহা। কিন্তু শিশু মুনতাহা নিখোঁজের সাতদিন পর ঠিকই ফিরেছেন, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি ও চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন।

ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ।

মারজিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ও তার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, মুনতাহা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগম। হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা উদঘাটন করতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সবা:স:জু-৭৭/২৪

যুবলীগ নেতা স্বপন মোল্লার ডিগবাজি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে যার দাপটে তটস্ত ছিল বিভিন্ন পেশার মানুষ। সেই স্বপন মোল্লার লেবাস পাল্টে একই ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাযায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এপি এসের, ক্যাশিয়ার ছিল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে, সে রাজধানীর ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সক্রিয় সদস্য বিভিন্ন পোস্টার ও ফেসবুক আইডি থেকে এর প্রমান রয়েছে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে কারওয়ান বাজার এলাকায় সন্তাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ সব ধরনের অপকর্মের গডফাদার ছিল স্বপন মোল্লা। পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর এই স্বপন মোল্লা বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের নিউ ফাইভ স্টার মার্কেটর আড়ৎ ব্যবসায়ী,এর পাশাপাশি এলাকায় সকল ফুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে এই সন্ত্রসী স্বপন মোল্লা। এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবী সন্ত্রাসী আওয়ামী দোসর স্বপন মোল্লার এমন কর্ম কান্ডের বিরুদ্ধে বর্তমান ড. মোহাম্মদ ইউনুস সরকারের কাছে আবেদন তাকে গ্রেফতার সহ উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে দাবী জানিয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম