ছাত্র আন্দোলনে হামলা, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করেন। এতে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২৬ নম্বর আসামি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোয়ালন্দে আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, হামলাকারীরা আন্দোলনকারীদের মারধর, গুলি বর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

সবা:স:জু- ৫১২/২৪

আনন্দ টিভি’র চেয়ারম্যান তৌফিক আব্বাস গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন ” আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। গত ২৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলামের ২০২৩ সালে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় মাননীয় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

আনন্দ টিভির চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস বিদেশে যাওয়ার সময় গত ২৮ আগস্ট বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রতারণা মামলায় একটি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানায় হস্তান্তর করে। এর আগে, ২০২৩ সালে আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলাম অর্থ আত্মসাৎ এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে টেলিভিশনটির তৎকালীণ পরিচালক তাজিন আব্বাস, চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস এবং এইচ, আর এডমিন সাইফুল ইসলামকে আসামী করে প্রতারণা মামলা মামলা (মামলা নং ২৪৩৮/২৩) করেন।

 

টেলিভিশনটি ২০১৩ সালে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এনওসি পায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন মালিক পক্ষ আর্থিক সংকট এবং টেলিভিশন পরিচালনায় অজ্ঞতার কারণে সম্প্রচারে আসতে ব্যর্থ হয়। পরে নুরুল ইসলাম লিখিত চুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ লগ্নিসহ সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে টেলিভিশনটি সম্প্রচারে আনেন।

 

অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি যখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। সে সময় কোন কারণ ছাড়াই স্থানীয় আওয়ামী লোকদের প্রভাবে নুরুল ইসলামকে তার লগ্নি করা অর্থ ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর তৎকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যক্ষ মদদে এবংবিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে।

 

এছাড়া এডমিন সাইফুলের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের