দেশবরণ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন’র মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

দেশবরণ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন'র মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:

সাধারণ সাংবাদিক সমাজ কর্তৃক দেশবরণ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে ডিআরইউ’র সাগর রুনী মিলনায়তনে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ’র সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সাধারন সাংবাদিক সমজ’র প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাসুদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিআরইউ’র সভাপতি আবু সালেহ আকন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত ও স্মৃতিচারন করেন ডিআরইউ’র প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন মেহেদী হাসান রিয়াদ, মুন্না খান, জিয়াউর রহমান, ইমরান হোসেন, হাফিজুর রহমান শফিক, এইচ এম আল আমিন, সৈয়দা রিমি কবিতা, নিয়ামুল হাসান নিয়াজ, চামেলি রহমান, মুস্তাকিম নিবিড়, আজিজুল ইসলাম যুবরাজ, ফয়সাল আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন, জিয়াউল হক তুহিন, আকাশ মনি, জাহাঙ্গীর আলম পলক, জুয়েল খন্দকার, শফিকুর রহমান, রাজু, বাবু, আলম সহ অন্যান্য পত্রিকা টিভির সংবাদকর্মী বৃন্দ।

স্মৃতিচারন কালে অনেকেই বলেন, দেশ সেরা বিভিন্ন দৈনিকে চার সহস্রাধিক লীড, ব্যাক লীড প্রকাশের অনন্য নজির একমাত্র রিমনেরই রয়েছে। তাছাড়া সকল বিষয়ে রিপোর্টিং করার রেকর্ডটাও একমাত্র তারই দখলে। সুপ্রাচীন অতীত কিংবা সুদূর আগামিতেও এ রেকর্ড কেউ ছুঁয়ে দেখবেন-এমনটা কল্পনা করাও অবাস্তব। জাতীয় পর্যায়ের প্রথম শ্রেণীর সকল গণমাধ্যমে রিপোর্টারগণ সাধারনত বিট ভিত্তিক’ রিপোর্ট করে থাকেন। কেউ পলিটিক্যাল, কেউ ডিপ্লোম্যাটিক, কেউ ইকোনোমিক, আবার কেউ কেউ স্পোর্টস কিংবা বিনোদন বিটের রিপোর্ট করেন। কালেভদ্রে কোনো রিপোর্টারকে একাধিক বিটে কিছু রিপোর্ট করার দৃষ্টান্ত দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সাঈদুর রহমান রিমনের ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শেয়ারবাজার, অপরাধ, বিনোদন, নাগরিক সেবা সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পার্লামেন্ট, কুটনৈতিক, দুদক, নির্বাচন কমিশন, আইসিটি, মেডিক্যাল, প্রতিরক্ষা, কৃষি, শিক্ষাসহ সকল বিটের সব বিষয়ে দেদারছে রিপোর্ট করার এন্তার নজির রয়েছে। এমনকি আইন বিষয়ে বিস্তৃত ধারনা না থাকলে আইন-আদালত সম্পর্কিত স্পর্শকাতর বিষয়ে কারো রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে অলিখিত নিষেধাজ্ঞাই দেয়া আছে সকল গণমাধ্যমে। অথচ নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বিষয়ে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টগুলোও অবলীলায় তৈরি করেছেন রিমন। সকল বিষয়েই আশ্চর্যরকম পারফরমেন্স দেখিয়েই ঈর্ষনীয় পর্যায়ের গৌরবের অধিকারী হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বাস্তবতায় একমাত্র মেশিনম্যান রিমনের পক্ষেই এটা সম্ভব। অথচ বিনয়ী রিমনের কন্ঠে ‘এখনও ভাল মানের রিপোর্টার হতে না পারার’ আক্ষেপের সুর বাজে। যেন মোটেও তিনি ক্লান্ত হননি, মেটেনি তার লেখার সাধও। একথা বললে বেশি বলা হবে না যে, সাঈদুর রহমান রিমনের জন্মই হয়েছে রিপোর্ট করার জন্য।

সাঈদুর রহমান রিমন ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলাস্থ জাবরা পীরবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ইউনুস উদ্দিন আহমেদ ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। ষাটের দশকে তৎকালীন (পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা)- এর সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। মা সাহারা আহমেদ ছিলেন একজন গৃহিনী। সাঈদুর রহমান রিমন তার চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ট। তিনি ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯০ সালে বাংলায় অনার্স পাশ করেন।

সাভার কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৮৫ সালে তৎকালীন পাঠক সমাজে ব্যাপক সমাদৃত সাপ্তাহিক মুক্তিবাণী পত্রিকার মাধ্যমেই তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত একটানা আট বছর তিনি দৈনিক ইত্তেফাক এর ‘সাভার সংবাদদাতা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ইত্তেফাকে ধামরাইয়ে মুক্তিপণ আদায়কারী চোখবাঁধা পার্টির নির্মমমতা, মানুষের কংকাল-হাড়-রক্ত-কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির রোমহর্ষক কাহিনী উদঘাটন, শিশু খাদ্যের গুড়ো দুধে বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয়তা শীর্ষক সাড়া জাগানো নানা প্রতিবেদন রচনা করে ব্যাপক আলোচিত হন।

১৯৯৪ সালে রিমন ঢাকায় দৈনিক আলআমীন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে এবং ১৯৯৭ সালে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। রিমন ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে দৈনিক মুক্তকন্ঠ পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এবং ২০০৪ সালের মে মাস থেকে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক সংবাদ’এ দায়িত্ব পালন করেন রিমন।

২০০৯ সালে বসুন্ধরার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সাড়া জাগানো বাংলানিউজ ২৪.কম অনলাইনে ক্রাইম ইনচার্জ হিসেবে এবং ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেল এর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের ১ মে তিনি দৈনিক দেশবাংলা‘র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে নিয়োগ লাভ করেন। ২০২৩ সালের ১ জুন সাঈদুর রহমান রিমন দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবেও মর্যাদা লাভ করেন। এসব ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক খবর বাংলাদেশ, নতুন সময়, দৈনিক অন্যদিগন্ত, সাপ্তাহিক দেশপত্র, নতুন বার্তা, সাপ্তাহিক সাফকথা’র প্রধান সম্পাদক সহ সর্বশেষ দৈনিক বাংলাভূমি’র প্রধান সম্পাদক ও নিউজ ব্যুরো অব বাংলাদেশ’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাঈদুর রহমান রিমন গত ৩০ জুলাই বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজে মৃত্যু বরন করেন, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী কী ?

স্টাফ রিপোর্টার:

৩টা। প্রথম ২টা নিয়ে কমবেশী আলোচনা হয়। তৃতীয়টা নিয়ে কোনো আলোচনা নাই কিন্তু ঐটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় সমস্যা।
১. আইন শৃঙ্খলা ও একেনমির অবস্থা ভালো না। সেই সাথে এটাও সত্য বাংলাদেশের মানুষ স্বেচ্ছায় এই সরকারকে যতোটা ছাড় দিচ্ছে – আমার জীবদ্দশায় এমন কিছু দেখি নাই। কিন্তু অর্থনীতির অবস্থা আসলেই ভালো না। বড় ব্যবসায়ীরা তটস্থ – আগে শেখ হাসিনার সাইডে থাকার কারণে কিছু বলতে পারছেন না – ভয়ে। কিন্তু প্রব্লেম ইজ রিয়াল।
২. হাসিনার সহচরদের বিচার শুরু হচ্ছে না দেখে মানুষ মনে করছে সরকার কম্প্রোমাইজড। মানুষ আওয়ামী জালিমদের গোমাসা হতে দেখতে উদগ্রীব কিন্তু দেখতে পারছে না। তাই তারা রেগে আছে। এখানে সব কিছু বলা যাবে না – বাট আমি কনভিন্সড যে শেখ হাসিনার ফাঁসি হওয়ার মতো এভিডেন্স পাওয়া গেছে এবং এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা যাবে। আমি ক্যাঙ্গারু কোর্টের কথা বলছি না – জেনুয়িন প্রমাণের কথা বলছি। চুরি চামারির কেইস জানি না কিন্তু মানবতার বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হবে। এবং হয়তো ৬ মাসের ভেতরেই হবে। এই কেইসগুলো শুরু হলে মানুষ জানতে পারবে আওয়ামীরা একচুয়ালি কী করেছে এবং তখন হয়তো অনেক ক্ষোভ প্রশমিত হবে। অবশ্য আরাফাতকে থাপড়াইতে পারার আনন্দ যদি হয় ১০/১০ – এই আনন্দ হবে ৭/১০।
৩. থার্ড প্রবলেমটা বলা খুব কঠিন। কিন্তু যেভাবে বুঝেছি – একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে যারা এই মুহূর্তে ক্ষমতাবান তারা অনেকেই একমত যে আওয়ামীদের একেনমিক সিস্টেম ধ্বংস করতে না পারলে  আপনি তাদেরকেপরাস্ত করতে পারবেন না। আমিও তাই মনে করি।এখনো তাদের একেনমি সচল। উপার্জন অনেক ক্ষেত্রেই আনইন্টারাপ্টেড। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হোলো আওয়ামীদের বিচার করা কিন্তু দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হোলো তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করা। এই ব্যাপারটা কী আমাদের বুঝতে হবে। আওয়ামীরা চুরি চামারি, লুটপাট করে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছে। সেই টাকা কোথায় গেছে? প্রথমে গেছে একটা রেন্ট সীকিং সিস্টেমে। পরে বিদেশে। ধরেন যে শামীম ওসমান হয়তো প্রচুর দোকান, মার্কেট থেকে ভাড়া পান। এখন এই ক্যাশ ফ্লো ডিজরাপ্ট করার দুইটা রাস্তা। তার দোকান জ্বালায় দেন অথবা তার দোকান গিয়ে দখল নেন। বলাই বাহুল্য – মানুষ দ্বিতীয় অপশান বেঁচে নেবে।
এই কাজটা এখন বিপুল উদ্যমে চলছে। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া না চাওয়া দিয়ে কিছুই হবে না। এমন কি তারেক রহমানের চাওয়া দিয়েও কিছু হবে না বলে আমার অনুমান। লোকাল ডায়নামিক্স সম্পূর্ণ আলাদা। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সম্পত্তির দখল এখন চলছে। বিএনপির হাইকমান্ড কি এখানে বাতাস দিচ্ছে? এবসোলিউটলি নট। তারা বরং আটকাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা পারছে না। কারণ লোকাল লেভেলে যেই জজবা সেটা ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। সরকারই পারছে না – বিএনপি কীভাবে পারবে? লোকাল লেভেলে যারা এন্টারপ্রাইজিং – তারা এখন সবাই বিএনপি হয়ে গেছে।
অনেক কিছুই ব্যাখ্যাতীত।
ধরেন যে বিএনপি করতেন বলে আপনার দোকান আওয়ামীরা দখল করে ছিলো গত ১০ বছর। এখন আপনি যখন আওয়ামীকে বাগে পেয়েছেন – আপনি কি শুধু ঐ ২টা দোকান দখল করবেন না ঐ মার্কেটের ৫টাই করবেন? উত্তরটা আপনি নিজের মধ্যে রেখেন। আওয়ামী লীগের এক কুখ্যাত নেতার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বিএনপির এক বড় নেতাকে এসে বলছেন স্যার আমাদের এই প্রতিষ্ঠান বাঁচান। লোকাল লোকজন আগুন লাগিয়ে দেবে। উনি যুবদলের লোক পাঠিয়ে আগুন লাগানো ঠেকিয়েছেন। এই খবরটা পত্রিকায় আসলে আপনি কী বলতেন? বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ডাঙ্গুলি খেলছে। কিন্তু রিয়ালিটি হোলো উনি শত শত লোকের অন্নসংস্থান ধ্বংস হোক – এইটা চান নাই। এটাই রেস্পন্সেবল কাজ। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো – আমি ঠিক এই কাজটাই করতাম।  ১০০ বারের মধ্যে ১০০ বার। এমন কি প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার হলেও একই কাজ করতাম। আবার এই কথাও সত্য যে বিএনপির অনেক লোকাল নেতাকর্মী সম্পূর্ণ অআওয়ামী লীগের মানুষের সম্পত্তিও দখল করেছে।
নিরেট বাস্তবতা হোলো যে বাংলাদেশের ইতিহাসের গ্রেটেস্ট ওয়েলথ ট্রান্সফার শুরু হয়েছে। এটা চলবে আরো ৪/৫ বছর। সবাই এটা দেখছে। সবাই মানেন যে আওয়ামীদের গোমাসা হওয়াটা ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হোলো এর বেনিফিশিয়ারি হোলো বিএনপির নেতাকর্মীরা – ডিসপ্রোপোশেনেটলি। এখন শামীম ওসমানের যেই এপার্টমেন্ট থেকে ভাড়া পান – আপনি তো জানেনই না যে এপার্টমেন্টটা তার। লোকাল যে লোকটা জানে সে কী করবে? সে বিএনপি হয়ে গেলেই শুধুমাত্র এপার্টমেন্টটার দখল নিতে পারবে। মিলেঝুলে খাবে লোকালদের সাথে। এই ঘটনাই ঘটছে পুরা দেশে।
এই মুহূর্তে এই দেশে পলিটিকাল স্টেক হোল্ডার মূলত ৩ জন। বিএনপি, জামাত ও ছাত্র। জামাত ও ছাত্ররা যেই কথাটা বলতে চায় কিন্তু বলার কোনো ভাষা নাই সেটা হোলো নিম্নরূপ:
এই গ্রেটেস্ট ওয়েলথ ট্রান্সফারে আমাদের হিস্যা কই?
কেউই কথাটা মুখ ফুটে বলছে না কিন্তু তাদের অস্থিরতা এই কারণেই। এই অস্থিরতা পুরা বাংলাদেশে। কেউ ২টা ফেইসবুক পোস্ট করার জন্য, কেউ বা মিছিলে ২দিন যাওয়ার জন্য তার শেয়ার চাইছে (বহু মানুষ কোনো শেয়ার চান না – এটাও সত্য)
আমরা ঐক্যের কথা বলছি কিন্তু এই ওয়েলথ ট্রান্সফারে যতোক্ষণ না জামাত ও ছাত্ররা শেয়ার পাবে – ততোক্ষণ এই ঐক্য ফাংশনাল হবে না। আমার কথা শুনে আপনার খারাপ লাগবে এবং মনে হবে যে আমি ইতরামির প্রোলিফেরাশান করছি। না! আমি শুধু সেই রিয়ালিটির কথা বলছি – যেটা সবাই অনুভব করে কিন্তু বলতে পারছে না।
আমি বিএনপির লিডারশীপকে বলবো – আপনারা নিজেরা হয়তো এই গ্রেটেস্ট ওয়েলথ ট্রান্সফারের বেনিফিশিয়ারি না। কিন্তু আপনাদেরকে এনশিওর করতে হবে যে অন্যেরাও ভাগ পাচ্ছে। আপনাদের মনে হতে পারে যে আমি দখলের টাকার ভাগবাটোয়ারার কথা বলছি। কথাটা এমব্যারাসিং কিন্তু আমি লজ্জিত না কারণ আমার কোনো পার্সোনাল স্টেইক নাই। দুই টাকারও লাভ নাই। আমি একজন পিপিং টম এবং আমার অবজারভেশান হোলো – এই ওয়েলথ ট্রান্সফারে “ন্যায্যতা” না আসলে বাংলাদেশের পলিটিকাল সেটেলমেন্ট হবে না। কোনো না কোনোভাবে আপনাদেরকে একটা মেকানিজম ঠিক করতে হবে। আমি জানি না কাজটা আদৌ সম্ভব কি না।  এই দেশের আপামর জনসাধারণ আওয়ামীতন্ত্র উৎখাতের পলিটিকাল ভিক্টর হিসেবে বিএনপিকে মানতে রাজী আছে কিন্তু একেনমিক ভিকটর হিসেবে এককভাবে বিএনপিকে মানবে না। কোনোভাবেই না।
এই রিয়ালিটি আপনাদের বোঝা দরকার। আওয়ামীদের একেনমিক সিস্টেম ভাঙতেই হবে। কিন্তু এর একক বেনিফিশিয়ারি যেন বিএনপি না হয়ে যায়। এই সমস্যার সুরাহা করতে না পারলে আপনারা রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখতে পারবেন না। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

সবা:স:জু-১০১/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম