৩ বছরে প্রায় শত কোটি টাকার অনিয়ম:বিআইডব্লিউটিএ’র

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ) এর নদী খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণে ব্যবহৃত ড্রেজারগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামত খাতে গত ৩ বছরে প্রায় শত কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসা/ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার ও অপচয় বন্ধে এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম,দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটনে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তারা। বুধবার (২ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের ২৩ জন প্রতিনিধি এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযান চলাচলের উপযোগী নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নদী খনন ও নিয়মিত নৌপথের পলি অপসারণ করে থাকে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজের জন্য সংস্থার বহরে ৪৫টি ড্রেজারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জলযান রয়েছে। এগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অধীনে রয়েছে আলাদা কয়েকটি ‘ড্রেজারবেইজ’।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ড্রেজার ও সহায়ক জলযানগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামত খাতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে জলযানগুলোর মিটার টেম্পারিং করে জ্বালানি তেল আত্মসাৎ ও মেরামতের নামে সরকারি টাকা হরিলুট অন্যতম। বিবৃতিদাতারা এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে খাতভিত্তিক খরচের তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ ও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবিও জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশু সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, লেখক ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, সচেতন সংস্থার আহ্বায়ক সাকিলা পারভীন, কমিটি টু প্রোটেক্ট রিভার অ্যান্ড কোস্টের (সিপিআরসি) সভাপতি কামরুজ্জামান নাছিম, ঢাকা উত্তর সিটি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরোনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ।
এ ক্ষেত্রে প্রায় সকল বিবৃতিদাতাই বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেককে দায়ী করেছেন।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহয়তায় ভারতে পালাচ্ছে অপরাধীরা। সিসি ক্যামেরায় ধরা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:

সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পালাতে শুরু করেছে নানান অপরাধীরা। এতে রুট হিসাবে বেশি ব্যবহার করছে বেনাপোল সীমান্ত। তবে অপরাধীদের পালানো রোধে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। ভারতে ঢোকার আগে বিজিবি,পুলিশ, এনএসআই ও ডিজিএফ আই সদস্যরা সন্দেহ ভাজনদের জিঞ্জাসাবাদ করছেন। এতে গেল এক সপ্তাহে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস থেকে ৩ জন আটক হয়েছে। তবে যারা সাধারন যাত্রী তাদের যাতায়াতে কোন সমস্যা নাই। এদিকে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে কাস্টমসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় অনেক অপরাধীরা পালানোর সুযোগ পাচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ছাত্র, জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তর করে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে যায় সাবেক প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা। এর পর থেকে নানান অনিয়ম,দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথে জড়িত রাজনৈতিক নেতা,সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বিদেশ ভ্রমনে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এতে সীমান্তে বিজিবি সর্বচ্ছ নিরাপত্তা জোরদার করে। সীমান্ত পথের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন কাস্টমসে পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থ্যার সাথে যাত্রীদের উপন নজরদারি শুরু করে। এতে গেল এক সপ্তাহে ৩ জন আটক হয় বিজিবির হাতে। তবে বিজিবি সতর্ক থাকলেও চেকপোষ্ট কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সক্ষতা করে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছে ভারতে। গত ২৩ আগস্ট কাস্টমসে একটি বন্ধ গেট খুলে যশোর জেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক তানজিদ নওশাদ পল্লবকে ভারতে পালানোর সহযোগীতা করে কাস্টমস সুপার সিবলী নোমানও কামরুন্নাহার এবং এসময় বিজিবির সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে আটক করে। অবৈধ ভাবে গেট খুলে প্রবেশের ঘটনা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরাই। এদিকে বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্ট যাত্রী ছাড়াও ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভবনে বহিরাগতদের বিচারণ রয়েছে। এদের মাধ্যমে ও নানান অনিয়ম ঘটছে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের সুপারেন্টেন্ড মোকরেছুর রহমান জানান, তাদের দুই সহকর্মীর কথায় কাস্টমসের এনজিও অনিমা বন্ধ গেট খুলে দিয়ে ঐদিন ৫ জন পাসপোর্টধারীকে ইমিগ্রেশন ভবনে ঢোকায়। এদের মধ্যে এক জন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। সিসি ক্যামেরাই সটা দেখা গেছে। তবে বিষয়টি কাস্টমসের উধ্বতন কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। এ ঘটনার পর থেকে ঐ গেটটি সম্পূর্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পাসপোর্টধারীরা প্রবির মিত্র জানান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থ্যার জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে ঢোকার অনুমতি হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, নিয়ম রয়েছে প্যাছেঞ্জার টার্মিনাল ভবনে কর্তব্যরত বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তা,পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের পাসপোর্ট দেখিয়ে পরে যাত্রীরা ভারতে ঢুকবে। কিন্তু শুন্য রেখায় বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন গেট খুলে আত্মীয় পরিচয়ে ভারতে পারাপার করে কর্মকর্তারা। এতে ঐ যাত্রীর ভ্রমন ট্রাক্স কেটেছে কিনা বা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশীর সুযোগ আর থাকেনা। এভাবে দির্ঘদিন ধরে অনিয়মন হয়ে আসলেও দেখার কেউ নেই।
৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক সাইফুল্লা সিদ্দিকী জানান, অপরাধীরা যাতে ভারতে পালাতে না পারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনান্য সংস্থ্যার পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারীদের নজরদারিতে রাখছে।

দূনীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি শার্শা উপজেলা শাখার সদস্য, রুবেল হোসেন জানান, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অপরাধীদের ভারতে পালাতে সহযোগীতারা করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে আটকরা হলেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিব নওশাদ পল্লব, ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হালদার ও ছুটি না নিয়ে পরিচয় গোঁপন করে ভারতে যাবার সময় বিজিবি সদস্য শাওন ঘোষকে আটক করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়নের দাবি তরুণদের মায়ামিতে লা লিগা যে কারণে বার্সেলোনার ম্যাচ বাতিল করলাে ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো সাবজেলে খুলনার নদ–নদী থেকে এক বছরে ৫০ লাশ উদ্ধার হাজির করা হলো সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প