আ.লীগের অনুসারীরা তৃণমূলে সমাজে ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার:

আওয়ামীলীগের দোসররাই চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্রর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, মানবেন্দ্র ঘোষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার একজন মেধাবী ছাত্র সে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক হওয়ার কথা । মানবেন্দ্র ঘোষ দেশে মানুষের কথা ভেবে স্বাধীনতার ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে আন্দোলন করেছে আওয়ামীলীগের দোসররা তাকে টার্গেট করেছে । পহেলা বৈশাখে তার চিত্রশিল্পের মাধ্যেমে মানুষের আবেগ, স্বাধীনতার ও সার্বভৌমত্ব ,আন্দোলনকে ফুটিয়ে তুলেছে ।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাতিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্র্বতী সরকারকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সমন্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু কনস্টিটিউশনালি বা আইনগতভাবে অন্তর্র্বতী সরকারের কোন ভিত্তি নেই। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ কিভাবে রাজনীতি করবে সে দায়িত্ব অন্তর্র্বতী সরকারের। কারণ প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট মেশিনারি আপনাদের হাতে। আওয়ামীলীগকে নিয়ে আপনারা কি করবেন সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের অনুসারীরা ঘাপটি মেরে আছে বিভিন্ন তৃণমূলে সমাজের নানা জায়গায়। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার যে অর্থ, মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র লাগে তার অর্থ তাদের কাছে আছে। সেটাকে দমন করতে আপনাদের কি আইন প্রনয়ন করতে সেটা আপনারা জনগণের কাছে খোলাসা করুন। যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে। দোসরদের অনেকেই পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ সহ অনেক জায়গায়। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা। প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের তো এটা জানার কথা। যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভিতর কোথায় লুকিয়ে আছে অন্তর্র্বতী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খান রিতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কেন্দ্রীয় নেতা শফিউর রহমান সফু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আ.ফ.ম নুরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জবাবদিহিমূলক সরকার গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি জনগণের ভোটে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে চায়।

বুধবার (২ জুলাই) শাহআলী ও হাতিরঝিল থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে—দেশের সকল ক্ষমতার উৎস সাধারণ মানুষ। তাই আমাদেরকে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, তাদের মতামত নিতে হবে এবং সেই পথেই আগামীর মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

আলোচনায় আমিনুল হক ১৭ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, “গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চরম দমন-পীড়ন চালিয়েছে। একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এই ইতিহাস আমাদের মনে রাখতে হবে।”

সদস্য নবায়নের বিষয়ে কড়া সতর্কতা জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগ করেছে—তাদের সদস্য পদ নবায়ন করা যাবে না। যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছে বা ব্যবসা করেছে স্বৈরাচারের সঙ্গে—তাদের সদস্যপদও নবায়ন হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সত্যিকারের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাই সদস্যপদে অগ্রাধিকার পাবে। যারা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল, তারাই দলের আসল সম্পদ।

এসময় আমিনুল হক ফরম আদায়কারীদের দিকেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের যদি কোনো আদায়কারীর স্বাক্ষরে সদস্যপদ নবায়ন হয়, তাহলে সেই আদায়কারীর বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, “বিএনপি কখনো অন্যায়, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা দখলদারিত্বকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে প্রথমে আইনগত ও পরে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএনপি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরাচার নই। বিএনপির রাজনীতি জনগণের জন্য, উন্নয়নের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।”

হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহবায়ক নাজমুল হক মাসুম ও শাহআলী থানা বিএনপি আহবায়ক এস এম কায়সার পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মহানগর সদস্য হুমায়ুন কবির রওশন, শামীম পারভেজ, নূরুল হুদা ভূইয়া নূরু, হাফিজুর রহমান শুভ্র, মনিরুল আলম রাহিমী, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, ইব্রাহিম খলিল, সাবেক সদস্য মুহাম্মদ হানিফ মিয়া, শাহআলী থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সেলিম দেওয়ান গিয়াস, সোলায়মান দেওয়ান, হাতিরঝিল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সফিউদ্দিন শাহীন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, মিরপুর থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম