আফতাবনগরে গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৫

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর আফতাবনগরে এক বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা আক্তার (৩৫), তাদের সন্তান তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মো. শরীফ।

তিনি বলেন, আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার এক ভবনে নিচতলায় বসবাস করেন ভুক্তভোগীরা। রাতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।

দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন একজন দিনমজুর। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। পরিবার নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আফতাবনগর থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মানসুরা ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া তাদের কন্যা তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসকের বিরদ্ধে মারধরের অভিযোগ, কর্মবিরতিতে নার্সরা

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসকের হাতে নার্সের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন তার সহকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে নার্সরা সব ধরনের সেবা বন্ধ রেখেছেন, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

নার্সরা জানিয়েছেন বুধবার বিকালের শিফটে চলাকালে কামরুল হাসান নামে একজন নার্সের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সৈকত তাওহিদ নামে একজন চিকিৎসকের। এ সময় সৈকত তাওহিদ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কামরুল হাসানকে ‘পিটিয়ে আহত করেন’। সৈকত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদলের সভাপতি।

আহত অবস্থায় বুধবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেই ভর্তি করা হয় কামরুলকে। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেকে কর্মবিরতিতে যান নার্সরা। সকালে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনার প্রতিবাদের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা।নাজমা আকতার নামে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, আমাদের নার্সদের গায়ে হাত তুলেছেন এর বিচার চাই। এর প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি।
অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সৈকত তাওহিদের বক্তব্য তাৎক্ষনিকভাবে জানতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শিহাব উদ্দিনকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম