জকিগন্জে ভূমি নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মিয়াজানকে হত্যার চেষ্টা।। থানায় মামলা দায়ের।

এমডি আকাশ খান:

জকিগন্জ উপজেলার নয়া গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আব্দুর রশিদ মিয়াজান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ কর্তৃক একই এলাকার জিয়াউর রহমান গংরা হত্যার চেষ্টায় শেষমেষ সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়,আব্দুর রশিদ মিয়াজান তাদের বৈদ সম্পত্তি, প্রবাসি জিয়াউর রহমানের গঙ্গের নামে স্যাটেলমেন্ট জরিপে আর এস রেকর্ড হলে মিয়াজান রেকর্ড সংশোধনের জন্য লেন্ড স্যারবে মামলা ও সত্য মোকদ্দমা নং ১৭৬৯,২০২১ ইং এ মামলা গুলো দায় করলে মামলা তুলে নেওয়া জন্য জিয়াউর রহমান গংরা ভয় বিতি সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দামকি সহ নির্যাতন করে আসছে এহেন অবস্থায় গত ০৬/০৪/২০২২ইং তারিখে জিয়াউর রহমান বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে আব্দুর রশিদ মিয়াজান ও তা স্ত্রী হেনা বেগমকে ভিন্ন অকৃত্য ভাবে গালি-গালাজ করথে থাকে। শেষে গত ১০/০৪/২০২২ইং আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় মিয়াজানদের বাড়ির উঠানে জিয়াউর রহমান সহ অন্নান্যরা লাঠি সটা নিয়ে ও সুপারি গাছের লাঠি নিয়ে একদল দাঙ্গাবাজ মিয়াজানের উপর হামলা চালায় এসময় তাদের কে এলো পাতারি মার পিঠে গুরুতর আহত অবস্থায় মিয়াজান মাঠিকে পরে লঠিয়ে পড়লে জিয়াউর রহমান হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল রশিদ মিয়াজানের গলায় বটি দা ধরে মূত্যুর নিশ্চিত চান আব্দুল রশিদ মিয়াজানেরহাতে ও পায়ে সজুরে ধরে রাখে এসময় সাক্ষী মনাপ মিয়া জিয়াউর রহমানের হাত থেকে দা উদ্ধার করে মিয়াজানকে প্রানে বাচান এসময় তার স্ত্রী হেনা বেগম আগাইয়া আসিলে তাকে ও উল্লেখিত আসামিরা চুলে ধরে পছন্ড মার পিট করে মাটিতে পেলে দেয় এসময়ে জিয়াউর রহমান হেনা বেগমের গলায় থাকা ৭০ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্নের চেইন চিনতাইয় করিয়া নাইয়া যায় শেষে আশপাশের লোকজন আহত এ দুজন কে উদ্ধার করে প্রথমে জকিগন্জ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় শেষে আব্দুর রশিদ মিয়াজান এর অবস্থার অবনতি ঘটলে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট উসমানী মেডিক্যাল কলেজ বর্তি করা হয় এহেনে ঘটনায় গত ১১/০৫/২০২২ইং তারিখে মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ মিয়াজান বাদি হয়েও একিই বাড়ির মৃত আতাউর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৮) ফয়জুর রহমান (৩২) মহিবুর রহমান (৫২) কে আসামি করে জকিগন্জ থানায় একটি মামলা দায় করা হয়েছে এই ঘটনায় যদি কোনো মামলা দায় করা হয় তাহলে তাদের কেপ্রনে মেরে পেলব বলে প্রকাশস্যে দেয় জিয়াউর রহমান ও তা সহযোগিরা

বিয়ানীবাজারে চিনি ছিনতাই কান্ডে ছাত্রলীগকে ‘কলংকিত’ করার দায় কার

 

হাসান জুলহাস, সিলেট::

# ১১জনের নামে মামলা
# গ্রেফতার ২ জনের রিমান্ড আবেদন হয়নি
# ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও কার জব্দে তৎপর পুলিশ
# ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার হলেও প্রকৃতরা আড়ালে
# ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ছিনতাই হয় বেশী

বিয়ানীবাজারের চাঞ্চল্যকর ২৪ লাখ টাকার চিনি ছিনতাই কান্ডে প্রশাসন ও জনমনে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পদবীধারী একাধিক নেতা এবং এই সংগঠনের রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা বহিরাগতরা জড়িত থাকায় সর্বত্র বইছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ট্রল করছেন সমালোচকরা। ছিনতাই কান্ড নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে থানা পুলিশ। এতে ঘটনার নানা বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন ও অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর।

 

পুলিশ জানায়, ছিনতাই ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা চিনি, একটি পিকআপ (ঢাকামেট্রো-ঠ ১১০৭০৯) উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃত আসামীদের রিমান্ড আবেদন করেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাদা ফয়সল। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসাইনপুর গ্রামের (বর্তমানে পৌরশহরের দাসগ্রাম লিচুটিলা ছাত্তার মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া) মো: খলিল মিয়ার ছেলে মো: লিটন মিয়া (২৬) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা শাহবাজপুর এলাকার বোবারতল গ্রামের (বর্তমানে সুপাতলা) মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে হাসান (২১)। এরমধ্যে লিটন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় ডাকাতির আরো মামলা আছে।

 

