আ. লীগের দুঃশাসন নিয়ে ছবি বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা

বিনোদন ডেস্কঃ 

গত বছরের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘৮৪০’। মুক্তির পর থেকেই বেশ আলোচনায় উঠে আসে সিনেমাটি। দর্শকপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তাই দর্শক চাহিদা মেটাতে এবার সিনেমা হলের চলার পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায় আসছে ‘৮৪০’।

টেলিভিশনে দর্শকরা ৮ পর্বের বর্ধিত সিরিজ হিসেবে দেখবে এটি। আগামী ৩ জানুয়ারি দেশের তিনটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হবে রাজনীতিভিত্তিক এই স্যাটায়ার। সে উপলক্ষে বুধবার (১ জানুয়ারি) এক সম্মেলনে মুখোমুখি হন সিনেমার প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর সে আয়োজনেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের পর অভিনেত্রী জানান, দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমা প্রচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিশা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমা মুক্তির পর প্রযোজক হিসেবে হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর ফোন নম্বরটাও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করছে এটাই তার জন্য বড় বিষয়।

টিভির পর্দায় সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে তিশা বলেন, একটি সিনেমা মুক্তির পর সিনেমা হলের পাশাপাশি দেশের তিনটি চ্যানেলে একই দিন থেকে প্রচার হতে যাচ্ছে- এমনটা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।

দর্শকদের কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, দর্শক সিনেমাটি দেখতে চায়।

৩ জানুয়ারি থেকে চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি ও আরটিভিতে একযোগে ধারাবাহিকভাবে এই সিরিজটি সম্প্রচার হবে, শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। এর মধ্যে চ্যানেল আইয়ে দেখানো হবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। আরটিভিতে রাত ৮টায় ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন সকাল ৮টায়।

আর দীপ্ত টিভি অনএয়ার করবে রোজ রাত সাড়ে ১০টায় ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।

সিনেমা তথা সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, সহ-প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর। চিত্রগ্রহণ করেছেন শেখ রাজিবুল ইসলাম, সংগীত পরিচালনায় ছিলেন পাভেল আরিন ও সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ। সম্পাদনায় তাহসিন মাহিম ও শিল্প পরিকল্পনা ছিলেন ইব্রাহিম এইচ বাবু। পোশাক পরিকল্পনায় পূজাঞ্জলি চৌধুরী ও মেকআপে ছিলেন খাইরুল ইসলাম।

 

সবা:স:জু- ৬১৬/২৫

দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাসুদ

স্টাফ রিপোর্টার:

দেখতে আপাদ মস্তক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী পরহেজগার ব্যাক্তি। দাড়ি, টুপি সবই আছে। চাকরিও করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে। স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে থাকেন ভাড়া বাসায়। প্রতিদিন সকালে অফিস যান এবং এরপর কাজ শেষে বাসায় ফিরেন। বলছি ধর্ম মন্ত্রণালয় অধীনস্থ ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের আইসিটি ও ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ মোল্লা’র কথা।

প্রথম দর্শনে কেউ ধারণাই করতে পারবেন না যে তার এই সহজ-সরল সাধারণ চলাচলের পেছনে রয়েছে এক ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরণের দুর্নীতির এক লম্বা গল্প।

পরিবার পরিজন নিয়ে পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের বিউটি বোর্ডিংয় সংলগ্ন ৩১/২ শিরিস দাস লেনে ভাড়া থাকেন তিনি। বাসা ভাড়া দেন ২৫ হাজার টাকা৷ এরপর সার্ভিস চার্জ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল। তার বড় ছেলে পড়াশোনা করে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেঝ মেয়ে একটি বেসরকারি কলেজে। আর সবার ছোট মেয়ে মাদ্রাসায়।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। খটকা বাধে যখন দেখা যায় যে দ্রব্যমূল্যের এই দুর্বিষহ একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীনভাবে দিব্যি চলছেন তিনি। সামান্য এই সন্দেহ থেকে অনুসন্ধান চালান এই প্রতিবেদক। আর বেরিয়ে আসে তার আসল চেহারা।

এই সরকারি চাকুরে আর ক’দিন পরেই যাবেন অবসরে। কিন্তু চাকরির এত বছরে যা ঘটানোর তা ঘটিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন তদবির, বদলি বানিজ্যের মাধ্যমে পকেটে পুরেছেন কোটি কোটি টাকা৷ শুধুমাত্র বেতনভুক্ত একজন কর্মকর্তা’র ঢাকা শহরে কয়েকটি ফ্ল্যাট, জমি তার প্রমাণই বটে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পুরান ঢাকার কলতা বাজারের কাজী আবদুর রউফ রোড’র ১৩/এ বিল্ডিংয়ে তার রয়েছে ২টি ফ্ল্যাট। তবে তা অবশ্য রেখেছেন নিজ স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা’র নামে। এছাড়া রাজিয়া সুলতানা’র নামে রয়েছে রায়েরবাগে জমি। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে পৈতৃক সম্পত্তির বাহিরেও কিনেছেন বড় মাপের দামি জমি। পৈতৃক বাড়িতেও তিনি আলিশান প্রাসাদতূল্য বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। যদিও সেটি সাময়িকভাবে লোকচক্ষু থেকে আড়াল করতে বন্ধ রেখেছেন।

অবসরকালীন ভাতা পাওয়ার আগেই এই বিপুল সম্পদের উৎস প্রসঙ্গে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া একেবারেই অমূলক নয়। তবে আরেকটু যাচাই বাছাই করার জন্যে আরেকটু গভীরে যেতে হবে। প্রতিবেদকের কথা হয় তার দপ্তরের একাধীক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সঙ্গে।

তারা জানান, মাসুদ সাহেব এমনিতে ভালো লোক। তবে তাকে যখনই কোন তদন্ত, বদলি কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় তখনই তিনি হাত সাফাইয়ের কাজটি সেরে নেন। নাহলে বুঝেন না কেন, তার স্ত্রী একজন নেহাৎ গৃহিণী এতো টাকা পাবে কোথা থেকে! উনি (মাসুদ) খান (ঘুষ) তবে মাত্রাতিরিক্ত না আবার একেবারে কমও না। ওনার স্টাইল অনেক ভিন্ন।

এই প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ আল মাসুদ মোল্লা’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, প্রথমেই তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। এরপর বলেন সম্পত্তি তার স্ত্রী’র নামে।

‘আপনার স্ত্রী তো একজন গৃহিণী, তিনি এতো টাকা কোথায় পেলেন’ এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাংবাদিক পাড়ায় অনেক পরিচিতি আছে জানিয়ে বলেন, আপনার এতো মাথা ব্যাথা কেন? আপনি আসেন। আর আমার এই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য নেই। যা পারেন করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন