৩ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ৮ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবারও এসব নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এ ছাড়া সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ– এই তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে।

সোমবার (২ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, দ্বিতীয়য় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে মুহুরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের ও যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৪ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

এতে বলা হয়, গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ৫ দিন গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক চার দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: 

সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক চার শহরের নাম জানিয়েছে অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। এ ছাড়া গত এক বছরে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিহত সাংবাদিকদের তথ্যও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ৫৪ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। নিহতদের এ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

আরএসএফ জানিয়েছে, তালিকায় সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে গাজা। এরপর রয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ও মেক্সিকো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে ইসরায়েলের হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গাজায় ১৬ জন এবং লেবাননে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানে সাতজন এবং বাংলাদেশ ও মেক্সিকোতে পাঁচজন করে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৪৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন। বর্তমানে বিশ্বে ৫৫ সাংবাদিক জিম্মি রয়েছেন। এদের মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট তথা আইএসের হাতে ২৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ৯৫ সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৪টি অভিযোগ দায়ের করে করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ১৪৫ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের সময় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

তবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা বলছে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানাকালে কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়ে থাকতে পারেন।

সবা:স:জু- ৩২৮/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন