স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাজধানীর মিরপুরের বেশ কয়েকটি চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে প্রকাশ্য দিবালোকেই চলছে রমরমা দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ ।
এলাকাবাসীর দাবি, হোটেল রয়েল আবাসিক ও হোটেল বাগদাদ আবাসিকে একজন নারীর সাথে ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা হারে ঘন্টা চুক্তিতে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। রঙ্গলীলায় পুরো রাত কাটাতে হলে গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। এছাড়া শ্রেনীভেদে নারীদেরকে দিতে হয় আরো কয়েক হাজার টাকা। যার ভাগ পান হোটেল মালিকগণও। আর বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।
এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন, হোটেল বাগদাদ ও হোটেল রয়েল আবাসিকের মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী সুরুজ মিয়া নামে এক ব্যাক্তির নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ধরেই একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ।
অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মিরপুর এক নম্বরের হোটেল বাগদাদ,হোটেল রয়েল আবাসিক,হোটেল ডায়মণ্ড,টাইম স্টার,গোল্ড স্টার,মামুন হোটেল,প্রিন্স হোটেল,শাপলা হোটেল,মিরপুর-১০ নম্বরের বৈশাখী হোটেল,গাবতলী বাস টার্মিনালসহ গোটা মিরপুরের প্রায় সবগুলিই আবাসিক হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রকাশ্য দিবালোকেই।
এলাকাবাসী আরো জানান, মাত্র বছর কয়েক আগেই এই সুরুজ মিয়া মিরপুরের ফুটপাতে দুটি ঝুড়িতে করে বিক্রি করতেন মরিচ। ফুটপাতে বসে খুচরা মরিচ ব্যবসার সুবাদে দু’একজন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে সংশ্লিষ্টদের নিকট পৌছে দেয়ার দায়িত্ব পান সুরুজ। বিনিময়ে তিনিও আদায়কৃত চাঁদার দু’চারশ টাকা ভাগ পেতেন। সেসময় মাজার শরীফের আশপাশসহ মিরপুর এক নম্বরের পুরো সড়কজুড়ে বসতো রাত্রীকালীন কাঁচাবাজারের বিশাল আড়ৎ। একজন খুচরা মরিচ ব্যবসায়ী হিসেবে সারারাত জেগে কাজ করায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণকারী চক্রের এক সক্রিয় সদস্যের সাথে পরিচয় হয় সুরুজ মিয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ধীরে ধীরে নিজেই পুরোপুরিভাবে জড়িয়ে পড়েন আবাসিক হোটেল সংশ্লিষ্ট দেহব্যবসায়। রাতের ঢাকায় রাজধানীর ওভারব্রীজগুলো কেন্দ্রীক যেসকল যৌনকর্মী নারীরা দেহব্যবসা করেন এবং এসকল যৌনকর্মী নারীদের ঘিরে যে ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট রয়েছে-তাদের নিয়ন্ত্রনের বিরাট দায়িত্বেও নিয়োজিত এই সুরুজ মিয়া। শুরুতে হোটেল বাগদাদের একজন ব্যবসায়ীক পার্টনার হিসেবে দেহব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে তিনি মিরপুর,গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৭ টি আবাসিক হোটেলের দেহব্যবসা নিয়ন্ত্রন করেন।এলাকাবাসী আরো জানান, সম্প্রতি হযরত শাহ আলী (রঃ) মাজার শরীফের প্রধান প্রবেশপথের বিপরীতে একক মালিকানায় হোটেল রয়েল আবাসিক নামে একটি আবাসিক হোটেল পরিচালনা করছেন সুরুজ মিয়া। দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা প্রকাশ্য দিবালোকেই নারী পুরুষের ওঠানামার সিরিয়াল লেগেই থাকে। এছাড়াও হোটেল বাগদাদ হোটেল রয়েল আবাসিকে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বানিজ্য। এমনকি গভীর রাতে বিশাল পরিসরে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগও রয়েছে। নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কর্তৃপক্ষ মানছেন না এই নিয়ম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,গভীর রাতে রাজধানীর কোথাও অবাধে চলাফেরা না করা গেলেও মিরপরের হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার শরীফ কেন্দ্রীক এলাকাজুড়ে দিনরাত অবাধে চলাফেরা করতে পারেন যে কেউ। বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে পালিয়ে,ব্যাক্তিগত কাজ,অন্যান্য কারনসহ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আসা বিভিন্ন নারী-পুরুষ কোন আশ্রয় না পেলে এই মাজারে আশ্রয় নেন। আর এসব হোটেলের নিয়োজিত বিভিন্ন দালালেরা মাজার কেন্দ্রীক আশ্রয় নেয়া অসহায় নারীদেরকে টার্গেট করে মিষ্টি মিষ্টি কথার জালে ফাসিয়ে আশ্রয় দেয়ার অজুহাতে সুকৌশলে ফুসলিয়ে মাজারের সামনের হোটেল রয়েল আবাসিক, হোটেল বাগদাদ আবাসিকসহ আশপাশের বিভিন্ন হৌটেলে নিয়ে যায়।
এমনকি অসহায় আশ্রয়হীন মেয়েগুলোকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচার করে দেয় এসব দালালেরা। এই কাজেও সক্রিয় ভাবে হোটেল মালিক-পরিচালকগণ তাদেরকে সহযোগিতা করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, হোটেল গুলোর মালিক-পরিচালকগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস পাননা। তাছাড়া পুলিশের দুএকজন অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথেও তাদের সুম্পর্ক রয়েছে। ফলে এসকল অপকর্ম করতে তাদের তেমন কোন বেগ পেতে হয় না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ সত্য হলে এসব আবাসিক হোটেলগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় থেমে নেই মাদক ও রমরমা দেহব্যবসা। এই জমজমাট ব্যবসাটি চলছে মিরপুর দারুসসালাম থানাধীন এলাকায় ঢাকার গাবতলী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থিত স্বাগতম নিউ আগমন যমুনা ও টায়ারপট্টি’র রজনীগন্ধ্যা বলাকা আবাসিক হোটেল সহ মোট বেশ কয়েকটি হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা। এই আবাসিক হোটেল গুলো দেহ ব্যবসা পরিচালনা করেন লিভ মামুন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে লিড মামুন বিষয়টির স্বীকারও করেন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক কাছে। সরজমিনে জানতে পারে, দারুস সালাম থানা ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লিড মামুনের নেতৃত্বে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।আর ওই হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামঞ্চাল থেকে আগত যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলে এই ব্যবসার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলটির ম্যানেজার ও । অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানা যায়।
পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজ ছাত্রী বলে দাবি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও গ্রামঞ্চাল থেকে এসেছে তারা। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য আনতে প্রতিবেদকের বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
এই অবৈধ অসামাজিক ব্যবসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাগান্বিত হয়ে স্বাগতম ও রজনীগন্ধ্যা হোটেলের ম্যানেজার ও মালিক হারুন হুমকি ধামকিও হুমকি দেন। তিনি উচ্চ স্বরে বলেন এ ব্যবসা ঢাকা শহরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এবং দেহ ব্যবসা চলবে আপনার পারলে কিছু করার থাকলে কইরেন।মিরপুর এক নম্বরের বাগদাদ, হোটেল ডায়মণ্ড, হোটেল টাইম স্টার, হোটেল গোল্ড স্টার, হোটেল শাহ আলী, হোটেল প্রিন্স সহ গোটা মিরপুরের প্রায় সবগুলিই হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।
ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ।ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলীতে। এদিকে গাবতলীর আবাসিক হোটেল মধুমতি, হোটেল চৌধুরী, হোটেল বলাকা, হোটেল রোজ হ্যাভেন , হোটেল নিউ আগমন, হোটেল যমুনা, হোটেল স্বাগতম, টায়ার পট্টি হোটেল রজনীগন্ধা ও বলাকা সহ এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতাদের নিয়ে রাত্রী যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, রাজধানীর সন্ত্রাসীদের বিশাল একটি গ্রুপের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে।
অন্যদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানাধীন বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের নামে চলছে দেদারসে অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাইরে বড় করে সাইনবোর্ডে লেখা “আবাসিক হোটেল” হলেও এর ভেতরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লোকজন অস্থায়ীভাবে রাত্রিযাপনের জন্য এসব হোটেলে ওঠেন। অথচ বেশিরভাগ হোটেলেই নেই থাকার উপযোগী পরিবেশ। এর বদলে সেখানে চলছে মাদক সেবন, দেহ ব্যবসা এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ।

যাত্রাবাড়ির ‘আয়শা মনি’ হোটেলের মালিক মাদক ব্যবসায়ী তারেক ও তোফাজ্জেল। পাশেই ‘মেঘনা’ নামে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে যার মালিক শফিক ও খালেক। ‘হোটেল রোজ গার্ডেন’-এর মালিক জাকির, শপন এবং ম্যানেজার গাজী। ‘আবাসিক হোটেল তাজ’-এর মালিক জাহিদ ও জসিম। ‘আবাসিক হোটেল আল শাহিন’-এর মালিক জাহিদ কনক ও জসিম। ‘হোটেল আল হায়াত’-এর মালিক সবুজ ও ম্যানেজ্রা ইমরান ও আকাশ। জানা গেছে ইমরান সরাসরি মাদক বিক্রির সাথে জরিত। ‘হোটেল গ্রিন ভিউ’-এর মালিক মো. আলী ও সোহাগ। ‘হোটেল ঢাকা টাইমস’-এর মালিক আলম ও নুর ইসলাম।
অন্যদিকে, সায়েদাবাদের জাকির টাওয়ারে অবস্থিত ‘রোজ গার্ডেন হোটেল’-এর মালিক মো. জাকির ও স্বপন, যারা দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
হোটেল মালিকরা গর্ব করে বলেন, “পুলিশ তাদের কাজ করে, আর আমরা আমাদের কাজ করি। পুলিশ তো আমাদের নিয়ে সারাদিন ভাববে না, তাদের আরও কাজ আছে—যা আমরা ভালো করেই বুঝি। একদিকে ধরে নিয়ে যায়, আরেকদিকে আমরা আবার শুরু করি। এই ব্যবসা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে, ভবিষ্যতেও হবে। স্থানীয়দের দাবি, যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ থানার আশপাশে আবাসিক হোটেলের নামে পরিচালিত পতিতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
তথ্য মিলেছে, যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্গত কুতুবখালীর তৎকালীন হোটেল গোল্ডেন থেকে হোটেল পপুলার বা তার আশেপাশে থাকা অন্তত কুড়িটি আবাসিক হোটেলের প্রায় প্রতিটিই একেকটি অপরাধ আখড়া। বেশ্যাবৃত্তির নিরাপদ আস্তানা।
একইভাবে যাত্রাবাড়ী ত্রিমুখী রাস্তার মোড়ে কাঁচাবাজারে ভিতরে রয়েছে পাইকারি বাজার, আর তারই উপরে চারতলা ভবনের টপ ফ্লোরে হোটেল পপুলারে (আবাসিক) রীতিমতো সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে চালিয়ে আসছেন সবধরনের অবৈধ কাজ। তথ্য মতে, এসব প্রতিষ্ঠানে হোটেলের নামে আসলে চলে দেহ ব্যবসা ও নিরাপদে ইয়াবা সেবন।কুতুবখালি এলাকা থেকে সায়দাবাদ জনপথ মোড় পর্যন্ত অন্তত ১০টিরও অধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেসব হোটেলগুলোতে চলছে অবাধে নারীদের দিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা। হোটেল রয়েল, হোটেল ছায়ানীড়, হোটেল আনোয়ারা, হোটেল রংধনুসহ যাত্রাবাড়ী মোড়ের আশেপাশে প্রায় প্রতিটি হোটেলেই চলে অসামাজিক কার্যকলাপ কিন্তু দেখার যেনো কেউ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভাষা পরিবর্তন করুন »