বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘S’ কর্তৃপক্ষের হামলায় সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার:

বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘এস’ কর্তৃপক্ষ গত ৮ আগস্ট সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম ভাবে কুপিয়ে আহত করেছেন হাফিজুর রহমান শফিকসহ পেশাদার ৬ জন সংবাদকর্মীকে। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক শফিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা করার পরেও থানা পুলিশ আসামী ধরতে অনীহা প্রকাশ করায় বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার সোসাইটি আজ (বৃহস্পতিবার) যৌথ ভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

ছাত্র জনতার গণহত্যায় সহায়তাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে বক্তব্য জানতে চাইলে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সেগুনবাগিচায় অবস্থিত টিভি চ্যানেলের অফিসে শফিক, ইমন,তারেক, কামাল, রাজা ও সবুজের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে।

উক্ত হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে মানববন্ধনে
অংশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, চ্যানেলের সিইও সুজিত চক্রবর্তীসহ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে চ্যানেল এস আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। গণহত্যা সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের অপকর্ম, লুটপাটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্যই ওই চ্যানেলটিকে উপহার হিসেবে ইসমত কাদের গামাকে দিয়েছে শেখ হাসিনা। গামার ঘনিষ্ঠ সরকারি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ কাজ করার অভিযোগ রয়েছে সুজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর চ্যানেল এস’র গণহত্যা সহায়তা, দেশবিরোধী গুপ্তচর ও দুর্বৃত্তপনার বিষয়ে সংবাদের অনুসন্ধান ও বক্তব্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিকসহ কয়েকজন সাংবাদিক ওই অফিসে গেলে তাদের ওপর সুজিত চক্রবর্তী তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও জামিন অযোগ্য মামলায় খাস কামড়ায় বিচারক আসামিদের জামিন দিয়েছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার দোসরদের এই ঔদ্ধত্ত ভূমিকা হতাশার। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িত ভারতীয় র এর এজেন্ট সুজিত চক্রবর্তীসহ অবিলম্বে সকল সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।

রক্ত মানব কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এইচএম মোরশেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মহাসচিব মো. মাসুদ, বৈষম বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য’ সভাপতি জীবন চৌধুরী, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ওয়াল্ড নিউজ এর সম্পাদক সাগর চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য- তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সহ আরও অনেক সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।

কুমিল্লায় ৭ম শ্রেণি পাশ বিএনপি নেতা পাগলা জসিম ও তারেক জিয়ার পি.এস সানির কমিটি বাণিজ্যের প্রতিবাদে যুবদলের সংবাদ সম্মেলন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

অর্থের বিনিময়ে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তোরায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু ইউসুফ বাবুল। লিখিত বক্তব্যে যুবদল নেতা বাবুল বলেন, কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আওয়ামীলীগের সুবিধাভুগী একজন নেতা। অর্থের বিনিময়ে তিনি পছন্দের লোক নিয়ে তিনি বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজলা যুবদলের কমিটি গঠন করে তারেক রহমানের পি.এস পরিচয় দানকারী সানিকে টাকা দিয়ে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এনেছেন। যাদের বেশীর ভাগই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের নামে একটিও মামলা নেই। যারা মামলা হামলায় জর্জরিত তাদেরকে কমিটি রাখা হয় নাই।

এছাড়াও জসিম নিজে একজন সুবিধাবাদী উল্লেখ করে সাবেক যুবদল নেতা বাবুল বলেন, যখন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, আমরা সরকার দলীয় ক্যাডারদের নির্যাতনের শিকার তখন জসিম উদ্দিন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আন্দোলন শেষ হলে তিনি দেশে ফিরেন। দলের প্রতি তার কোন দরদ নেই। টাকা পেলে তিনি সব করতে পারেন। তার মতো অযোগ্য লোক দলে থাকলে দলটার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা আজ থেকে কমিটি বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা পাগলা জসিমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।

আমরা আশা করবো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অচিরেই এই কমিটি বিলুপ্তি করে ত্যাগীদের নিয়ে যুবদলের কমিটি গঠন করবেন। না হয় কখনো এমন হাইব্রীড কমিটি দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।আমাদের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না স্বাক্ষরিত ৫১ সদস্যের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবি দাওয়া জানান দিচ্ছেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ, যুবদল নেতা কাজী ইরফানুল হক, জামাল উদ্দিন, ইসরাফিল গাজী, হুমায়ুন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, নিকসন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সোহেল মিয়া, রমিজ মেম্বার, আলমগীর মেম্বার, শাহ জালাল, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম ভুইয়া, জাসাস নেতা আল আমিন মিয়াজী, সাইফুল ইসলাম, সুলতান মেম্বারসহ আরো অনেকে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম