পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার পাকিস্তানের সব বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে এই পদক্ষেপ নিলো ভারত।

এর ফলে পাকিস্তানি সংস্থার কোনও বিমান এখন থেকে আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। ভারতের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (এনওটিএএম) জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।’

পহেলগাঁওয়ের হামলায় তাদের কোনও হাত নেই, প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে পাকিস্তান। তবে ভারত এই ঘটনায় ইসলামাবাদকেই দায়ী করেছে। সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। এর পর পাকিস্তানও কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সেই ঘোষণার ছয় দিনের মধ্যে ভারতও অনুরূপ পদক্ষেপ করল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে ইসলামাবাদ। ভারত যেকোনো দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে পাকিস্তান একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে। আকাশসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধ আছেই, ভারতের আকাশসীমা দিয়ে কোনও বিদেশি বিমানও যদি পাকিস্তানে প্রবেশ করে, তাতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানি আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব বিমান বুধবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আপাতত পাকিস্তানের বিমানগুলি ভারতের আকাশসীমা এড়িয়েই চলছিল। কিন্তু বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত তাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এখন চাইলেও কোনও পাকিস্তানি বিমান ভারতের আকাশে প্রবেশ করতে পারবে না।

মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান ভারতের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বার ইসলামাবাদকে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ ওই বিমানগুলিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছোতে হবে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে বেশি। ফলে খরচ বাড়বে। সময় বেশি লাগবে। বাড়তে পারে টিকিটের দামও। পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় ভারতের অনেক বিমানকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।

পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর পাকিস্তান এবং ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়ে চলেছে ক্রমশ। দুই দেশকেই ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না-হয়, তার বন্দোবস্ত করতে বলেছে আমেরিকা।

অন্য দেশগুলিকেও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে একই বার্তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পহেলগাঁও ঘটনার পর তারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশকে ‘শান্ত’ করতে যখন উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা, তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আরও এক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেষ মুহূর্তে সমঝোতা, বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

সবজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিতে একমত হয়েছে ধনী দেশগুলো, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) শেষ মুহূর্তে এই চুক্তি হয়। খবর রয়টার্সের।

সমঝোতা অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই সহায়তা দেওয়া হবে। ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিলে জমা করা অর্থ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করবে।

এর আগে, ধনী দেশগুলো প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলার জমা দিচ্ছিল। তবে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি ছিল এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে আরো একদিন আলোচনা করা হয়। অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোর অনুরোধে ধনী দেশগুলো বছরে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়নে রাজি হয়।

 

সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরির চুক্তিও হয়েছে। এই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বেচাকেনা করতে পারবে দেশগুলো। দরিদ্র দেশগুলো বৃক্ষরোপণ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে ‘কার্বন ক্রেডিট’ অর্জন করতে পারবে।

এর আগে শুক্রবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ এই প্রস্তাব নাকচ করে। তাদের দাবি ছিল, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বছরে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের সমঝোতায় পৌঁছায় সব পক্ষ।

এই চুক্তি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

 

সবা:স:জু-১৭৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান