গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল

জেলা প্রতিনিধি:

মোংলায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রনি নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোংলা থানার ওসি মানিক চন্দ্র গাইন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মামলা তুলে না নিলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

থানায় মামলা হলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের।

স্থানীয়রা জানান, মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করছে ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা। একই এলাকায় বসবাস করছে রনিও। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বেশ কিছু দিন যাবৎ ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন রনি। কিন্তু তার এ অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকিও দিতেন তিনি।

ভুক্তভোগী নারী জানান, গত কয়েক দিন আগে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন তিনি। সেখানে ঘরের পাশে গোসল করার সময় গোপনে মোবাইলে তার গোসলের ভিডিও ধারণ করেন রনি। পরে গত ২৮ জুন সকাল ৯টার দিকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করতে চাপ সৃষ্টি করেন এবং তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। এ ছাড়া তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন রনি। এতেও রাজি না হলে ওই নারীর স্বামীর বাড়ি গিয়ে সকলের সামনে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন কথা প্রচার করেন রনি।

এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে রনিসহ তার দলবল ভুক্তভোগী নারীসহ তার মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধর করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রনি এলাকার বখাটে। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের বহু ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। কৌশলে নারীদের গোসলের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। তাই রনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে মামলাও নেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

 

 

কক্সবাজারে সাদাপোশাকে সাংবাদিক মুন্নাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

 

নিজস্ব সংবাদদাতা :
কক্সবাজার শহর থেকে সাদাপোশাকে সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে আটকের বিষয়টি জানে না কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

আজ বুধবার ( ৪ এপ্রিল প্রায় ২.৩০ মিনিটের সময় কক্সবাজার শহর থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মনসুর আলম মুন্না দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কক্সবাজার জেলার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত।

সাংবাদিক মুন্না দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে আসছিলেন। হঠাৎ করে কয়েকদিন দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। তারপর তার কাছ থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন। সাংবাদিক মুন্না প্রতিকার চাইতে কক্সবাজার সদর থানায় তিন দিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

সদর থানার ওসিকে সাংবাদিক মুন্না বারবার অনুরোধ করে বলেন স্যার আমাকে যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলবে না হয় আমাকে বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের দিয়ে হঠাৎ করে করেনি করবে।

এমনভাবে ওসিকে অনুরোধ করার পরেও তিন দিনেও কক্সবাজার সদর থানার ওসি কোন ব্যবস্থা নেই নি। আজ (৪ এপ্রিল) অনুমান দুপুর আড়াই ঘটিয়ার সময় কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না ও তার স্ত্রী আজ দুপুরে আমার সাথে দেখা করে গেছেন। তিনি যে অভিযোগ করেছেন এটি মামলা হয়েছে কিনা জানতে এসেছিলেন।

ওসির কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা, সাংবাদিক মুন্নার বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা? ওসি বলেন কোন মামলা হয়নি। সাংবাদিক মুন্নাকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে কয়েকজন ব্যক্তি, আপনি শুনেছেন কিনা? জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমি জানিনা। তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

এবিষয়ে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর আবাসিক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন জানান,মুন্নার পরিবার ও তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আজ দুপুর হাইটের সময় সাদা পোশাকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম