তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের স্বঘোষিত সভাপতি জুলফিকার মতিনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজিঃ নংঃবি-১৯৪০ এর স্বঘোষিত সভাপতি জুলফিকার মতিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী পরবর্তী নির্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল হয়েছে। সোমবার ১২ মে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র উপ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোঃ শরিফুল ইসলাম তেজগাঁও থানায় এই অভিযোগ করেন। থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস গ্যাসের জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে এক পক্ষের মৌখিক সভাপতি খন্দকার জুলফিকার মতিন দুই বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত হন। প্রায় সময়ে বহিরাগত লোকজন এনে তিনি শিল্প সংযোগের তদবির, অবৈধ লাইন কেটে এনে দ্রুত সংযোগ প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগ সহ সকল ধরনের অবৈধ সুবিধা গ্রহণের জন্য তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায়ই খারাপ আচরণ ও হুমকি প্রদর্শন করে থাকেন। তার এসব কাজে সহযোগিতা করে আসছিলেন, তিতাস গ্যাসের সিনিয়র সুপারভাইজার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (কোডনং-০৮৯১১), সিনিয়র অফিস সহকারি মোঃ আলমগীর (কোড নং-০৮৭৬৬), সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান আনোয়ার হোসেন (কোড নং-০৯১১৩), গাড়িচালক ইয়াসিন আলী (কোড নং-০৯২৬৯), গাড়ি চালক ছাইফুল ইসলাম (কোড নং ০৯৮৮৩), সিনিয়র পিসি অপারেটর রাসেল আহমেদ (কোড নং-০৯৬৫৫), গাড়ি চালক লিটন সিকদার (কোড নং-০৯৯১৯) সহ অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা বহিরাগত কিছু লোকজন। এদের কথা মত অবৈধ কাজে সহযোগিতা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহ নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে পত্রিকায় ছবি দিয়ে মিথ্যা রটনা রটিয়ে কর্মকর্তাদের বদনাম করার চেষ্টা করে থাকে। এরূপ ঘটনার অংশ হিসেবে গত ৮ মে ২০২৫ তারিখে খন্দকার জুলফিকার মতিনের অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ করতে অন্তঃ দলীয় কোন্দলের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের রুমে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্য গ্রুপের সদস্যগণ তালাবদ্ধ করে দেয়। তিতাস গ্যাস অফিসে নির্বাচিত কোনো শ্রমিক প্রতিনিধি নেই। জুলফিকার মতিন গ্রুপের লোকজন প্রায় সারা দিনই সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন বহিরাগত লোকজন সহ সন্ত্রাসী নিয়ে ইউনিয়ন রুমে আড্ডা মারেন, যা তিতাস গ্যাস প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মনে করে দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক জমা প্রদানের মাধ্যমে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি (সিবিএ) গঠন হলে তবেই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিবিএ প্রতিনিধির কাছে ইউনিয়ন রুমের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হবে। অন্যথায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এবং ইউনিয়ন রুমের চাবিটি বৃহত্তর স্বার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রক্ষিত আছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, সোমবার ১২ মে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আতিয়া বিলকিসের কক্ষে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম খন্দকার জুলফিকার মতিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের উপস্থিতিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি-ধমকি দেয়। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে তিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয় ইউনিয়ন অফিসের রুমে তালা দেয়াকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে উদ্ভব না ঘটে সে লক্ষ্যে তেজগাঁও মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানান তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

তুরাগে মানব পাচারকারী দলের সদস্য, দেহব্যবসায়ী ও ভয়াবহ এক প্রতারক চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীর তুরাগে মানব পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য, দেহব্যবসায়ী ও ভয়াবহ এক প্রতারক নারীকে চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃতের নাম ইসমত আরা ইতি (৩৩), সে দীর্ঘদিন যাবত তুরাগের ধউর এলাকায় বসবাস করে আসছে, প্রথম দিকে বিভিন্ন গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও ২/৩ বছর ধরে জড়িয়ে পড়েন দেহ ব্যাবসা, মানব পাচার, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে । বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য লোকজনের কাছে নিজের নানা সমস্যার কথা বলে ও বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা ও মহিলাদের স্বর্ণলংকার । আর তার এইসব অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক সহয়তা করে থাকেন, তার আপন বোন লাকি ও তার ভাগনি পায়েলসহ নাম না জানা আরও কয়েকজন বলে অভিযোগ করেন কয়েক ভুক্তভোগী । গত প্রায় বছর খানেক পূর্বে উপরোক্ত ব্যক্তি দ্বয়ের সহয়তায় প্রতারক ইসমত আরা ইতি এক মহিলার কাছ থেকে প্রায় ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে মর্মে ডাচ বাংলা ব্যাংকের তার নিজ নামনিয় অ্যাকাউন্টের এক খানা চেক প্রদান করেন । পরে যথা সময়ে ভুক্তভোগী উক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য কয়েকবার ব্যাংকে চেক জমা দিলে তার অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেকটি ডিজঅনার করেন । পরে এই ঘটনা ভুক্তভোগী প্রতারক ইসমত আরা ইতিসহ তার সহযোগীদের জানালে তারা ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি- ধামকি প্রদান করেন । তখন ভুক্তভোগী নিরুপায় হইয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গকে জানাইলে তারা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু এই প্রতারক চক্র গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কথায় কোন কর্ণপাত না করিলে তারা ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন । পরে ঐ ভুক্তভোগী নিকটতম তুরাগ থানায় গিয়ে উপরোক্ত বিষয়টি জানাইলে থানা পুলিশ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন । তার পরে তিনি আদালতে গিয়ে প্রথমে একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেন এবং ৩০ দিনের সময় দিয়ে উকিল নোটিস পাঠান প্রতারক ইসমত আরা ইতি বরাবর । প্রতারক উক্ত উকিল নোটিসটি গ্রহণ না করিয়া কৌশলে ফিরত পাঠিয়ে দেন । এরপর নিয়ম মাফিক এই প্রতারকের বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রথমে সমন জারি করেন । কিন্তু একই কায়দায় সমনটি গ্রহন না করিয়া কৌশলে ফিরত পাঠিয়ে দেন এই প্রতারক । এদিকে সমন ফিরত পাঠানোর কয়েকদিনের ভিতরেই কৌশলে বাসা পরিবর্তন করে ১লা জুন ২০২৪ইং তারিখ থেকে ধউর এলাকার জৈনক আজিজের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন । এদিকে সমন ফিরত ও যথা সময়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার কারনে ইতিমধ্যে মহামান্য আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন । পরে উক্ত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তুরাগ থানায় পৌছলে ৭ই জুন ২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে তুরাগ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে উক্ত প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন । উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারক ইসমত আরা ইতি ও তার দলের কয়েক সদস্যর বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা ও মানব পাচার আইনে পূর্বেরেও মামলা রয়েছে এবং সেই মামলায় কিছুদিন কারা বাসের পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিভিন্ন রকম অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ড আরও বাড়িয়ে দেন । বর্তমানে উক্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন । গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক ইসমত আরা ইতি, খুলনা জেলার, দৌলতপুর থানার, মহেশেরপাসা গ্রামের আঃ রহমানের মেয়ে । বর্তমানে তুরাগের ধউর এলাকার জৈনক আজিজের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম