পাওয়ার হাউজ এখন জুলাই জাদুঘর

পাওয়ার হাউজ এখন জুলাই জাদুঘর

ডেস্ক রিপোর্ট:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে পূর্তকাজের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। এখন অনুমোদন দেওয়া হলো পূর্তকাজের। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের আগেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের অনেক কাজ এগিয়ে নেয় সরকার। ইতোমধ্যে সেখানে বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণও করা হয়েছে।

গণভবনের অবস্থান জাতীয় সংসদের উত্তর কোণে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে বসবাসকারী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সরকারপ্রধান হিসেবে এখানেই ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলে ২০১০ সালে পরিবারসহ গণভবনে ওঠেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল তার ঠিকানা। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন জাদুঘরের কাজের মধ্যে থাকবে ইএম অংশ। ইএম বলতে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক অংশকে বোঝানো হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক তার, সুইচসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিকসামগ্রী। আরও থাকবে পূর্ত অংশ। এর মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক অংশ বাদে বাকি সব।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন সংলগ্নতা থাকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি) সংক্রান্ত হওয়া চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। গত সরকারের সময় আইপিপিসংক্রান্ত কিছু চুক্তি হয়েছিল। এতে অনেক অসংলগ্নতা ছিল। তাই সেগুলো পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে অনেক বিদেশি কোম্পানি আছে। তাদের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য হাই কোর্ট থেকে নির্দেশনা আছে। সেজন্য আলাপ-আলোচনা করে এটা করা হবে। সেজন্য আইনি সহায়তা দরকার। সেটা করার জন্য প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সেখানে আইনি বিষয় আছে; একতরফা কিছু করা যাবে না। বৈঠকে এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়। কাতার এনার্জির কাছ থেকে কিনতে এ এলএনজির দাম পড়ছে প্রতি ইউনিট ১৩ দশমিক ২৪ ডলার।

জাতীয় সরকার গঠন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়

জাতীয় সরকার গঠন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন এবং জাতীয় নির্বাচন কখন হবে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীন বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক (ট্যারিফ) নীতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইয়াও ওয়েন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল হবে। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের পদক্ষেপ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের চীন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন চীন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত সমৃদ্ধ এবং সার্বভৌম প্রতিবেশি গড়ে তোলা। এই উদ্যোগ তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী নয়। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম