তারিখ লোড হচ্ছে...

হাতকড়াসহ থানার টাওয়ারে আসামি

স্টাফ রিপোর্টার॥

থানার টাওয়ারে হাতকড়া পরা যুবক (বামে) ও তাকে নামার অনুরোধ করছে পুলিশ।

আলী রেজা রাজু,ঢাকা: হাতকড়াসহ থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে আসামি। টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ সদস্যদের চেষ্টায় কাজ না হওয়ায় ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টাও নামেননি সেই যুবক। অবশেষে ডাকা হলো যুবকের পরিবারের সদস্যদের। পরে মায়ের অনুরোধে টাওয়ার থেকে নেমে আসেন আসামি। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে সাভার মডেল থানায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, সাভার রেডিও কলোনি এলাকার একটি বাসায় চুরি করার সময় বাড়ির সদস্যদের হাতে আটক হন মমিন নামের ওই যুবক। পরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক বাদলের নেতৃত্বে দুপুর দেড়টার দিকে একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে থানায় নিয়ে আসে মমিনকে। কিন্তু থানায় আসার পর পুলিশের কাছ থেকে ছুটে থানা প্রাঙ্গণে অবস্থিত ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠে যায় মমিন। ছেড়ে দেওয়া না হলে টাওয়ার থেকে লাফিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয় মমিনকে উদ্ধারের জন্য। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও ডাকা হয়।
অবশেষে মমিনের মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেকে বুঝালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নেমে আসে মমিন। জানতে চাইলে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠেছে এমন খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। ওই যুবক অনেক উপরে উঠেছিল। টাওয়ারটি পুরাতন হওয়ায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে তার মাকে ডেকে আনা হলে মায়ের অনুরোধে যুবকটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিচে নেমে আসেন,যোগ করেন তিনি। ওই যুবক হাতকড়াসহ টাওয়ারে উঠেছিল কি না, জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, হাতকড়া পরা অবস্থায় তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন। তাকে জেলে পাঠানো হবে এমন ভয় থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিতেই তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়াওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। আটক করে থানায় আনার পর তিনি ওয়্যারলেস টাওয়ারে উঠে যান।

সবা:স:জু-৮৪

সাংবাদিক সোহেলকে মাদক ব্যবসায়ীর হুমকি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সাভারে কর্মরত মো: সোহেল মিলা (৩৮), পিতা-মৃত বাচ্চু মিয়া, মাতা- আমেরন বেগম, এ/পি সাং-আতাউর রহমান মার্কেট, জয়নাবাড়ী, হেমায়েতপুর, থানা- সাভার, জেলা-ঢাকা, থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, সোহেল একজন সংবাদকর্মী প্রতিদিনের নায় ইং-১৮/০৭/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:৩০ ঘটিকার সময় মাদক সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুরস্থ ঋষিপাড়া সামনে যাই, তখন বিবাদী ১। নির্মল দাস (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, ২। বিপলব (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, উভয় সাং-ধল্লা, থানা- সিংগাইর, জেলা-মানিকগঞ্জ, এ/পি সাং-হেমায়েতপুর, থানা- সাভার মডেল, জেলা-ঢাকাদ্বয়সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন বিবাদী আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে। আমি কোন কিছু বুঝিয়া উঠার পূর্বেই বিবাদীরা আমাকে মারধর করিতে উদ্যত হয়। পরবর্তীতে আমি চিৎকার করিলে আমার ডাকচিৎকার শুনিয়া আশেপারে লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে ২নং বিবাদী আমাকে হুমকী দিয়ে বলে যে, উক্ত ঘটনার কথা কাউকে কিছু বলিলে আমাকে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে এই মৰ্মে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলিয়া যায়। ঘটানার শেষে আমি উক্ত স্থান হইতে চলিয়া আসার পর উল্লেখিত বিবাদীদের ব্যবহৃত মোবা: ০১৭২৬-১৪৪৪১৬ হইতে আমার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করিয়া পূর্বের ন্যায় আমাকে হুমকী দিয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া ফোন কাটিয়া দেয়। বিবাদীর ভয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে । উক্ত ঘটনার বিষয় এলাকার লোকজনদের সহিত আলচনা শেষে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম