
ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় ভিডিও ভাইরালের পর ফেনীর পরশুরাম মডেল থানার এসআই আবু ছৈয়দকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী নির্যাতন মামলার আসামির সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওটি নজরে এলে তাৎক্ষণিক তাকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পরশুরাম থানার ওসি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই এসআই। তিনি টাকা নেননি বলে দাবি করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পান্না আক্তারকে পিটিয়ে জখম করেন একই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আবদুস সাত্তার (৫৫)। এ ঘটনায় ওইদিন ছাত্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পান্না আক্তার। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু ছৈয়দ। ঘটনার দিন পরশুরাম বাজারের হাসপাতাল রোডের আবদুস সাত্তারের বাসায় যান তদন্ত কর্মকর্তা। বাসার সিঁড়ির নিচে একান্ত কথোপকথনের এক পর্যায়ে টাকা লেনদেন করতে দেখা গেছে তাকে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভিতে তা রেকর্ড হয়।
ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায় আসামি আবদুস ছাত্তার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু ছৈয়দকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আবু ছৈয়দ বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত ২২ জুনের। আসামি সাত্তার আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজের পকেটে থাকা টাকা বের করে সাত্তারকে দেখিয়ে বলেছি ‘টাকা আমার কাছে আছে, টাকা লাগবে না।’ আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি।
জানতে চাইলে আবদুস ছাত্তার বলেন, হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন। তদন্তে এলে যেকোনো অফিসার টাকা নেন। এ বিষয়টি আমি উনাকে বলেছি, তিনি সেখানে অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে উনার পকেটের টাকা বের করেছেন। এসআইকে টাকা দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও কীভাবে গণমাধ্যমে গেলো তিনি জানেন না বলেও জানান।
এ ব্যাপারে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, অভিযুক্ত এসআইকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।