যেভাবে চিনি ছিনতাই: যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে নিলামে কেনা বিপুল পরিমাণ চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ানীবাজার থেকে লুট করে নিয়েছে একদল ছিনতাইকারী। শনিবার সকালে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাই পুলিশ ক্যাম্পের অদূর থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাক নিয়ে পৌরশহরে চলে আসে ছিনতাইকারী ওই চক্র। বিয়ানীবাজারে আসার পর ট্রাকের অর্ধেক চিনি পৌরশহরের পৃথক দু’টি গ্রামে নিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়। চিনির মালিকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছিনতাই হওয়া চিনি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। চিনির মালিক বদরুল ইসলাম বলেন, চারখাই বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। গত কয়েকদিনে তিনি সরকারের বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪৭৭ বস্তা চিনি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেন। ওই চিনি থেকে ৪শ’ বস্তা চিনি তিনি জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। শনিবার দুপুরে একটি ট্রাক বোঝাই করে বিক্রিত চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। তিনি অভিযোগ করেন, ১৫-১৬ জনের ছিনতাইকারী চক্র একটি প্রাইভেট কার, ৪টি মোটর সাইকেল এবং একটি পিকআপ নিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে। ছিনতাই হওয়া চিনির বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা।

 

নেপথ্যের ঘটনা: শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের পদবীধারী বেশ কয়েকজন নেতা দক্ষিণ বিয়ানীবাজারের একটি ফাস্টফুডের দোকানে পরামর্শ সভা করেন। সভা থেকে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া দেয়া হয় ‘অপারেশন সুগার’র। পরদিন পরিকল্পনা অনুযায়ী চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান ছাত্রলীগের পদবীধারী ও বহিরাগতরা। ওই পরিকল্পনা সভায় কারা ছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

বদরুল ইসলামের অভিযোগ: ছিনতাই মামলায় প্রকৃত আসামীদের বাদ দেয়া হয়েছে। ফরমায়েসি এজাহারের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, শ্রীধরার জনৈক ব্যক্তির লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তবে ফুটেজে প্রমাণ থাকার পরও অনেককে মামলায় আসামী করা হয়নি। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও কার জব্দে পুলিশী তৎপরতা কম। নাম্বারপ্লেট বিহীন সাদা রঙের ওই কারটি একজন ছাত্রলীগ নেতা ব্যবহার করেন বলেও দাবী করেন তিনি। কারটি তার বাড়িতে রাখা আছে মর্মে ভিডিও ক্লিপ দেখান বদরুল।

 

ছিনতাই ও চোরাচালান সময়: সর্বশেষ আলোচিত চিনি ছিনতাই হয় ভোর ৬.৩০ ঘটিকায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোর ৪ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চিনি ছিনতাই ও চোরাচালানের সময়টা বেছে নেয় দূর্বৃত্তরা। এই সময়ে পুলিশ ও জনমানুষের উপস্থিতি থাকে কম। এই সময়ের মধ্যে চারখাই থেকে বারইগ্রাম পর্যন্ত রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা একাধিক গ্রæপ সশস্ত্র ওৎ পেতে থাকে। তারা বৈধ ও অবৈধ চিনি পরিবহনের ক্ষেত্রে গাড়ি প্রতি চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চিনি ছিনতাই করে তারা।

মামলার আসামী যারা: ছোটদেশ ছুটিয়াংয়ের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (২৩, ছাত্রলীগ কর্মী), খাসাড়িপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪, ছাত্রলীগ কর্মী), শ্রীধরার মুজিবুর রহমানের ছেলে বক্কর (২৫, স্যানেটারী মিস্ত্রী), একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আনু (২৩, দিনমজুর) ও আজির উদ্দিনের ছেলে ছাদিক আহমদ (৩০, সবজি ব্যবসায়ী), কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসাইনপুর গ্রামের (বর্তমানে পৌরশহরের দাসগ্রাম লিচুটিলা ছাত্তার মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া) মো: খলিল মিয়ার ছেলে মো: লিটন মিয়া (বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডার), মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা শাহবাজপুর এলাকার বোবারতল গ্রামের (বর্তমানে সুপাতলা) মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে হাসান (২১, বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডার), নবাং গ্রামের শরফ উদ্দিনের ছেলে জিবান (২২, বখাটে ছাত্রলীগ কর্মী), চট্রগামের বাসিন্দা বর্তমানে সুপাতলার নছরুল্লাহর ছেলে শফিউল্লাহ সাগর (২৮, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি), খাসাড়িপাড়া গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে ফাহাদ আহমদ (২৩, ছাত্রলীগ কর্মী) ও চারখাই জালালনগরের হেলাল মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২৪, মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮জন।

 

ছাত্রনেতাদের প্রতিক্রিয়া: বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা তরিকুল ইসলাম ও ফারহান মহি বলেন, ছাত্রলীগের চিনি সিন্ডিকেটকে আমরা বয়কট করি। যারা সংগঠনকে এই বদনামে জড়িয়েছে কিংবা পরিকল্পনায় ছিল, তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি দাবী করেন তারা। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদ বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নিবেনা। যারা এইসব ঘটনায় জড়িত আছেন, তাদের দৃষ্টানমুলক বিচার হোক। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল আহমদ শিপু বলেন,আমরা এমন ঘটনার নিন্দা জানাই। ছাত্রলীগের কেউ এমন ঘটনায় জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান