বেশভুশ পাল্টিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা বিকৃতমনা ধর্ষকের!

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ-

বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ বন্দর কলোনীর ৮ নং রোডের পরিত্যক্ত একটি ভবনে ৭ বছরের শিশুকন্যা সুরমাকে ধর্ষনের পর হত্যা করেছিল ওসমান হারুণ মিন্টু নামক এই পাষন্ড। চাঞ্চল্যকর এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি মুহুর্তেই ফলোআপ হয়েছিল গণমাধ্যমের শিরোনামে।

এর আগে গত মাসের ১৭ তারিখ হালিশহরের কে ব্লক থেকে বিরিয়ানীর লোভ দেখিয়ে নিজের রিক্সায় উঠায় এবং বন্দরের ৮ নং গলির একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে মুখে গামছা পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করে বিকৃতমনা এ ধর্ষক।  নগরীর হালিশহর থানার বুইল্লা পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ৭ বছরের ওই শিশুটি। অভাবের তাড়নায় বাবা রিক্সা চালাতো এবং মা এ বাড়ি ও বাড়িতে ভিক্ষা করে সংসার চালাতো। নিহত সুরমার বাবা রিক্সাচালক কাউছার বিলাপ করে বলেন, আমার মাইডারে ওরা মাইরা ফেলাইলো, আমি যদি জানতাম, এমন ঘটনা ঘটবো তাহলে কি তার আর বাইরে যাইতে দিতাম। নিহত সুরমার মা জানান, দুপুরে সুরমারে রাইখা বাসার কাজে রাইর হইছিলাম। আমি কি আর জানতাম? এভাবে আমার মাইডারে সে মাইরা ফেলাইবো। আমি তার ফাসি চাই, আমি তার ফাসি চাই। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্যের উদঘাটনে করতে গিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল।

এ বিষয়ে সিএমপির বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা বলেন, প্রায় ২৪ দিন পরে আমরা এ হত্যাকান্ডের প্রধান এবং একমাত্র আসামীকে ধরতে সক্ষম হই। প্রায় ১০০টি সিসিটিভির ফুটেজ বের করে তদন্তের মাধ্যমে একটি প্যাডেল চালিত রিক্সার সন্ধান পাই অবশেষে প্রায় ৮০টি গ্যারেজ ঘুরে আমরা এ কালপিটকে গ্রেফতার করি। তার দুই বউ থাকা সত্ত্বেও অধিক নারীর প্রতি আসক্তি ছিল এবং সে নিয়মিত মাদকও সেবন করতো।

নিজের মেয়ের চাইতে বয়সে ছোট সুরমাকে হত্যার পর এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুড়ে বেড়াতো এ পাষন্ড। পেশায় রিক্সাচালক হলেও নিজের বেশবুশ, লুংগি গামছা ছেড়ে নিয়মিত পড়তো প্যান্ট শার্ট।  নিজেকে বাচাতে নেশার পার্টনার সাইফুলকেও ফাসাতে চেয়েছিল এই বিকৃতমনা ধর্ষক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি অবশেষে গতকাল রাত ৯টায় নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারি পাড়া এলাকা থেকে মিন্টুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে বন্দর থানা পুলিশ। বিকৃতমনা এ ধর্ষকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।

আদালতের বারান্দায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত করলো স্ত্রী

আদালতের বারান্দায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত করলো স্ত্রী

নোয়াখালী সংবাদদাতা:

নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বারান্দায় স্বামী মহসিন উদ্দিনের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৬ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত স্বামীর নাম মহসিন উদ্দিন। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলা কুতুবপুর গ্রামের খোনার বাড়ির বাসিন্দা। তার স্ত্রী সুলতানা সিদ্দিকের বাগি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। আহত স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মহসিন তার ভাই মতিউল ইসলামের বিরুদ্ধে করা একটি চেক ডিজঅনার মামলার শুনানিতে তিনি আদালতে এসেছিলেন। এসময় বারান্দায় তার স্ত্রী সুলতানা সিদ্দিক তার গলায় ছুরি চালান।

মহসিন উদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই তার স্ত্রী এই হামলা চালিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, ২০১৩ সালে মহসিন উদ্দিন ও সুলতানা সিদ্দিকের বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুলতানা সিদ্দিককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনও কোনো অভিযোগ করেনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন