তারিখ লোড হচ্ছে...

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি:

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিষয় এত সহজে সমাধানযোগ্য যে আন্দোলনের দরকার ছিল না।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ছাত্র এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, কেরানীগঞ্জে একটা নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন একনেকে নেওয়া হয়েছে, যা তারা জানে না। সেখানে হল থেকে শুরু করে সব থাকবে। এটা ঘিরে মহাপরিকল্পনা আছে, এটাকে অন্তর্বর্তী সরকারের মেগা প্রকল্পই বলা চলে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমও থেমে নেই, কাজ চলবে। শিক্ষার্থীরা অনেক জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলেছি। শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাইছে, তাও ভাবা হবে ও মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।’

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ৫ দফা দাবিতে  শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধরা। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। পরে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তে দিনে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

কোটা পুনর্বহাল: জবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

উম্মে রাহনুমা , জবি প্রতিনিধি:

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১১ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ আন্দোলন শুরু হয় এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং বাংলাবাজার ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। কোটা-পদ্ধতি বাতিল না করা হলে আগামী যে কোন সময় বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিবেন বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/ স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনও দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মত বৈষম্যমূলক বিভীষণ চাপিয়ে দেওয়া হলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। তারা দেশের সূর্যসন্তান। তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরা পরিশ্রম না করেই কোটায় চাকরিতে যোগ দেবে, এটা মানি না। আমরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম