এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ

মাহতাবুর রহমান:

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। ৬০ এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। ৬০ এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর এই কর্মযজ্ঞকে কাজে লাগিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা গড়ে তুলেছেন নিজেদের সম্পদের পাহাড়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পগুলোতে জনগণের যতটুকু লাভ হয় তার থেকে বেশি লাভ হয় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের।

 

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্ত হাতে এসেছে । এই দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারি সিন্ডিকেট তৈরির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরটিতে দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই দপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া প্রায় ৮০ কোটি টাকার বিনিময়ে দপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলী পথ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন মোঃ আবদুর রশিদ এলজিইডিতে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন এবং প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে বড় একটি  অংশ চলে যায় এলজিইডি এই সিন্ডিকেটের হাতে।

 

* প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া দুর্নীতির এই অর্থ দিয়ে কি করেন? কোথায় রেখেছেন?

 

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানী দল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হয়ে হাতে পায় একাধিক তথ্য-উপাত্ত। দুর্নীতির অর্থে নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ ও ঢাকায় কিনেছেন জমি ও বেনামে একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন, বরুয়া মৌজায় তার নামে ক্রয়ে করেছেন ৭ কাঠা জমি, যার জার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা। মোহাম্মদপুরের শাজাহান রোডের ডি-ব্লকের হোল্ডিং নং ৩২/৩ এর ছয়তলা বাড়িটিও তার। ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে স্ত্রী ফাতেমা জাকিয়ার নামে ক্রয় করেছেন ফ্লাট। সিরাজগঞ্জের হাইওয়ে রাস্তার পাশে ৬০ কাঠা জায়গার উপর চালাচ্ছেন ফুড গার্ডেন নামে রেস্টুরেন্ট এবং তার পাশেই নিজ শ্যালকের নামে জমি ক্রয় করে দুইটি ৫তলা বাড়ি নির্মান করেছেন। আব্দুর রশিদ তার নিজ গ্রাম কাজিপুর উপজেলায় সম্পদ পাহাড় গড়েছেন।

 

এই বিষয়ে কথা বলতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়াকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনেই কল কেটে দেন তারপর তিনি আর কল রিসিভ করেননি।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার তথ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ……

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় ধরাছোঁয়ার বাইরে সরকার জামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় ধরাছোঁয়ার বাইরে কথিত সাংবাদিক সরকার জামাল। গত ১৮ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোঃ শাকিল নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সরকার জামাল ৪০নং আসামি করা হলেও গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের দোসর বাংলাদেশ জনতা লীগ এর মহাসচিব সরকার জামাল। এই জামাল একাধিকবার বিশাল বিশাল মাদকের চালান সহ গ্রেফতার হয়েছেন মাদক”র চোরা চালান সহজ ভাবে করতে সাংবাদিকতাকে বেচে নিয়েছেন। এই সরকার জামাল প্রতি মাসেই কয়েকবার চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় যান শুধু মাত্র মাদক চালান ঢাকাতে আনার জন্য। গত বছরে বাংলাদেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন সরকার জামালকে বিশাল মাদক”র চোরা চালান সহ গ্রেফতার করান সেই ক্ষোভ মিটাতে গাজীপুরে ঐ সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন”কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্টোক করে মারা গেছেন বলে চালিয়ে দিয়েছেন এই সরকার জামালের নেতৃত্বে তুহিন ভূইয়া ও শাহ শাহাবুদ্দিন নামের তিন জনের সিন্ডিকেট মিলে।

অনুসন্ধানে জানা যায় যে সরকার জামাল এর বিরুদ্ধে শুধু মাদক মামলাই নয় নারী কেলেঙ্কারি মামলাও রয়েছে নারী ও মাদক দিয়ে অনেককেই ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে এই জামালের বিরুদ্ধে।

সরকার জামাল গ্রেফতার না হওয়ার মূল কারণ জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রাবাড়ী থানায় এক বড় বাবু জানান যে সরকার জামালের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরেই থানায় বিভিন্ন ততদির আসছে। যদিও এই সরকার জামালের বিরুদ্ধে আওয়ামিলীগ করার সরাসরি প্রমাণ রয়েছে এছাড়াও মাদক সহ আটক হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পুলিশের পিসিপিআর এতে প্রতারণা সহ আরও অনেক মামলা রয়েছে কিন্তু এই জামাল কি ভাবে সাংবাদিক হয় এটা আমার বোধগম্য নই! ভাবা যায় তাহলে কি সরকার জামালের ক্ষমতার কাছে বাংলাদেশে আইন ও প্রশাসনও অসহায়!

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের