তারিখ লোড হচ্ছে...

জবি শিক্ষার্থীদের প্রতি উপদেষ্টা নাহিদের আশ্বাস

উম্মে রাহনুমা॥

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীসরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। এদিন দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দফা দাবি এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে সচিবালয় এলাকায় শিক্ষাভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী গণপদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের অদূরে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পরবর্তীতে দুপুর পর্যন্ত তাদের শিক্ষাভবন মোড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। একই সময় ‘আমি কে, তুমি কে জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম সংগ্রাম, সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’ ছাড়াও বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের আশ্বাস দেন তিনি। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, জবি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তাদের সব দাবি পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সবা:স:রা-৮৫/২৪

মেঘনাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অভিভাবক সমাবেশ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য আনয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢেলে সাজানো হয়েছে শিক্ষাক্রম মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে হাতে কলমে বাস্তবমুখী শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে নতুন প্রয়াস। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরেই চলছে, নবগঠিত শিক্ষাক্রমে পুরোদস্তুর পাঠদান। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যসূচিতে পরিচিত হয়ে উঠলেও অভিভাবকরা রয়েছেন পুরাতন সূচিতেই। অনেক পিতামাতা পারছেন না ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সঠিক তদারকি করতে!

এরই ধারাবাহিকতায়, বুধবার (১ই নভেম্বর,২০২৩) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় ‘মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’র আয়োজনে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অবহিত করণ বিষয়ক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক আহম্মেদ। অপরাপর ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলাউদ্দিন, মো. বিল্লাল খন্দকার, স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, আমরা চাই এই বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা পূর্বের ন্যায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখুক। তাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক দেশ গঠনের স্পৃহা। নতুন পাঠ্যক্রমে অনেক অভিভাবক দেখেছি সঠিকভাবে বুঝে উঠতে না পারায়, সন্তানদের তদারকি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এজন্য আমরা অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেছি, পাঠ্যক্রমের গুরত্ব তুলে ধরেছি। প্রয়োজনে কিছুদিন পর পর আপনাদের নিয়ে আমরা সমাবেশ করবো। ছেলেমেয়েদেরকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সফলতা অর্জন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধোঁয়াশা বজায় থাকলেও অভিভাবক সমাবেশের পর আমরা বুঝতে পেরেছে নতুন পাঠ্যসূচির গুরত্ব। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উপরে মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। হাতে-কলমে সবকিছুই স্কুল থেকে শিখতে পারবে, যা উন্নত দেশগুলোতে লক্ষ্য করলে এমন শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে পাওয়া যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম